International

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬: ভারতের উত্তর প্রদেশ

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাতরাস জেলার রতিভানপুর গ্রামের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৎসঙ্গে একজন ধর্ম প্রচারক ও তার স্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন।

সে অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ম প্রচারক সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবার ব্যানারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন।

আলিগড় রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক শলভ মাথুর বলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ইতাহ ও হাতরাস জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে জমায়েতের জন্য একটি অস্থায়ী অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

ইতাহের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ইতাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ২৭টি মৃতদেহ এসেছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছে। আহত অন্তত ১৫০ জনকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।’

ইতাহের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রাজেশ কুমার বলেন, ‘রোগীদের থাকার জন্য মেডিক্যাল কলেজের সামর্থ্য শেষ হয়ে গেছে।

আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে পদদলিতদের জন্য শয্যা বরাদ্দ করতে বলেছি। ত্রাণ ও উদ্ধারের ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে চলছে।’

এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘সৎসঙ্গে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল। আমরা পদদলিত হওয়ার সঠিক কারণ জানি না। তবে শ্বাসরোধের ফলে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হাতরাসে পদদলিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য আগ্রা জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও আলিগড়ের পুলিশ কমিশনারসহ একটি তদন্তদল গঠন করেছেন বলে জানায় পুলিশ।

ইতাহের পাটিয়ালি তহসিলের অন্তর্গত বাহাদুর নাগরী গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা প্রায় ২৭ বছর ধরে এই অঞ্চলে ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ধর্ম প্রচার করতেন। তার আসল নাম নারাইন সাকার হরি। তিনি প্রায় ২৭ বছর আগে সরকারে চাকরি ছেড়ে ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন বলে জানান এক কর্মকর্তা।

এএফপির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতে ধর্মীয় সমাবেশগুলোর খুবই খারাপ রেকর্ড রয়েছে। সমাবেশ পরিচালনা ও নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে।

হিন্দু নববর্ষ উদযাপনের সময় ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ আতশবাজি প্রদর্শনীতে একটি মন্দিরে বিস্ফোরণে অন্তত ১১২ জন নিহত হয়েছিল। কেরালা রাজ্যের ওই মন্দির কমপ্লেক্সে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।

২০১৩ সালে মধ্যপ্রদেশের একটি মন্দিরের কাছে একটি সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন ভক্ত নিহত হয়েছিল। সে সময় ওই এলাকায় প্রায় চার লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। সেতুটি ভেঙে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ছোটাছুটি শুরু করলে পরে পদদলিত হয়ে তারা মারা যায়।

২০০৮ সালে উত্তর শহর যোধপুরে একটি পাহাড়ের মন্দিরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জন তীর্থযাত্রী নিহত ও ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor