দীর্ঘক্ষণ ফোনালাপ ট্রাম্প-পুতিনের, শান্তিচুক্তিতে প্রস্তুত রাশিয়া

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত রাশিয়া। এ চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং সংঘাত নিষ্পত্তির নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফোনালাপের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পুতিন।
ফোনালাপ শেষে পুতিন বলেন, আমরা একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে সংঘাত নিষ্পত্তির মূলনীতি, চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সীমা এবং প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এদিকে ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে জানান, আলোচনাটি ‘খুব ফলপ্রসূ’ হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুদ্ধের অবসান ঘটানো।
ক্রেমলিন বলেছে, ইস্তাম্বুলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি আলোচনার পটভূমিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল।
তিন দিন আগে ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষের আলোচনায় ১ হাজার বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হয় এবং একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির রূপরেখা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৮ মার্চ পুতিন ও ট্রাম্পের আগের ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। পুতিন ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করলেও ইউক্রেন তা গ্রহণ করেনি এবং তাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখে। রাশিয়া ইস্টার সানডে ও বিজয় দিবসে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও সেগুলো কার্যকর হয়নি।
আরো আগে ১২ ফেব্রুয়ারির ফোনালাপে রাশিয়া-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন সমস্যা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা হয়। তখন দুই নেতা ভবিষ্যতে একটি সরাসরি বৈঠক করার ব্যাপারেও সম্মত হন।
রাশিয়ার সর্বশেষ ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাশিয়া এখন কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য পথ খুঁজছে। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা নির্ভর করছে ইউক্রেনের অবস্থান, পশ্চিমাদের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ আলোচনার সফলতার ওপর।