দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ
দিল্লি আবগারি নীতির সাথে যুক্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অপসারণের জন্য দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেছে, এটি আদালতের হস্তক্ষেপের আওতার বাইরে পড়ে।
বিচারপতি মনমীত পিএস অরোরাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, সরকারের অন্যান্য বিভাগগুলো আইন মেনে এর পরীক্ষা করবে।
শুনানি চলাকালীন আদালত আবেদনকারী সুরজিৎ সিং যাদবের আইনজীবীকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকার আইনি বাধা দেখানোর জন্য নির্দেশ দেয়। আদালত বলে, ‘ব্যবহারিক অসুবিধা থাকতে পারে, কিন্তু সেটা অন্য কিছু। আইনি বাধা কোথায়?’
কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টির (আপের) জাতীয় আহ্বায়ক। তাকে ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। পরে দিল্লির একটি আদালত ২৮ মার্চ পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে পাঠায়। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষে আবগারি নীতি প্রণয়ন সম্পর্কিত ষড়যন্ত্রে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ইডি হেফাজতের মেয়াদ ১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই মামলায় আদালতকে ইডি জানিয়েছে, অরবিন্দ কেজপিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের একটি ফোন থেকে কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য সময় চাই। এদিন শুনানির সময় কোর্টে ইডির বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন কেজরিওয়াল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই মদ নীতি কেলেঙ্কারি থেকে অর্জিত অর্থ কোথায়? ইডি দ্বারা দাবি করা ১০০ কোটি মূল্যের অর্থের অস্তিত্ব নেই।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ইডি তদন্তের পর শুরু হয় আসল মদ কেলেঙ্কারি। দিল্লির গ্রেফতার হওয়া মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘যতদিন চান আপনারা আমায় রিমান্ডে রাখতে পারেন…আমি তদন্তের জন্য প্রস্তুত।’