Bangladesh

নিউমার্কেট সায়েন্সল্যাব চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য, হকার থেকে কোটিপতি অনেকে

পুলিশ কন্ট্রোল রুম ঘিরেও ফুটপাত বাণিজ্য, নিয়ন্ত্রণে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা * চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না-পুলিশ

সোমবার দুপুর দেড়টা। রাজধানীর নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব। পুরো এলাকা তখন ক্রেতা-বিক্রেতায় ঠাসা। হকারদের দখলে সব ফুটপাত। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাধ্য হয়ে পথচারীরা হাঁটছেন মূল সড়কে। সেখানেও স্বস্তি নেই। কোথাও কোথাও মূল সড়কের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ফুটপাত-রাস্তায় দোকান কেন-জিজ্ঞেস করতেই কয়েকজন হকার রাগান্বিত হয়ে বললেন, ‘প্রতিদিন টেকা দিয়া সিট (জায়গা) কিনছি, বোঝেন না ক্যান দখল করছি?’

সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেটের নূর ম্যানশনের সামনের রাস্তায় নিউমার্কেট থানা পুলিশ অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। পুলিশের চার কর্মকর্তা কন্ট্রোল রুমে বসে আছেন। তাদের পেছনেই রয়েছে আরও ফোর্স। কন্ট্রোল রুমের মঞ্চের নিচেও আছেন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য। কিছুক্ষণ পরপর তারা মাইকে বিভিন্ন ঘোষণা দিচ্ছেন। অথচ কন্ট্রোল রুমের চারপাশ ঘিরে রাস্তায় বসেছে দোকান। এর সামনে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বসেছেন দুই হকার। পূর্বদিকের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বসানো হয়েছে আরেকটি জুতার দোকান। কন্ট্রোল রুমের সাদা ক্যাপড়ের প্যান্ডেলের সঙ্গেই বসেছে দোকানটি। পশ্চিম পাশেও বসেছে এমন আরেকটি জুতার দোকান। ফুটপাত দখলের পর রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় নিউমার্কেট থেকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধের উপক্রম। সড়কের ডিভাইডারেও বসেছে দোকান। অথচ পুলিশ নীরব। এভাবে রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকা ঘিরে ফুটপাত ও সড়কে ১২শ থেকে ১৩শ দোকান রয়েছে। এগুলো থেকে বছরে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকার চাঁদা। পুলিশের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন বাণিজ্য। অথচ পুলিশের ভূমিকা ও বক্তব্য বরাবরই রহস্যজনক। সরেজমিন ফুটপাতে চাঁদাবাজির তথ্য অনুসন্ধানে গেলে হকারদের জবানিতেই এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। কয়েকজন হকার অকপটে যুগান্তরের কাছে ফুটপাতে চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে চাঁদাবাজির সদর-অন্দরের যেসব সাতকাহন বেরিয়ে আসে তাতে নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকা রীতিমতো চাঁদাবাজির এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। যার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ছাড়াও সরকারি দলের স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতার হাতে।

নিউমার্কেটের ফুটপাতে জামা-কাপড়, প্রসাধনীসামগ্রী, তৈজসপত্র, তরি-তরকারি, শরবতসহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। দুই থেকে তিন হাত জায়গা নিয়ে বসেছে একেকটি দোকান। অল্প কিছু স্থানে এর চেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে বসা দোকানও আছে। হকাররা জানিয়েছেন, প্রতিটি দোকানের জন্য জায়গা বরাদ্দ পেতে এককালীন ১০-২০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। এরপর প্রতিদিন দোকানপ্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। সাধারণত কাপড়ের দোকান থেকে ৩০০ টাকা এবং শরবতসহ এ ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান থেকে ১৫০-২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে ঈদের মৌসুমে বেড়ে যায় এই চাঁদার পরিমাণ। গড়ে প্রতিটি দোকান থেকে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। এই সময়ে কিছু কিছু জায়গা একই দিনে দুবার দোকান বসে। অর্থাৎ শিফট ভাগ করে দেওয়া হয়। কোনো কোনো দোকান থেকে আবার দিনের পরিবর্তে সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়। এমন ২০০-২৫০টি দোকান রয়েছে।

হকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১২শ দোকান থেকে গড়ে ২৫০ টাকা করে চাঁদা উঠলেও মাসে প্রায় এক কোটি টাকা ওঠে। আর ঈদে এই চাঁদার পরিমাণ বেড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা হয়ে যায়। বছরে দৈনিক চাঁদা এবং স্পেস বরাদ্দের জন্য নেওয়া এই টাকার পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। এই টাকা তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাসহ রাজনৈতিক কর্মীরা পায় একটি ভাগ। দ্বিতীয় ভাগ পায় পুলিশ। তৃতীয়টি চলে যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কাছে। প্রতিটি দোকান থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পুলিশ পায় ৬০-৮০ টাকা, লাইনম্যান পায় ২০-৪০ টাকা, স্থানীয় নেতারা পায় ১০০ টাকা এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা পায় ১০০ টাকা করে। চাঁদার টাকা তুলতে পেশাদার লাইনম্যানও নিয়োগ করেছে সংশ্লিষ্টরা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার আমরা ফুটপাতের দোকান অপসারণ করি। যখনই একদিক থেকে অন্যদিকে চলে যাই তখন হকাররা আবার বসে। সব সময় তো অভিযানের ওপর থাকা যায় না।’ ফুটপাত অপসারণে আন্তরিক হলে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গেও দোকান কেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এমন হওয়ার কথা নয়। এগুলো কোথা থেকে এলো?’ ফুটপাত থেকে স্থানীয় নেতা ও লাইনম্যানরা চাঁদা তোলেন-এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা তোলার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আমার চোখেও পড়েনি।’ টাকার ভাগ পুলিশের পকেটেও যায়-এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার থানার পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত আছে এমন তথ্য-উপাত্ত কেউ দিতে পারবে না। আমি নিজে থেকে এ বিষয়ে তদারকি করছি।’

এই এলাকায় প্রতিটি মার্কেটের সামনের এলাকাকে একেকটি লাইন হিসাবে ধরা হয়। তবে ছোট মার্কেট কিংবা ভবনের সামনের একাধিক স্থানকেও একটি লাইন হিসাবে ধরা হয়। এমন ১২টি লাইন পাওয়া গেছে। একেকটি লাইনে ১০০-১৫০টি দোকান রয়েছে। ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের নেতারা এসব দোকানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। শুধু এই টাকার জন্য ছাত্রত্ব না থাকা সত্ত্বেও অনেকে ঢাকা কলেজে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কলেজটিতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় মূলত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। এ নিয়ে দফায় দফায় সংঘাতের পর তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সেই অনুযায়ী ঢাকা কলেজের মূল ফটকের বিপরীত পাশ থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত ফুটপাত এলাকা ছাত্রলীগের নর্থ ব্লকের নেতারা নিয়ন্ত্রণ করেন। মূল ফটকের বিপরীত পাশ থেকে দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ নীলক্ষেত, গাউছিয়া ও বলাকা এলাকার সাউথ ব্লকের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ঢাকা কলেজের সাউথ ব্লকের ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে দুটি হল রয়েছে। সেগুলো হলো-সাউথ হল ও সাউদার্ন হল। নর্থ ব্লকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পাঁচটি হল। এগুলো হলো-নর্থ হল, শহিদ ফরহাদ হোসেন মাস্টার্স হল, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হল, ওয়েস্ট হল এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস। ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণে এসব হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার নাম জানিয়েছেন হকার, লাইনম্যান ও স্থানীয়রা। ছাত্রলীগের ওই নেতারা হলেন-নর্থ ব্লকের জসীম, এসএম শফিক, মাছুম, জনি, তামিম ও বিল্লালসহ কয়েকজন। সাউথ ব্লকের ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-মৃদুল, রাশেদ, নিপু, ইমরান ও কাওসারসহ কয়েকজন।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকা নেতাদের থেকে ফুটপাত নিজেদের কব্জায় নিতে সম্প্রতি সাউথ হলে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ অংশের একটি বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, চাঁদার ভাগ না দিলে মৃদুলকে কলেজ থেকে মেরে বের করে দেওয়া হবে। ১২ মার্চ রাতে ঢাকা কলেজসংলগ্ন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা গুরুতর আহত হয়ে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। টিটিসির সংঘর্ষের এই ঘটনায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার ইন্ধন ছিল। ছাত্রলীগের অন্তত চারজন নেতা জানিয়েছেন, এই সংঘর্ষের নেপথ্যেও অন্যতম কারণ ছিল স্থানীয় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। এ ধরনের কাজে ছাত্রলীগের কারও জড়িত থাকার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

এদিকে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বাইরে এই এলাকার ফুটপাত নিয়ন্ত্রক হিসাবে আলোচিত নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগের ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক নেতা ইব্রাহিম হোসেন ইবু। স্থানীয় হকাররা জানান, ফুটপাতের ব্যবসা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের তথ্যেও চাঁদাবাজদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। হকারদের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব সরকার এবং লিটন ফুটপাত নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হোতা। তাদের ইশারাতেই চলে ফুটপাতের সব কার্যক্রম। তাছাড়া নীলক্ষেতের বইয়ের মার্কেটের নিয়ন্ত্রণও রয়েছে বিপ্লবের হাতেই। এদের প্রত্যেকেই একসময় সামান্য আয়ের মানুষ ছিলেন। ফুটপাতের কল্যাণে এখন তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ এবং আলিশান জীবন-যাপন। এছাড়া ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় নেতা সাত্তার মোল্লা, উজ্জ্বল, ছৈয়া, মামুন, বিল্লাল, বাচ্চু, রাহাত, ইসমাইল, আকবর, আমিনুল, সেলিম ও শাহিনের নামও উঠে আসে হকারদের মুখে। এসব বিষয়ে অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিষয়ে থানায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।

হকাররা জানিয়েছেন, সায়েন্সল্যাবের বায়তুল মামুর মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের ফুটপাত পর্যন্ত একটি লাইন। এভাবে প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার থেকে কাদের আর্কেড শেরওয়ানি মার্কেট হয়ে ওরিয়েন্টাল লাটিমী শপিংমল পর্যন্ত একটি। লাটিমী মল থেকে জাহান ম্যানশন শপিংমল, গোল্ডেন গেন শপিং সেন্টার, মাহমুদ ম্যানশন ও পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত একটি লাইন। এই ফুটপাতগুলোর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঢাকা কলেজের নর্থ ব্লকের ছাত্রলীর নেতারা।

এছাড়া গ্লোব শপিং সেন্টার থেকে বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নেহার ভবন শপিং সেন্টার, নূরজাহান সুপার মার্কেট পর্যন্ত একটি লাইন রয়েছে। নূরজাহান থেকে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ফুটপাত পর্যন্ত আরেকটি লাইন। ধানমন্ডি হকার্সের দক্ষিণ পাশের শুরু থেকে নূরানী মার্কেট, মিনি মার্কেট, এয়াকুব সুপার মার্কেট, কাজী ম্যানশন, শাহানুর ম্যানশন, রিজেন্সি প্লাজা হয়ে ইস্টার্ন মল্লিকা পর্যন্ত একটি লাইন। ইস্টার্ন মল্লিকার উলটো পাশ থেকে নিউমার্কেটের দিকে আসতে গ্রিন সরণিকা, সুবাস্তু এ্যারোমা সেন্টার শপিংমল, ইসমাইল ম্যানশন, গাউছিয়া মার্কেট, নূর ম্যানশন, চাঁদনি চক মার্কেট পর্যন্ত একটি লাইন। চাঁদনি চক থেকে বলাকা সিনেমা হল পর্যন্ত একটি, বলাকা থেকে নীলক্ষেত হয়ে নিউমার্কেট থানার আগ পর্যন্ত একটি লাইন রয়েছে। এগুলোতে ঢাকা কলেজের সাউথ ব্লকের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর বাইরে নীলক্ষেত মোড় থেকে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট পর্যন্ত একটি, চন্দ্রিমা থেকে ঢাকা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ হয়ে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত একটি এবং চন্দ্রিমা থেকে বিশ্বাস বিল্ডার্স হয়ে শাহনেওয়াজ হল পর্যন্ত আরেকটি লাইন রয়েছে। এর মধ্যে কাঁচাবাজার এলাকা সম্মিলিতভাবে ঢাকা কলেজ সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d