Bangladesh

নিট রিজার্ভ বেড়ে ১৯৮৬ কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড় করেছে। শুক্রবার ওই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়াশিংটনে থাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়ে ১ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলার ও গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসেই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি সংস্থা আরও ৬২ কোটি ডলার ছাড় করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ জমা হয়েছে। আগামী রবি বা সোমবার নিট রিজার্ভের পরিস্থিতি জানা যাবে। কারণ রিজার্ভ থেকে প্রতিদিনই অর্থ খরচ হয়, আবার যোগও হয়।

সূত্র জানায়, আইএমএফ গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

শুক্রবার দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৯ কোটি ডলার ছাড় করায় গ্রস ও নিট রিজার্ভ দুটোই বেড়েছে। নিট রিজার্ভ গত বৃহস্পতিবার ছিল ১ হাজার ৯১৭ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আইএমএফের ঋণের কিস্তি যোগ হওয়ার পর তা বেড়ে ১ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারে।

আরও কয়েকটি সংস্থার ঋণ বাবদ ৬২ কোটি ডলার চলতি মাসেই ছাড় হতে পারে। ফলে রিজার্ভ আরও কিছুটা বাড়বে। এতে ডিসেম্বরের শেষদিকে নিট রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করবে। ওই সময়ে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৫০ কোটি ডলারের বেশি। একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

এছাড়া ডিসেম্বর শেষে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের অর্থও যোগ হবে। এদিকে আইএমএফ রিজার্ভ ধারণের শর্ত শিথিল করেছে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিট রিজার্ভ কমপক্ষে ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ডলার রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ডিসেম্বরে নিট রিজার্ভ এর চেয়ে বেশি থাকবে। গড়ে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকতে পরে। এদিকে জানুয়ারির শুরুতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দেনা বাবদ ১০০ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ কমে যাবে।

এর আগে আর কোনো বড় ধরনের দেনা পরিশোধ করতে হবে না। ফলে জানুয়ারির আগে আর রিজার্ভ কমছে না। তবে এখন আগামী রোজা উপলক্ষ্যে আমদানি বাড়াতে হয়েছে। এজন্য ফেব্রুয়ারি থেকে রিজার্ভে আবার চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে। তখন রিজার্ভ আবার বাড়বে। তবে মার্চের শুরুতে আবার আকুর দেনা শোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ কমবে।

এদিকে এখন রিজার্ভের ওপর বড় চাপ হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ফলে আমদানি কমছে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ রয়ে গেছে। তবে নতুন করে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া কমতে শুরু করেছে। বৈদেশিক ঋণ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহও কমেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button