দিল্লির সঙ্গে ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করলেন মুইজ্জু
- মালেকে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত দিল্লি
- লাল গালিচা সংবর্ধনা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
- এই সফর সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ বলে মন্তব্য নরেন্দ্র মোদির
মালদ্বীপের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে ভারত। পাঁচ দিনের ভারত সফরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর এই চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়।
এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে ৪০ কোটি ডলারের কারেন্সি সোয়াপ চুক্তি এবং আরেকটি অতিরিক্ত ৩০ বিলিয়ন রুপির (৩৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার) সোয়াপ চুক্তি হয়েছে, যা কোম্পানিগুলোকে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে স্থানীয় মুদ্রায় ব্যবসার সুযোগ দেবে।
সাম্প্রতিককালে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির পরও ভারতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দ্বীপ দেশটির প্রেসিডেন্টের এই সফরকে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, মালদ্বীপের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত সবসময় পাশে থাকবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য মালে ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতির ইঙ্গিত দেয়, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মুইজ্জু তুরস্ক ও চীন সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ জানুয়ারিতে তার সেই সফরকে ভারতের প্রতি কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা।
কেননা মালদ্বীপের পূর্ববর্তী নেতারা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে দিল্লি সফর করতেন৷ প্রায় একই সময়ে মোদি সম্পর্কে মালদ্বীপের তিন কর্মকর্তার অবমাননাকর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় ভারত।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মালদ্বীপের ভঙ্গুর অর্থনীতি দেশটির নেতৃত্বকে ভারতের সাথে সম্পর্ক সংশোধন করতে বাধ্য করেছে। মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা দেড় মাসের আমদানির জন্য যথেষ্ট।
সোমবার মুইজ্জু জানান, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের সহযোগিতার পথ নির্ধারণের জন্য তিনি মোদির সঙ্গে ‘বিস্তৃত আলোচনা’ করেছেন। তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, আর্থিক সহায়তা ‘বৈদেশিক ঋণের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে’। দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য একটি চুক্তিতেও সম্মত হয়েছে।
মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে বিবিসিকে মুইজ্জু বলেছিলেন, অতীতের মতো এবারও ভারত তাকে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন এবং অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি সেগুলোর আরও ভালো বিকল্প এবং সমাধান খুঁজে বের করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।