নানা সংকটের মাঝেও বাড়ছে বিশ্ব বাণিজ্য
আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস খানিকটা বাড়িয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল ট্রেড আউটলুক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস আপডেট প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত সংস্থার প্রতিবেদনে পূর্বাভাস ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে ডব্লিউটিওর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্চলিক সংঘাত ও নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়াসহ নানামুখী সংকটের মাঝেও ধীর গতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুনরুদ্ধার হচ্ছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে মূল্যস্ফীতি অনেক কমে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাতে পেরেছে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো সুদহার কমানোয় বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। এতে বিশ্ব বাণিজ্যেও গতি বাড়বে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমে আসায় পরিবার পর্যায়ে প্রকৃত আয় বাড়বে। এতে ভোক্তা ব্যয়ও বাড়াবে। পণ্য বাণিজ্যে যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গত বছর বিশ্ব বাণিজ্যে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি। উল্টো ২০২২ সালের তুলনায় পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যায় ১ দশমিক ১ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় কয়েকটি ঝুঁকির কথাও জানিয়েছে ডব্লিউটিও। ঝুঁকিগুলো হচ্ছে আঞ্চলিক সংঘাত, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা। ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়লে পণ্য পরিবহনে সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দামও। কারণ পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদনের অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বছরের জন্য বিশ্ব পণ্য বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস খানিকটা কমিয়েছে ডব্লিউটিও। সংস্থাটি মনে করছে, আগামী বছর পণ্য বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ শতাংশ। এর আগে গত এপ্রিলে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) পণ্য রপ্তানি বাড়তে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। গত বছর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর গড় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।