Science & Tech

নিজস্ব স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ ভারতের

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দু’টি স্যাটেলাইটও পাঠিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইন্ডিযান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)।

স্যাটেলাইট দু’টির নাম ‘টার্গেট’ এবং ‘চেজার’, প্রতিটির ওজন ২২০ কেজি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে দক্ষিণাঞ্চীলয় রাজ্য বেঙ্গালুরুর শ্রীহরিকোটা লঞ্চপ্যাড থেকে একটি রকেটে এই স্যাটেলাইট দু’টি পাঠানো হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা।

ইসরো’র কর্মকর্তা এবং সংস্থাটির মহাকাশ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পদার্থবিদ জয়ন্ত মূর্তি রয়টার্সকে বলেন, “ইসরো মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ অদূর ভবিষ্যতে চাঁদে নভোচারী পাঠানো এবং মহাকাশ সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হলে নিজেদের স্টেশন থাকা জরুরি।’

“স্পেস স্টেশন প্রকল্পের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হচ্ছে স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (স্পেডেক্স)। এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে গতকাল দু’টি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে ইসরো। এ স্যাটেলাইটগুলো আলাদা হলেও ‘সিঙ্গেল অবজেক্ট) হিসেবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে পৃথিবী থেকে।”

যে রকেটে করে স্যাটেলাইট দু’টি পাঠানো হয়েছে, সেটির মূল কাজ পৃথিবীর অক্ষপথে সে দু’টিকে স্থাপন করা। ইসরো সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট দু’টির একটিতে মাটি এবং বরবটির বীজ রয়েছে। মহাশূন্যের মাইক্রো গ্র্যাভিটিতে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগম ঘটে  কি না— তা পরীক্ষা করাই এর উদ্দেশ্য।

গত ৩০ ডিসেম্বর মহাকাশে স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ইসরো। এর পর দু’বার স্যাটেলাইট দু’টি পাঠানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় ইসরো। তারপর তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় গতকাল সাফল্য পেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক টুইটবার্তায় বলেন, “আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত মহাকাশ অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আজ স্থাপিত হলো।”

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান ৩ নামের একটি নভোযান পাঠিয়েছিল ইসরো। সেই নভোযান ২৩ আগস্ট সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণে সক্ষম হয়।

এরপর সূর্যের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য একই বছর ১ সেপ্টেম্বর সূর্যের অক্ষপথের উদ্দেশ্যে আদিত্য-এল ১ নামের একটি নভোযান পাঠায় ইসরো। সে অভিযানও সফল হয়।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের মাত্র ৩টি দেশের নিজস্ব স্পেস স্টেশন রয়েছে মহাকাশে— যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন। চতুর্থ দেশ হিসেবে এ উদ্যোগে শামিল হলো ভারতও।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button