দেড় ঘণ্টায় জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল-পাল্টাদখল
জাতীয় পার্টির (জাপা) কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘণ্টা দেড়েকের জন্য দখলে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের অনুসারীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান তাঁরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পর দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারীরা এসে কার্যালয় দখলে নেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, রওশনপন্থীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
সকাল ১০টার দিকে তাঁরা কার্যালয় ছেড়ে যান। এরপর জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারীরা কার্যালয় দখলে নেন।
সম্প্রতি জাপার নেতৃত্ব নিয়ে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের বিরোধের জেরে কার্যালয় দখল-পাল্টাদখলের এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নেতা বলেন, সকালে ৩০-৩৫ জন লোক কার্যালয়ের ফটকে নক করে।
ছুটির দিনের সকাল হওয়ায় ওই সময় কর্মচারীরা ছাড়া কেউ ছিলেন না। নেতাকর্মীরা না থাকার সুযোগে বহিরাগতরা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। পরে তারা নিজে থেকেই চলে গেছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপার ভরাডুবির পর সক্রিয় হয়েছেন রওশন।
নির্বাচনে জি এম কাদেরের ভূমিকার সমালোচনা করে পদ হারানো নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। গত ২৮ জানুয়ারি সভা ডেকে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন রওশন। জি এম কাদের এবং জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
কার্যালয়ে প্রবেশ করলেও মহাসচিবের কক্ষে বসেননি রওশন এরশাদ মনোনীত জাপা মহাসচিব কাজী মামুন। কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
তিনি বলেছেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও সাবেক মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় পার্টির ক্ষতি করেছেন, ইমেজ নষ্ট করেছেন। কাদের-চুন্নুর জন্য আজ দলের বেহাল দশা। তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা নেই। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। আজ থেকে কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করলাম।’
তবে তাঁরা যে কার্যালয়ে যাবেন তা আগে বলেননি। গতকাল সকালে কাকরাইল কার্যালয়ে যাওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন সুনীল শুভরায় ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু। ছিলেন জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পদত্যাগ করা ৬৭১ নেতাকর্মীর অনেকেই।