Bangladesh

নামে ‘ডিজিটাল শহর’ কাজে…

মুক্তাদির রহমান। সবুজ শহর সিলেটের বাসিন্দা। বেসরকারি একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা শুরু করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র। ২০১৯ সালে তিনি শুনেছিলেন তার শহর ডিজিটাল হবে। বিনামূল্যে পাবেন ইন্টারনেট সুবিধা। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট করার জন্য তাকে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হতো হাজার টাকার বেশি। শহর ডিজিটাল হলে অন্তত বাঁচবে হাজার টাকা। হয়েছিলও তাই। কিন্তু দুই মাসের মধ্যে সেই সেবা ফুরিয়ে গেছে। নিজ পকেট থেকেই ইন্টারনেটের বিল মেটাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নেওয়া ‘ডিজিটাল শহর’ নামের পাইলট প্রকল্পটি এভাবে দায়সারাভাবেই শেষ হয়েছে দুটি শহর সিলেট ও কক্সবাজারে। নাগরিকরা কোনো বাড়তি সেবা পাচ্ছেন না। সমন্বয়ের অভাবে উল্টো বিরক্ত দুই সিটি করপোরেশন এবং এগুলোর পুলিশ প্রশাসন।

এ প্রকল্পের আওতায় পুরো শহর বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবা এবং সিসি ক্যামেরা নজরদারির আওতায় আসার কথা।

প্রকল্প অনুযায়ী, সিলেট শহরের ১২৬টি পয়েন্টে ফ্রি ওয়া-ফাই সুবিধা চালু হওয়ার কথা। দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে তা চালানোর পর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা হঠাৎ এক দিন সিলেট সিটি করপোরেশনকে প্রকল্প বুঝে নিতে বলে। সিটি করপোরেশন তখনই প্রথম জানতে পারে ওয়াই-ফাই পয়েন্টগুলো চালানোর খরচ তাদের বহন করতে হবে।

একই অবস্থা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশেরও। তারাও হুট করে জানতে পারে ১০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরাসহ ১১০টি পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা তাদেরই অপারেট করতে হবে এবং এগুলোর ব্যবস্থাপনার ব্যয় তাদেরই বহন করতে হবে।

গত সেপ্টেম্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের জিন্দাবাজার, উপশহর, শাহজালাল মাজার এলাকা, আম্বরখানা কিংবা বাসস্ট্যান্ড

কোথাও এখন ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ স্থানেই ওয়াই-ফাই মেশিন নষ্ট, সব মিলিয়ে সচল আছে মাত্র ৩০টি। তবে সচল থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সুবিধা। অধিকাংশ ফাইবার কেবল কাটা।

সিসি টিভির দায়িত্বে থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের ক্যামেরা নজরদারি হচ্ছে কোতোয়ালি থানায়। সেখানে ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সীমিত আয় নিয়ে নিয়মিত সেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডিজিটাল শহরের ওয়াই-ফাই সুবিধা তাদের ওপর বাড়তি বোঝা। এর পেছনে শুধু ব্যান্ডউইথের ব্যয়ই হবে বছরে ৪২ লাখ টাকা। ব্যবস্থাপনার খরচসহ বছরে প্রয়োজন হবে ৮৪ লাখ টাকা। এই অর্থ খরচের সামর্থ্য সিটি করপোরেশনের এখন নেই।

দায়সারা কম্পিউটার কাউন্সিল

২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি যখন নেওয়া হয়, তখন শুরুতে একটি বৈঠক করে সিলেট সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়, এটিকে ডিজিটাল শহর করা হবে। তখন এ খবরে খুশি হয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও শহর ডিজিটাল করার বিষয়টি রেখেছিলেন। এরপর দুই বছর ট্রায়াল রান করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

নগরের ৬২ এলাকায় ১২৬টি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই জোন স্থাপন করা হয়। ওই সময় ডিজিটাল সিলেট প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মধুসূদন চন্দ জানিয়েছিলেন, প্রতিটি অ্যাকসেস পয়েন্টে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ জন বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন। প্রতিটি অ্যাকসেস পয়েন্টের চারদিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ১০ মেগাবাইট।

২০২১ সালের ২১ মার্চ এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিলেট সিটি করপোরেশনকে। প্রকল্পটির খরচ কীভাবে চলবে, এ ব্যাপারে স্পষ্টতা না থাকায় সিটি করপোরেশন প্রথমে প্রকল্পটি নিতে চায়নি। পরে এ ব্যাপারে কয়েক দফা আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন তা গ্রহণ করে।

সিটি করপোরেশন প্রকল্প বুঝে নেওয়ার পর কয়েক মাস ওয়াই-ফাইসেবা চালু ছিল। এরপর তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। নগরে এখন ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড লিখে ওয়াই-ফাই সংযোগ মিললেও ইন্টারনেট ডিজেবলড দেখায়।

গত সেপ্টেম্বরে সিলেটের মেয়র ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তখন তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের হাওয়ার ওপর কী বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন, আমরা কিছুই বুঝিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরাও চাই। কিন্তু যখন আমাদের প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিয়ে গেল, আমি নিজে চেষ্টা করে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পাইনি, অন্যদের কথা কী বলব।’ তিনি বলেন, ‘আমি শুরুতেই তাদের বলেছিলাম এগুলো অফিস, আদালত, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থাপনের জন্য। স্কুল এলাকায় এগুলো যাতে না বসায়। তাতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হতে পারে। তারা সর্বত্র বসালেও তাদের ডিভাইস কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। খুবই নিম্নমানের ডিভাইস বসিয়েছে। এগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য দক্ষ মানুষ দিতে হবে, কিন্তু তারা তা দেয়নি। তাদের কাছে কোনো কিছু জানতে চাইলে তারা রেসপন্ডও করে না।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা জয়দেব বিশ্বাস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর ১২৬টি অ্যাকসেস পয়েন্ট দেখিয়ে টেন্ডার দেয় বিসিসি। সেটি তারাই স্থাপন করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো ব্যবস্থাপনা ও ব্যান্ডউইথের খরচের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের কাঁধে। এখন ব্যান্ডউইথ চালাতে হলে সিটি করপোরেশনের মাসে খরচ পড়বে সাত লাখ টাকা। এটি প্রায় অসম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘তারা যখন প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে এসেছিলেন, তখন মেয়র এটি পরিচালনার জনবল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারা সেটির কোনো জবাব দেয়নি। বর্তমানে অধিকাংশ ফাইবার কেবল এ মুহূর্তে কাটা। এগুলোর নিয়মিত ব্যবস্থাপনা করতে গেলে নতুন করে ৫ থেকে ৬ জনকে নিয়োগ দিতে হবে। যেটি এখন অসম্ভব।’

এই প্রকল্পটির সিসি ক্যামেরার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশকে। প্রথমদিকে এটি পুলিশের অপরাধ তদন্তে বেশ কাজে এসেছিল। ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করে ডাকাত ধরাও হয়েছিল ফেস রিকগনিশন ক্যামেরার মাধ্যমে। তবে এ সুবিধা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে বর্তমানে সচল ৩০টি। অর্থাভাবে সেগুলোও বিকল হওয়ার পথে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি প্রথমে আমাদের খুব উপকারে এসেছিল। সম্প্রতি হোটেল অনুরাগে একজন সবজি ফেরিওয়ালা খুন হয়েছিলেন। সেই খুনিকেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলোর ব্যবস্থাপনায় বিপুল অর্থের প্রয়োজন। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এটির জন্য বাড়তি বরাদ্দ নেই। আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রতিবছর এর ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ৯২ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ মুহূর্তে এগুলোর জন্য প্রতি শিফটে দুজন করে তিন শিফটে ছয়জন কাজ করছে। প্রথমে ১১০টি ক্যামেরাই সচল ছিল, কিন্তু কেবল নষ্ট হয়ে অধিকাংশ ক্যামেরার সার্ভিস বন্ধ রয়েছে দুই বছরের কাছাকাছি।’

এই প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করা। এই হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার রোগী বহির্বিভাগে সেবা নেয়। তবে শুরুতে পুরো হাসপাতালে একসঙ্গে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিকভাবে ক্যানসার ও চক্ষু বিভাগে এই অটোমেশন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে, এখনো সেখানে কাজই শুরু করতে পারেনি বিসিসি।

জানতে চাইলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ই-জেনারেশন সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে এই অটোমেশন ব্যবস্থা চালুর কথা। এই সফটওয়্যার তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বিসিসির তত্ত্বাবধানে তারা আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। হার্ডওয়্যার বুঝিয়ে দিয়েছে।’

অবশ্য ই-জেনারেশন সফটওয়্যার তৈরির দায়িত্ব পাওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বলছে, তারা কাজই পেয়েছে ২০২১ সালে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুম বলেন, ‘আমাদের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দুটি বিভাগে এটির কাজ শুরু হবে। এই বিভাগগুলোতে কাজ ভালোভাবে হলে বাকিগুলোও শুরু করা হবে। যখন এ প্রকল্পে ওসমানী মেডিকেলের অংশ ছিল না, তখন থেকেই আমাদের কাজ শুরু হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে কাজ সে কাজটি আমরা দুটি পেজে ভাগ করেছি। এক পেজের কাজ একেবারে শেষ, আরেকটির কাজ প্রায় শেষ। এ হাসপাতালে যেহেতু চাপ বেশি, তাই তারা পুরো হাসপাতালে একসঙ্গে চালু না করে কয়েকটি বিভাগে শুরু করতে চায়। তারা দুটি ডিপার্টমেন্ট দিয়ে শুরু করবেন। এ মাসের শেষের দিকেই তা শুরু হওয়ার কথা।’

কক্সবাজারেও একই চিত্র

এ প্রকল্পের আরেকটি অংশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কক্সবাজার শহরে। ডিজিটাল শহরের পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রথমে শুধু সিলেট থাকলেও পরে পর্যটননির্ভর হওয়ায় কক্সবাজার শহরকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

সরেজমিনে কক্সবাজারে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ৭৪টি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই থাকার কথা থাকলেও কোনোটিই এখন আর সচল নেই। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজারে এ কাজের ঠিকাদার ছিল ‘আমরা নেটওয়ার্ক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ৭৪টি স্থানে ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের কথা থাকলেও স্থাপন করা হয়েছে মাত্র ৬০টি। এগুলোর মধ্যে শুরু থেকেই ১১টিতে সংযোগ পাওয়া যায়নি। অর্থাভাবে এখন প্রায় সবগুলো যন্ত্রই বন্ধ।

কক্সবাজার শহরের সাইমন সৈকতে তিনটি, সুগন্ধা সৈকতে পাঁচটি, লাবণী ও কলাতলী সৈকতে পাঁচটি করে ১০টি, হোটেল-মোটেল রোডে আটটিসহ পুরো শহরে ৭৪টি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের কথা বিসিসির। কিন্তু সব জায়গায় ঘুরেও কোথাও কোনো ওয়াই-ফাই সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সার্কিট হাউজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, হিমছড়িতে ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের কথা থাকলেও কোনো সিগন্যালই পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা তানভীর রেজাউল বলেন, ‘সাধারণত এসব প্রকল্প কোনো সংস্থাকে বুঝিয়ে দিতে আসেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এসেছে শুধু ঠিকাদাররা। তাও কোনো রকমে দায়সারা বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। এটিতে আমরা বিব্রত।’

তিনি বলেন, ‘এগুলোর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে তার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের নিজেদের অর্থায়নে এগুলো চালানোরও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাদেরই সব খরচ দেওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের কোনো তথ্যই আমরা জানি না। এর ব্যয় কত, কবে অনুমোদন হয়েছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে কিছুই আমাদের জানানো হয়নি। এখন এগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার যদি আমাদের টাকা না দেয় তাহলে চালাব কীভাবে।’

প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান বলেন, ‘সিলেট সিটি ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল, সে অনুযায়ী বুঝিয়েও দিয়েছি। বুঝিয়ে দেওয়ার পরও আমাদের ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের এক বছর পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। তারপরও আরও এক বছর আমরা ফ্রি চালিয়েছি।’

অর্থ বরাদ্দ শেষ জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকল্পের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে এবং নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ থাকে। আমাদের যতটুকু বরাদ্দ ছিল, সে পর্যন্ত তাদের দিয়েছি। দেওয়ার পরও আরও এক বছর আমাদের ব্যান্ডউইথে চালিয়েছি। তাদের বারবার চিঠিপত্র দেওয়ার পরও এটি আর আবার চালু হয়নি।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d