নাইজেরিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলার পর ২৮৭ শিক্ষার্থীকে অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এ ঘটনার পর অন্তত ২৮৭ শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেশটি থেকে গণঅপহরণের খবর পাওয়া গেলো।
নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু শুক্রবার (০৮ মার্চ) এ বিষয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) একদল বন্দুকধারী দেশটির উত্তরাঞ্চলের কুরিগা শহরে একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপহরণের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নাইজেরিয়ার চিকুন জেলায় অবস্থিত ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান, বন্দুকধারীরা গোলাগুলি শুরু করার পর অনেক শিক্ষার্থীকে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হন শিক্ষকরা। এরপর মাথা গুনতে গেলে দেখা যায় অন্তত ২৮৭ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ। যারা নিখোঁজ রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে তাদের বয়স আট থেকে পনেরো বছরের মধ্যে। এর মাঝে ১২৫ জন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আদম বলেন, ২৮০ জনেরও বেশি বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এই সংখ্যা ২০০ হবে, তবে সাবধানে হিসাব করে দেখা গেছে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছে।
নাইজেরিয়ায় মুক্তিপণের জন্য অপহরণ একটি সাধারণ ঘটনা। সেখানে অপরাধী দলগুলো অতীতে স্কুল ও কলেজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যদিও এ ধরনের আক্রমণ সম্প্রতি অনেকটাই কমে এসেছে। কুরিগার স্থানীয় কাউন্সিলর ইদ্রিস মায়ালুরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে গেলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
অভিভাবক ও বাসিন্দারা অপহরণের ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী করেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের নিরাপদে উদ্ধার এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, স্কুলগুলো নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত। কোনো শিশুকে যেন তাদের শিক্ষা ও জীবনের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে না হয়।