Bangladesh

দাপুটে নেতা, তবু ভোটে নেই ৫৩ এমপি

দাপুটে নেতা হিসেবে বরগুনা-২ আসনের তিন-তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) শওকত হাচানুর রহমান রিমনের এলাকায় রয়েছে নামডাক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৮৬ শতাংশের বেশি ভোটে এমপি হন। ২০১৮ সালে বিএনপি প্রার্থীর ৯ হাজার ৫১৮ ভোটের বিপরীতে তাঁর বাক্সে ভোট পড়েছিল ২ লাখ ৩২৫। সেবার প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোট পেলেও এবার এমপি শওকতকে আওয়ামী লীগ বেছে নেয়নি। দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও আগ্রহ দেখাননি। যদিও বিএনপিহীন ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। 

তবু শওকত হাচানুর রহমান রিমনের মতো নৌকার বর্তমান ৪৮ এমপি এবারের নির্বাচনের মাঠে নেই। তাদের কেউ কেউ টানা তিনবারের এমপি এবং অধিকাংশই গত নির্বাচনে ৭০ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়ে সংসদে পা রাখেন। বিপুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেওয়া এই এমপিরা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগে জনপ্রিয়তা হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও সাহস দেখাননি বলে আলোচনা রয়েছে। যদিও মনোনয়ন না পাওয়া এই এমপিদের দাবি, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি ‘আনুগত্য’ দেখিয়ে তারা প্রার্থী হননি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাত্র ১৯ এমপি 

একাদশ সংসদের ৭৮ দলীয় এমপিকে এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। তাদের সাতজন নৌকা পেয়েও হারান সমঝোতার কারণে। ফলে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। ছয় বর্তমান এমপির আসনে তাদের সন্তান কিংবা পরিবারের সদস্যরা মনোনয়ন পেয়েছেন। এ হিসাবে মনোনয়ন না পাওয়া এমপির প্রকৃত সংখ্যা ৬৫। দলের বাধা না থাকলেও তাদের মাত্র ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির (জাপা) চার মনোনয়নবঞ্চিত এমপির দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ হিসাবে ১৯ এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের দুই এমপি নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন।

দলীয় কোন্দলে ও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় না পেয়ে জাপার তিন এমপি প্রার্থী হননি। নৌকা না পেয়ে ১৪ দলীয় শরিক জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির দুই এমপি নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ হিসাবে ক্ষমতাসীন দলের ৪৮ জনসহ মোট ৫৩ এমপি নির্বাচনী দৌড়ে নেই। 

তাদের মধ্যে চার-পাঁচজন বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে মনোনয়ন পাননি বা বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের প্রার্থিতার কারণে বাদ পড়েছেন দলটির তিনজন। প্রভাবশালী সাবেক আমলা ও তারকাদের জায়গা করে দেওয়ার কারণে তিন এমপি মনোনয়ন পাননি। সূত্রের দাবি, এই ছয় এমপিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দল থেকে।

বাকি ৪২ জনের ক্ষেত্রে এ বাধা ছিল না। তবে তারা প্রার্থী হওয়ার সাহস দেখাননি। যেমন বরগুনা-২ আসনে নৌকার বিরুদ্ধে একজনও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই; নেই লাঙ্গলের প্রার্থীও। নৌকার ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীর সবাই ছোট ও নামসর্বস্ব দলের। এমন ফাঁকা মাঠেও প্রার্থী হননি বর্তমান এমপি। বাকি অধিকাংশই একই পথ অনুসরণ করেছেন।

গতবার রেকর্ড ভোট পাওয়া এমপিরা নেই মাঠে ফরিদপুর-৩ আসনে টানা তিনবার এমপি হয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

সাবেক দাপুটে এই মন্ত্রীর জামাতা ডা. হাবিবে মিল্লাত টানা দু’বার জয়ী হন সিরাজগঞ্জ-২ আসনে। জামাই-শ্বশুর দু’জনেই গত নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পান। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে এবার তারা নির্বাচনে নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রয়াত কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের দু’বারের এমপি। গত নির্বাচনে ৯২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী এমপি এবার নির্বাচনে নেই। টানা তিনবারের এমপি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ জয়ী হলেও এবার মনোনয়ন না পেয়ে ভোটের মাঠেই নেই। 

যদিও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা দেয়নি। শরিক ও মিত্ররা শর্ত দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরায়নি। নৌকার ২৮ এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেননি কিংবা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। গত নির্বাচনে ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এবার মনোনয়নপত্র কিনলেও জমা দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে নিজ মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

মনোনয়নবঞ্চিত শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ভোটে নেই। তিনি সমকালকে বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মেনে নিয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চাই না বলে প্রার্থীও হইনি।’

ভাই, ভাতিজিসহ পরিবারের সদস্যদের দাপটের কারণে মন্নুজান সুফিয়ান জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেতার অবস্থা ছিল না তাঁর। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু ময়মনসিংহ-৫ আসনে মনোনয়ন পাননি। তাঁর বদলে মনোনয়ন পাওয়া আবদুল হাই আকন্দ নৌকা পেয়েও হারিয়েছেন লাঙ্গলকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ায়। সে আসনে নেই কোনো শক্তিশালী প্রার্থী। গত নির্বাচনে ৯১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী খালিদ বাবু তবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। একে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য বলে দাবি করেছেন।

জাপা এবং অন্য শরিকদের ছেড়ে দেওয়া ৩২ আসনের ১০টিতে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের। তাদের পাঁচজন মনোনয়ন পাননি। বাকিরা পেয়েও হারিয়েছেন। তবে মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ছাড়া আর কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তবে এ আসনের এমপি শাহে আলম গত নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হলেও মনোনয়ন না পেয়ে আর ভোটে দাঁড়াননি। 

কী বলছেন ভোটে না থাকা এমপিরা

কুমিল্লা-১ আসনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েও তিনবারের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। তিনি ও তাঁর ছেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। সুবিদ আলীর ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বাবার কথা হয়েছে। তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

খুলনা-১ আসনে চারবারের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাসও স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। তিনি বলেন, দল মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রার্থী হইনি।

খুলনা-৬ আসনে এমপি শেখ আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, দলের অবদানে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এটি বড় পাওয়া। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি। 
মাগুরা-১ আসনের বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। এই আসনের নৌকার প্রার্থী ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানকে জেতাতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। 

বাগেরহাট-৪ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত এমপি অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন মনোনয়নপত্র জমার দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। পঞ্চগড়-১ আসনের এমপি মজাহারুল হক প্রধান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে পরে প্রত্যাহার করে নেন। 

স্বতন্ত্র হয়ে যে এমপিরা লড়াইয়ে 

এখন পর্যন্ত যে ১৭ এমপি নির্বাচনে রয়েছেন তারা হলেন– গাইবান্ধা-৪ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নওগাঁ-৩ ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৪ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, রাজশাহী-৪ এনামুল হক, ঝিনাইদহ-৩ শফিকুল আজম খান চঞ্চল, যশোর-৪ রঞ্জিত কুমার রায়, সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, বরিশাল-৪ পঙ্কজ নাথ, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর-৪ মুরাদ হাসান, ময়মনসিংহ-৯ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, গাজীপুর-৩ ইকবাল হোসেন সবুজ, সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্তা, হবিগঞ্জ-২ আবদুল মজিদ খান, চট্টগ্রাম-১২ সামশুল হক চৌধুরী এবং কক্সবাজার-১ জাফর আলম।
টাঙ্গাইল-৩, নেত্রকোনা-৫ ও হবিগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান এমপিদের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নওগাঁ-৩ ও সুনামগঞ্জ-২ আসনে প্রভাবশালী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কয়েকজন এমপি শেষ সময়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে ভোটের মাঠে। 

জাপার তিন এমপি নেই, দু’জন স্বতন্ত্র

দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে জাপার মনোনয়ন পাননি রংপুর-৩ আসনের এমপি এরশাদপুত্র রাহাগীর আল মাহি এরশাদ সাদ। ছেলের মনোনয়নের দাবিতে অনড় অবস্থানে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। ছেলে মনোনয়ন না পাওয়ায় রওশন এরশাদ তাঁর ময়মনসিংহ-৪ আসনে প্রার্থী হননি।

রংপুর-১ আসনের জাপার এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা লাঙ্গল না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি রুস্তম আলী ফরাজীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় না পেয়ে ঢাকা-৬ আসনের দুইবারের জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, নৌকার বিরুদ্ধে জেতা অসম্ভব। অথচ গত নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের বিরুদ্ধে ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। 

সরে গেছেন ১৪ দলীয় দুই এমপি

ফেনী-১ আসনের দু’বারের এমপি জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার নৌকা না পেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফেনী বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা পরিচিত হলেও গত নির্বাচনে ধানের শীষের ২৫ হাজার ৬১৬ ভোটের বিপরীতে ২ লাখ ১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে এমপি হন। প্রদত্ত ভোটের ৮৫ শতাংশের বেশি পেয়ে এমপি হলেও এবার তিনি নির্বাচনে নেই। নৌকা না পেয়ে সরে গেছেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনের দু’বারের এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এবার নৌকা পাননি। দলীয় প্রতীকে ‘হাতুড়ি’ নিয়ে মাঠে নেমেও সরে গেছেন ‘জয়ের সম্ভাবনা না থাকায়’। অথচ তিনিও গত নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। 

এমপিদের আসনে সন্তান-স্বজন 

চট্টগ্রাম-১ আসনের সাতবারের এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন চাননি। তাঁর ছেলে মাহাবুব উর রহমান রুহেল নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের রংপুর-৫ আসনে তাঁর ছেলে রাশেক রহমান প্রার্থী হয়েছেন। টানা সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলামের ঠাকুরগাঁও-২ আসনে তাঁর ছেলে মাজহারুল ইসলাম নৌকা পেয়েছেন। ঢাকা-৭ আসনে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম এবার নৌকার মাঝি। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে বর্তমান এমপি অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতার বদলে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ভাই সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম। নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌসের বদলে তাঁর স্বামী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী প্রার্থী হয়েছেন। খেলাপি ঋণের কারণে গেল তিন নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। এই ছয় এমপি ভোটের প্রচারে রয়েছেন স্বজনকে জেতাতে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button