Hot

দরবেশ বাবা ও ৪০ চোরের লুটপাট: আওয়ামী লুণ্ঠনের চিত্র

  • ১৭ দেশে পাচার হয়েছে ২০ লাখ কোটি টাকা
  • লুটতন্ত্রের ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’ ছিলেন সালমান

ছোটবেলায় আলী বাবা এবং ৪০ চোরের গল্প শোনেননি—এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাস্তবে হুবহু  আলী বাবা হয়তো নেই; কিন্তু গত সাড়ে ১৫ বছর এ দেশের মানুষ দেখেছে ‘দরবেশ বাবা’ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের লুটপাট। আলী বাবা ও চল্লিশ চোরের বদলে শেখ হাসিনার আমলে বাস্তব রূপ পায় ‘দরবেশ বাবা এবং চল্লিশ চোরের গল্প’। যে গল্প আরব রজনীর গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর।

পার্থক্য হলো আলী বাবা শুধু আরব রজনীর একটি লোককাহিনি। আর ‘দরবেশ বাবা’ হলো এ কালের সত্য ঘটনা। এই ‘দরবেশ বাবা’ আর কেউ নন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার উপদেষ্টা’ সালমান এফ রহমান। চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর  দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট এবং অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে মামলা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। দুর্নীতি দমন কমিশনের এসব তদন্ত থেকে গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলের ৪০ জন শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী এদের দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা।

যে টাকার পুরোটাই বিদেশে পাচার হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, তুরস্কসহ কর ফাঁকির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জসহ বিশ্বের ১৭টি দেশে পাচার করা হয়েছে এসব লুণ্ঠিত অর্থ।

এ ছাড়া সাবেক সরকারের এ রকম আরো অন্তত ৫০০ মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা বিশাল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। এই লুটেরা, অর্থপাচারকারী এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের মধ্যে শীর্ষ ৪০ জন লাগাতারভাবে দুর্নীতি করে গেছেন আওয়ামী লীগ শাসনামলে। দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দেওয়ার মূল খলনায়ক এই ৪০ জন।

এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে  গড়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা করে বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গত সাড়ে ১৫ বছরে যে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি এবং অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে তার মূল নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের  শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতা। শেয়ার কেলেঙ্কারি থেকে তিনি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তৎকালীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তার পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই সালমান এফ রহমান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন। লুটতন্ত্রের ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’ ছিলেন সালমান এফ রহমান। আর এ কারণে সবাই তাঁকে ‘দরবেশ’ বলে ডাকতেন। এই দরবেশই বাংলাদেশে অর্থপাচার এবং লুটেরাদের সরদার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই এই কর্মকাণ্ডগুলো ঘটেছে। তিনি একাই লুটেছেন এক লাখ কোটি টাকার বেশি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত শ্বেতপত্র কমিটি শীর্ষ কিছু দুর্নীতিবাজ চিহ্নিত করে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে শীর্ষ ব্যক্তিদের পাহাড়সম দুর্নীতির আলামত পেয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা শীর্ষ ৪০ জন দুর্নীতিবাজ এবং অর্থপাচারকারীকে চিহ্নিত করেছি। যেসব অভিযোগ শ্বেতপত্র কমিটির রিপোর্টে, দুদকের তদন্তে এবং সংবাদপত্রের রিপোর্টের মাধ্যমে এসেছে। তার ভিত্তিতেই এই ‘৪০ চোরের’ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যার প্রধান কারিগর হলেন ‘দরবেশ বাবা’। অর্থাৎ দরবেশ হলেন এই লুটেরাদের ‘আলী বাবা’ এবং ৪০ চোর, যাঁরা যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ রেহানার এখন পর্যন্ত ঢাকায় প্রায় ১০৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিদেশে তিনি প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের তেমন কোনো সম্পদ নেই। বিদেশে তিনি অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকা গত সাড়ে ১৫ বছরে পাচার করেছেন বলে বিভিন্ন অনুসন্ধানে প্রাথমিক তথ্য হিসেবে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। দেশে তাঁর ১১৭ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি শেখ রেহানার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

news

শেখ রেহানার দেবর এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ছয়টি দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন বলেও অনুসন্ধানে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।  শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে  দেশে তাঁর ৭৮৬ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁর ৩৬০ কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হেলালের বিরুদ্ধে বিদেশে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফুপাতো ভাই শেখ সেলিমের দেশে সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫৪২ কোটি টাকা বলে এখন পর্যন্ত প্রাক্কলিত হয়েছে। তবে বেনামে তাঁর আরো বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে তার প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পদের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ফিজি, মরিশাস এবং বার্বাডোজে শেখ সেলিমের সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনার আরেক নিকটাত্মীয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে তাতে ১২ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে পাচার করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ টাকাই পাচার হয়েছে লন্ডন এবং সিঙ্গাপুরে। তাঁর বড় ভাই যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। শেখ হাসিনার আরো অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন, যাঁরা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, তাঁর পুত্র সাদিক আবদুল্লাহ, শেখ হেলালের ছোট ভাই শেখ সোহেলসহ আরো অনেকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার মধ্যে প্রায় সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। এই দুর্নীতিবাজ মন্ত্রিসভার শীর্ষ কয়েকজনের মধ্যে আছেন ওবায়দুল কাদের। যিনি দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার করেছেন বলে এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে জানা গেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং দুবাইয়ে তাঁর অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশেই প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। এই সম্পদের কিছু আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে তাঁর ১৮ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং তাঁর পরিবার বিদেশে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। বেশির ভাগ সম্পদই দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়াতেও লোটাস কামালের পাচারকৃত অর্থ রয়েছে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। দেশে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৫২ কোটি টাকা। জাহিদ মালেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বেশির ভাগ সম্পদ পাচার করেছেন।

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু দুর্নীতিবাজদের অন্যতম এবং মন্ত্রীদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। দেশে তাঁর প্রায় ৯৬০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে সম্পদের বেশির ভাগই আদালতের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে তিনি প্রায় ৫৭ কোটি টাকা পাচার করছেন। দুবাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্তত ১২টি দেশে তাঁর বিপুল সম্পদ থাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

জুনাইদ আহেমদ পলক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। দেশে তাঁর প্রায় ৩২২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরেকজন শীর্ষ দুর্নীতিবাজ। এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের তথ্য মিলেছে। এসব অর্থের বেশির ভাগ তিনি পাচার করেছেন যুক্তরাজ্যে। এ ছাড়া দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে তিনি অর্থ পাচার করেছেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে যাঁরা ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক আইন ও বিচার মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

শেখ হাসিনার শাসনামলে শুধু যে রাজনীতিবিদরাই দুর্নীতি করেছেন, অর্থপাচার করেছেন এমনটি নয়, বহু আমলা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এঁদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। আমলাদের লুটপাটের সুযোগ দিয়ে শেখ হাসিনা তাঁদের নিজের অনুগত বানিয়ে রেখেছিলেন। যার ফলে আমলারা সীমাহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন পুরো আওয়ামী লীগ শাসনামলে। যেসব শীর্ষ  দুর্নীতিবাজ আমলা বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ার, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, সাবেক বেসরকারি বিমান চলাচল সচিব মহিবুল হক, সাবেক পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ, ডিবি পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন উর রশিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী এবং ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম আহমেদ খান।

এসব অর্থপাচারের ক্ষেত্রে ‘পঞ্চপাণ্ডব ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিতরা ছিলেন মূল কারিগর, যাঁরা রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন এবং তাঁদের মাধ্যমেই এই ধরনের অর্থগুলো পাচার হয়েছে। যেকোনো দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাঁরা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এই পঞ্চপাণ্ডব ব্যবসায়ীর মধ্যে রয়েছেন  আজিজ খান,  নজরুল ইসলাম মজুমদার, নাফিজ সরাফত এবং সবার ওপরে সালমান এফ রহমান। মূলত সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বেই এই চোরতন্ত্রের একটি মন্ত্রিপরিষদে ৪০ চোরের অবস্থান ছিল। এসব চোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে লুট করা হয়েছে এবং কায়েম করা হয়েছিল লুটেরাতন্ত্র।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor