Hot

নানা উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দ্রব্যমূল্য

দেশে টানা চতুর্থ দফা ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এই মেয়াদে সরকারের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে গতকাল শনিবার। প্রথম ১০০ দিন নিয়ে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও ছিল বেশ কিছু উদ্যোগ। এর মধ্যে অন্যতম হলো– দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা, জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব উদ্যোগের অনেকটির ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি। 

দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর দিকে নজর দেয়। প্রথমবারের মতো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু সরকারের প্রথম ১০০ দিনে পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে পারেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাশাপাশি ডলার সংকট কিছুটা কমলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট চার মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত ২১ জানুয়ারি বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী। ওই বৈঠকে রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ককর কমানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং পরে তা কমানোও হয়। কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতি দেওয়ার পাশাপাশি নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসেনি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত জানুয়ারির তুলনায় মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জানুয়ারিতে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। জানুয়ারির তুলনায় মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। তবে গত ১৩ মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি।

এদিকে বাজেট ঘাটতি সীমিত পর্যায়ে রাখতে সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের কাটছাঁট করে বাজেট সংশোধন করা হয়। তারপরও সরকারের অর্থ সংকট রয়ে গেছে। মুদ্রাবিনিময় হার কিছুটা বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ নেওয়ায় নতুন সরকারের শুরুতে ডলারের যে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল বর্তমানে তা কিছুটা কম। তবে সংকট পুরোপুরি কাটেনি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। অথচ দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় এরই মধ্যে চলতি হিসাবে উন্নতি হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদহার বেশি হওয়ার পাশাপাশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণ নিচ্ছে না। ফলে নতুন ঋণের পরিবর্তে কিস্তি পরিশোধই বেশি হচ্ছে। তা ছাড়া একই কারণে বিদেশি বিনিয়োগে গতি আসছে না। তাই খুব সহসা আর্থিক হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার আশা করা যাচ্ছে না।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যকর রাখতে জোর দিয়ে আসছেন আহসানুল ইসলাম টিটু। এ লক্ষ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও স্থানীয় সরবরাহ আরও জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এসব উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। গত ১৫ এপ্রিল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন দাবি করেন তিনি।

তবে প্রতিমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও বাজারচিত্র ভিন্ন। গত শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পর ফের উত্তাপ ছড়ানো শুরু করেছে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দর। ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্তে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের সরবরাহে টান নেই। কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। 

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে চায় সরকার
২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার এ সময়ের মধ্যেই চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে দু’দেশ। এরও আগে গত ডিসেম্বরে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। একইভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টায় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো
গত ৭ জানুয়ারির ভোটের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো। এর মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে তৎপর দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে এসেছে দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা। নির্বাচনের পরপরই সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা সফরে আসেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার। নতুন সরকার গঠনের পর জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ১০০ দিনে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুইডেনের রাজকন্যা, আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী, ভুটানের রাজা, ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প চালু
সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বেশকিছু নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগে। এ বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন শনিবার সমকালকে বলেন, গত ১০০ দিনের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি গেটের কাছের র‍্যাম্প চালু হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেন করা হয়েছে। বিআরটির বোর্ডবাজার পর্যন্ত নিচের অংশও চালু হয়েছে। ঢাকা ইপিজেড থেকে তিন কিলোমিটার সড়ক নতুন দুটি লেন চালু করে মোট তিনটি লেন হয়েছে। এসব কারণে ঈদযাত্রা সহজ হয়েছে। এ সময় আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলোর সুফল আগামীতে দেখা যাবে।

কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানো চূড়ান্ত
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন সমকালকে জানান, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রচুর কাজ করেছে। এ সরকারের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত প্রায়। নতুন শ্রমবাজারের মধ্যে রাশিয়াতে শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। কোরিয়া ও জর্ডানে গার্মেন্টস শ্রমিক যাবে। কুয়েতে যাবে নার্স। কথাবার্তা চলছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া দুবাইয়েও শ্রমিক যাবে। এ মন্ত্রণালয়ের বড় কাজ দক্ষ শ্রম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, সেটি জোরদার করা হয়েছে।

ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বায়ুদূষণ কমাতে ১০০ দিনে রাজধানীর আশপাশের ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কিছু ইটভাটায় জরিমানা করা হলেও কোনো ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ঢাকার চারপাশে এক হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। দিনে তিন-চারটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা ছিল। লক্ষ্য ছিল ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে সাবের হোসেন চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে অংশীজনের পরামর্শ নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। বৈশ্বিক বায়ুদূষণ সূচকে প্রথমদিকে থাকা ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বায়ুদূষণ মান ২৫০-এর উপরে গেলে অ্যালার্ট জারি করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। আড়াই মাস ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুদূষণ নিয়ে প্রতিদিন তথ্য থাকছে। 

দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার চেষ্টা
দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১৬১২২, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও সরকারের ৩৩৩ হটলাইনের মাধ্যমে ভূমির দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করছেন। এরই মধ্যে ঢাকার ধানমন্ডি ও লালবাগ এসিল্যান্ড অফিস পরিদর্শন করেছেন। দেশের ১৬টি জেলা, ৩২টি উপজেলা, ৬৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ঘিরে একশ দিনের পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের জমির মালিকদের খতিয়ান দেওয়া, উপজেলা পর্যায়ে নামজারি নিশ্চিত করা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে অর্পিত সম্পত্তি যথাযথভাবে প্রদান করতে এরই মধ্যে দুটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। একই দাগে অর্পিত সম্পত্তির সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকলে এবং সেটা আদালত থেকে বা সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত হলে অর্পিত অংশটুকু নামজারি করে বাকিটুকু প্রকৃত মালিককে নামজারি করে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন অর্পিত সম্পত্তি ব্যক্তির দখলে থাকলে, সেটা দখলমুক্ত করে সরকারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ১০০ দিনের কোনো পরিকল্পনা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের জন্য একশ দিন খুবই অল্প সময়। ১০০টি হাসপাতালও এখন পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও বেসরকারি হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি। সেবামূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে কাজ চলমান। সেবা বিকেন্দ্রীকরণে উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।’ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাত দুর্নীতিমুক্ত করা মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান প্রজেক্টের আওতায় উপাত্ত সংগ্রহ (ডেটা কালেকশন) ও জিআইএস তথ্য সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ মতামত সংগ্রহ হয়। তা ছাড়া মহেশখালীতে নির্মাণাধীন যাত্রী ছাউনি ও ভাস্কর্যের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button