দুর্লভ খনিজ পণ্য রফতানি নিয়ন্ত্রণে চীনের তৎপরতা জোরদার

মিথ্যা ঘোষণা, পণ্য গোপন রাখা ও ‘তৃতীয় দেশ’ হয়ে পণ্য পরিবহনের মতো সাধারণ চোরাচালান কৌশলগুলো এখন আরো বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর রফতানি নিয়ন্ত্রণে চীন আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চোরাচালান রোধে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, শুক্রবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু বিদেশী প্রতিষ্ঠান দেশীয় অসাধু চক্রের সাথে মিলে চোরাচালানের নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করছে। তারা নজরদারি এড়িয়ে কৌশলগত খনিজ বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় একাধিক সরকারি বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।
চীনের মতে, মিথ্যা ঘোষণা, পণ্য গোপন রাখা ও ‘তৃতীয় দেশ’ হয়ে পণ্য পরিবহনের মতো সাধারণ চোরাচালান কৌশলগুলো এখন আরো বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘কৌশলগত খনিজের অবৈধ প্রবাহ বন্ধ করা, চোরাচালান রোধ করা এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এখন অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে চীন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে টাংস্টেন এবং সাত ধরনের দুর্লভ খনিজের রফতানি সীমিত করে। এর আগে, ২০২৪ সালে, চীন গ্যালিয়াম, অ্যান্টিমনি ও জার্মেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে, যেগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ও ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বের দুর্লভ খনিজ বাজারে চীন দীর্ঘ দিন ধরেই প্রধান সরবরাহকারী। এসব খনিজ স্মার্টফোন, উইন্ড টারবাইন, সামরিক সরঞ্জামসহ নানা পণ্যে কাজে লাগে। এই খনিজের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং বিকল্প উৎস খোঁজা বর্তমানে ওয়াশিংটনের অন্যতম অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।
এদিকে, এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, চীন সরকার কয়েকটি কোরীয় কোম্পানিকে সতর্ক করেছে, তারা যদি চীনা খনিজযুক্ত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে সরবরাহ করে, তবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।