Bangladesh

নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের ৫৯০ কোটি টাকা লেনদেন, নানা ­সন্দেহ

মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস। বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়। থাকেন ঢাকার মিরপুরে। পরিচয় দেন ব্যবসায়ী। কখনো কাপড়ের, কখনো স্বর্ণের।  প্রতি মাসেই ব্যবসার স্থান পরিবর্তন করেন। নিজস্ব ব্যাংক হিসাবেও একাধিক ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। পরিচিতজনের কাছে আই নক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, মা গোল্ড হাউজের স্বত্বাধিকারী পরিচয়  দেন। যদিও এই নামে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে এইসব প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি একাধিক ব্যাংকে অন্তত ৯৬টি হিসাব খুলেছেন।

করেছেন শত শত কোটি টাকার লেনদেন। প্রতিটি ব্যাংক হিসাবেই ঘুরেফিরে ৫ থেকে ৬ ব্যক্তি টাকা জমা করেছেন। কেউ গুলশান থেকে কেউ আবার ধানমণ্ডি থেকে। এই টাকার পরিমাণ ৫৯০ কোটির উপরে। কিন্তু এই টাকা তুলেছেনও একজন ব্যক্তিই। ব্যবহার করেছেন পুরান ঢাকার ইসলামপুর শাখা। কীভাবে বিপুল পরিমাণ এই টাকা লেনদেন করলেন মনীন্দ্র নাথ। এই টাকার উৎস কী? 


নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের এতো টাকা লেনদেনের রহস্য কী? ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঠিকানা নিয়ে এতো লুকোচুরি কেন?
এসব প্রশ্নের জবাব মিললো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের এসব সন্দেহজনক লেনদেনের অনুসন্ধান করেছে সংস্থাটি। তদন্তে তারা নানা গরমিল ও তথ্য মুছে ফেলার প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণে এই সন্দেহজনক লেনদেনকে হুন্ডির টাকা আদান- প্রদান হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন তাখিলের পরে ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকার ইসলামপুর শাখায় মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আই নক্স ফ্যাশন ও ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের নামে খোলা হিসাবগুলোতে যে নগদ টাকা জমা করা হয়েছে তার বেশির ভাগই গুলশান তাহের টাওয়ারের ২২০ নং দোকানের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এসএম ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এসএম সৌরভ করিম, নাজমুল শিকদার, সাকিবুর, আশরাফুল, তারিকুল নামের ৪ ব্যক্তি নানা সময়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা জমা করেন। সরজমিন ওই ঠিকানায় গিয়ে এসএম ট্রেডিং নামে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হদিস মেলেনি। এদিকে ৯৬টি একাউন্টে জমা করা সব টাকাই ঢাকার ইউসিবিএল, এনআরবিসি, সাউথইস্ট, এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা থেকে উত্তোলন করেছেন রাজিব সরদার নামের এক ব্যক্তি। রাজিব মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ব্যক্তিগত সহকারী। টাকা উত্তোলনকারী রাজিব সরদার মানবজমিনকে বলেন, আমি টাকা তুলেছি এটা সত্য। আমি চাকরি করি। মালিক যা বলবে আমি তা করতে বাধ্য। টাকা আমার এনআইডি ব্যবহার করে তুলেছি। তবে পরিমাণটা ৫০০ কোটি হবে না। আমার যতদুর মনে পড়ে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হবে। কিসের টাকা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিসের টাকা তা আমার জানা নেই। টাকা আসলে তিনি আমাকে তুলে আনতে বলতেন। আমি কখনো জানতে চাইনি। আর আমার জানার দরকারও ছিল না। এই বিষয়ে সিআইডিও আমাকে ডেকেছে। ওখানে গিয়েও আমি এই কথা বলে আসছি। 

টাকা জমায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে- 
এমএস ট্রেডিং, মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ফরচুন ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড, মেসার্স খান ট্রেডিং, এসআই ইন্টারন্যাশনাল, নোহা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ, স্টার ডিএমসি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, শোয়েব হেল্থ টেক, এসআই ইন্টারন্যাশনাল, প্রাইম টেডার্স, জেসি ট্রেডিং, টিজি লজিস্টিকস বিডি লিমিটেড থেকে বিভিন্ন সময়ে ৫৯০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এসব প্রতিষ্ঠান  বৈদাশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা করে। কিন্তু তাদের কারোরই কোনো লাইসেন্স নেই। এর আড়ালে হুন্ডির টাকা লেনদেন করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ব্যাংক হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রেডিং ব্যবসার প্রতিনিধি, মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহকারী, মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস অপরাটেরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ টাকা জমা করেন। টাকা জমা করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই টাকা ঢাকার ইসলামপুর শাখা থেকে তুলে নেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি টাকা ঢোকে এসএম ট্রেডিং ও মেসার্স খান ট্রেডিং থেকে। এই প্রতিষ্ঠান দু’টির পক্ষে আরাফাত ও নাজমুল শিকদার, সাকিবুর রহমান বিপুল পরিমাণ টাকা জমা করেন। গোলাম সারওয়ার আজাদ ও ওহিদুজ্জামান নামের দুই ব্যক্তিও টাকা জমা করেন।  

এছাড়া এনআরবিসি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের আয়কর নথিতে দেখা গেছে, তিনি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ কোটি ৫ হাজার টাকা আয়ের বিপরীতে ৫ লাখ টাকা কর প্রদান করেছেন। ৫৯০ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়টি গোপন করেছেন। এবং বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছেন। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইসলামপুর শাখায় আই নক্স ফ্যাশনের একটি হিসাব নং ০০-৮২১১-২০০০-০০৬০-৪২ চলতি হিসাবে বিভিন্ন ধাপে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা করা হয়। পরে মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের কর্মচারী রাজিব সরদার এই টাকা উত্তোলন করেন। হিসাবটিতে টাকা জমাকারীদের মধ্যে ধানমণ্ডির রাপা প্লাজা থেকে আরাফাত, মেসার্স খান ট্রেডিং থেকে শফিকুজ্জামান, নিশান শিকদার, সাগর, তুহিন, সাকিব, আবু জাহিদ, এসএম ট্রেডিংয়ের সাকিবুর রহমান, আবদুল কাদের, আশরাফুল, এসএম ট্রেডিংয়ের আহাদ। এই টাকার পুরোটাই ব্যাংকটির বনানী ও শুলশানের কর্পোরেট শাখা থেকে জমা করা হয়। এছাড়া ঢাকা ব্যাংকের ইসলামপুর শাখায় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ নামের চলতি হিসাব নং ২১১১-০৯০০-০০৭৬৩ হিসাবে এক বছরে ১১ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার টাকা লেনদেন করা হয়। নাভানা গ্রুপের কর্মচারী নাজমুল ইসলাম শিকদার এ অর্থ জমা করেন। তবে জমাকৃত টাকার পুরোটাই মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের কর্মচারী রাজিব সরদার ব্যাংকটির ইসলামপুর শাখা থেকে উত্তোলন করেন। একই প্রতিষ্ঠানের ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখা হিসাব নং ০৩৩১-০২০০-০৪৮৭৩ চলতি হিসাবে ২০২২ সালের শুরু থেকে ২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৭ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার টাকা বিভিন্ন হিসাব থেকে জমা করা হয়। পরে ওই টাকা ব্যাংকটির বংশাল শাখা থেকে রাজিব সরদার নামের একই ব্যক্তি তুলে নেন। টাকা পাঠান নাজমুল শিকদার, মো. সাকিবুর রহমান, আশরাফুল, ল্যান্ডমার্কের পক্ষে ইয়াসমিন ও তারিকুল ইসলাম, এসআই ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে ওহিদুজ্জামান, সাব্বির হোসেন। 

ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের সন্দেহজনক লেনদেন  
এবি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা হিসাব নং ৪০১৭-৭৫১৮-১৪৩২৪ চলতি হিসাবে ২০২১ সাল থেকে ২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ১১ কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার টাকা জমা করা হয়। হিসাবটিতে গুলশানের তাহের টাওয়ারের দোকান নং ২২০ থেকে ধারাবাহিকভাবে এসএম সৌরভ করিম ও সাকিবুর রহমান জমা করেন। সৌরভ এসএম ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানটি  বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা পরিচালনা করে। কিন্তু তাদের কোন লাইসেন্স নেই। এছাড়া টাকা জমা করা অন্যদের মধ্যে রয়েছে মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজের মাসুম মিয়া, ফরচুন ল্যান্ডমার্ক লিমিটেডের আশরাফুল ইসলাম আলিফ, গোপালগঞ্জের সুমন মিয়া, লক্ষ্মীপুরের মো. দোলন, খুলনার সোহাগ মল্লিক, ঢাকার সোহেল রানা, সাব্বির, কানিজ ফারজানা, তারিকুল ইসলাম, আনোয়ার ও আবদুর রহমান নাভানা টাওয়ার। তবে ব্যাংকটির ইসলামপুর শাখা থেকে এই টাকা নগদে উত্তোলন করেন রাজিব সরদার ও মাইনুল নামে দুই ব্যক্তি। এনআরবিসি ব্যাংকের নয়াবাজার শাখা হিসাব নং ০১৩৯-৩৩৩-০০০০-৪১০ চলতি হিসাবে ২০২২ সালের শেষে ১১ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। 

গুলশানের তাহের টাওয়ার  দোকান নং ২২০ থেকে এসএম ট্রেডিং এর পক্ষে আশরাফুল, নাজমুল, তারিকুল, সাবিকুর নামের ব্যক্তিরা এই টাকা জমা করেন। পরে ইসলামপুর থেকে ওই টাকা রাজিব সরদার উত্তোলন করেন। এছাড়া এনআরবিসি ব্যাংকের নয়াবাজার শাখা হিসাব নং ০১৩৯-৩১১-০০০০০-৬৬৫ সঞ্চয়ী হিসাবে ৭৩ কোটি ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জমা করা হয়। গুলশানের তাহের টাওয়ার দোকান নং ২২০ থেকে এসএম ট্রেডিং এর পক্ষে আশরাফুল, নাজমুল শিকদার, তারিকুল ইসলাম, সাকিবুর এ টাকা জমা করেন। পরে এই টাকা রাজিব সরদার নামের ব্যক্তি উত্তোলন করেন। একই কায়দায় ব্র্যাক ব্যাংক এলিফ্যান্ট রোড শাখা হিসাব নং ১৫৩-৫২০৩-৪০৯১-১৮০০১ চলতি হিসাব ও নোহা এন্টারপ্রাইজের একটি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি টাকা জমা করা হয়। 
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় প্রতিষ্ঠান মেসার্স  নোহা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ ও মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়াহিদুজ্জামান এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিক মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ ও ওয়াহিদুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালে মার্কিন নাগরিক ডেবোরাহ জন্সটন রামলো ডেবির কাছ থেকে বাংলাদেশে পোশাক খাতে বিনিয়োগের কথা বলে ২ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেন। তারা তখন নিজেদের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। পরে ওই টাকা আর ফেরত দেননি। পরে মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাইলে পরে তারা তদন্ত করে বাংলাদেশি ওই দুই নাগরিকের সংশ্লিষ্টতা পান। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা শাখাকে অবহিত করেন। প্রতারণার টাকা কীভাবে কোন হিসাবে ট্রান্সফার করা হয় সেই বিষয়ে একটি প্রাথমিক তথ্যও দেয়া হয়। 

ওই তথ্যে দেখা গেছে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা আই নক্স ফ্যাশনের হিসাব নং ২১১২-০০০০-০৬০৪২, একই এলাকার ঢাকা ব্যাংকে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের হিসাব নং ২১১১-০৯০০-০০৭৬৩ ও এবি ব্যাংকে হিসাব নং ৪০১৭-৭৫১৮-১৪৩২৪, ওয়ান ব্যাংকে আসমা টি তাহেরের হিসাব নং ০৩৩১০-২০০০-৪৮৭৩, পূবালী ব্যাংকে নোহা এন্টারপ্রাইজের হিসাব নং ৩৭৭০-৯০১০-০৮১৪১, জেপি মরগ্যান চেস ব্যাংকে আসমা টি তাহেরের হিসাব নং ২০৫৩-৩৭২৯৫, ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে মুহাম্মদ রুহুল হাসিনের হিসাব নং ২০১৮-১৩৯৩২৫। এসব হিসাবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা নানা প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার তথ্য পায়। এসব ব্যাংকেই ওই টাকা ট্রান্সফার করা হয়। 

এ বিষয়ে এসএম ট্রেডিংয়ের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টাকা জমাদানকারী এসএম সৌরভ করিম বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি এসএম টেডিংয়ে চাকরি করতাম। সেই সুবাধে মালিকের ব্যবসায়ের টাকা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন একাউন্টে পাঠাতে হতো। আমাদের কোম্পানি মূলত বিদেশি গিফ্ট আইটেম বিক্রি ও আমদানি- রপ্তানি করে। আমি মনীন্দ্র নাথের ব্যাংক হিসাবে ১৭০ কোটি টাকা কখনো দেইনি। আমি ২ বছরে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছি। এই বিষয়ে সিআইডিও আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সেখানে আমরা জবানবন্দি দিয়ে এসেছি। আমি মালিকের চাকরি করি। উনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে পাঠিয়েছি। অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়াহিদুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে আর কথা বলেননি। পরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

টাকা জমাকারী আরেকজন সাকিবুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান। প্রধান অভিযুক্ত মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক ঠিকানায় গিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মেলেনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d