দ্বিতীয় রোগীর মস্তিষ্কে সফলভাবে চিপ বসিয়েছে নিউরালিংক
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক সফলভাবে দ্বিতীয় রোগীর মস্তিষ্কে চিপ বসিয়েছে। ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেইসেস (বিসিআই) নামের এ ডিভাইস প্যারালাইজড রোগীদের চিন্তার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয়।
নিউরালিংক তার ডিভাইসটি পরীক্ষা করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা মেরুদন্ডের আঘাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ডিভাইসটি প্রথম রোগীকে ভিডিও গেম খেলতে, ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে এবং তার ল্যাপটপে কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছে।
গত বছরের শরতে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘এফডিআই’-এর সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই নিজেদের প্রথম পরীক্ষা চালানোর লক্ষ্যে মানব রোগীর খোঁজ শুরু করে কোম্পানিটি। সে সময় নিউরালিংক বলেছিল, যাদের ‘সার্ভিকাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি’ বা ‘অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (এএলএস)’র কারণে ‘কোয়াড্রিপ্লেজিয়া’ (মেরুদণ্ড অকেজো হয়ে যাওয়া) হয়েছে, তারা এ গবেষণার উপযুক্ত হতে পারেন।
শুক্রবার প্রকাশিত একটি পডকাস্টের সময় করা মন্তব্যে মাস্ক, দ্বিতীয় অংশগ্রহণকারীর সম্পর্কে কিছু বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। তিনি জানান, প্রথম রোগীর মতোই দ্বিতীয় রোগীও মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছিলেন, যিনি সড়ক দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন। মাস্ক বলেন, দ্বিতীয় রোগীর মস্তিষ্কে ইমপ্লান্টের ৪০০ ইলেক্ট্রোড কাজ করছে। নিউরালিংক তার ওয়েবসাইটে বলে যে, এর ইমপ্লান্ট ১,০২৪ ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করে। এটা খুব ভালো কাজ করছে।
নিউরালিংক কখন দ্বিতীয় রোগীর অস্ত্রোপচার করেছিলেন তা মাস্ক প্রকাশ করেননি। মাস্ক বলেছেন যে, তিনি আশা করেন নিউরালিংক তার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অংশ হিসাবে এই বছর আরও আট রোগীকে ইমপ্লান্ট সরবরাহ করবে।
মাস্ক আরও বলেছেন যে, তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন, যাকে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে সমর্থন করেছেন। তারা ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ হ্রাসের মাধ্যমে ‘সরকারি দক্ষতা’ উন্নত করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। মাস্ক বলেছিলেন যে, তার দৃষ্টিতে মার্কিন আইন উদ্ভাবনকে বাধা দেয়।