Hot

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র!

এপ্রিলে রাজপথে নামার প্রস্তুতি বিএনপির গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারবিরোধী অপকৌশল প্রতিহতের ঘোষণা তৃণমূলের

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে এই সরকার ৭ মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে। সরকার ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর মাধ্যমে এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে? রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন বহুল চর্চিত প্রশ্ন এটি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস একাধিকবার বলেছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আবার কখনো কখনো বলেছেন সংস্কার বেশি চাইলে জুনে। বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার। দলটি বলছে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কারের অজুহাতে মানুষের কাক্সিক্ষত গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকার থেকে বেশিদিন বঞ্চিত রাখা ঠিক হবে না। নির্বাচন যত দেরি হবে দেশের জন্য ততই ক্ষতিকর। দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, চলতি বছরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখনো ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। খোদ সরকারের ভেতর থেকেই নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যে গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন সেটি বাস্তবায়নে যদি আবারো ষড়যন্ত্র কিংবা কোনো ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করা হয় তাহলে তা প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

যদিও গত সোমবার পুলিশের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে। এর তিন দিন আগেও জাতিসংঘ মহাসচিবের সামনে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনে হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সংস্কারের ওপর। রাজনৈতিক দলগুলো স্বল্প পরিসরে সংস্কার চাইলে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে হতে পারে। তবে, তারা বড় পরিসরে সংস্কার চাইলে নির্বাচন হবে আগামী বছর জুনে। আবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ কিংবা জুনে হতে পারে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কিংবা সরকার সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে একাধিক সময়সীমা আসায় সংশয়ে আছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।
নির্বাচন নিয়ে যখন সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক বক্তব্য আসছে তখন এটিকে গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছে বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করেন, নানা কৌশলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এজন্য আগামী ঈদের পর এপ্রিল থেকেই দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। গত সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নেতাদের বক্তব্য-পর্যালোচনায় নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা উঠে আসে। একই সঙ্গে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার। তবে কি ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত করেনি দলটি। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের দাবিতে জেলা, বিভাগ ও মহানগরে সভা-সমাবেশ করার চিন্তা করছে বিএনপি। পরবর্তীতে ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচিও আসতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণ ১৬ বছর ধরে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, এজন্য নানারকম ষড়যন্ত্রে চলছে। যেমন কেউ কেউ উছিলা দেখাচ্ছেন, সংস্কার করে তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কার চলমান পদ্ধতি, কোনো সরকারের একার পক্ষে বা সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে সরকার প্রায় ৮ মাস হয়ে গেল কিন্তু তারা সংস্কারের স্পষ্ট কোনো কিছু দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিগত শেখ হাসিনার সরকার পনের বছরে সব কিছু ধ্বংস করে গেছে। সেগুলো সংস্কার মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব জনগণকে ভোটের সুযোগ করে দেয়া, যাতে তারা ভোটের মাধ্যমে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। অতএব জনগণের জন্য আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক করে ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে, তখন জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। তখন পতিত সরকার কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা জনগণই মোকাবিলা করবে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংস্কারের দীর্ষমেয়াদি বা স্বল্পমেয়াদের কোনো বিষয় নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজ যে সংস্কার হচ্ছে সেটি পরবর্তীতে আবার সংস্কার হতে পারে। যেজন্য সংস্কার দীর্ঘমেয়াদের কথা বলে যারা, তারা নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের এবং গণতন্ত্রকামী দলগুলোর যে সমর্থন রয়েছে সেটি সরকারকেই যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টারা নির্বাচনের দিনক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন রকম কথা বলছেন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। জনমনে এ বিষয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছিলেন, তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে। তবে এর দুই সপ্তাহ পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন আগামী বছরের মার্চেও হতে পারে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েই এমন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। তারা মনে করেন, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র উত্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কৌশলকে প্রভাবিত করছে। নাহিদ সম্প্রতি রয়টার্সকে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন করা কঠিন হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচনের আগে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। তিনি জানান, এই ঐকমত্য এক মাসের মধ্যে হয়ে গেলে তারপরই নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু এর জন্য সময় বেশি লাগলে নির্বাচন পেছানো উচিত। নাহিদের এমন মন্তব্যের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটি জরুরি বৈঠক করে এবং নির্বাচনে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের একটি বক্তব্য বিএনপির সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কেউ যেন কথা না বলে। নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তাদেরও লজিস্টিকের বিষয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। নির্বাচন যদি ডিসেম্বরে না হয়, তাহলে এর সম্ভাব্য সময় হতে পারে ২০২৬ সালের অক্টোবর। কারণ, ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে রমজান, এইচএসসি পরীক্ষা ও বর্ষাকাল থাকবে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, নির্বাচন দেরি হলে কেবল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সরকারের প্রতি অবিশ্বাসই বাড়বে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কোনো মন্তব্যই কাউকে আশ্বস্ত করতে পারছে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে সমস্যা কোথায়? সবকিছুরই নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত। কোনো কিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য খোলা রাখা যায় না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে তিনি (ড. ইউনূস) বলেছিলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে। এখন বলছেন, সংক্ষিপ্ত বা বৃহৎ আকারে সংস্কারের ওপর নির্ভর করবে। আমরা বুঝি, সংবিধান সংশোধন একটি বড় বিষয় এবং এটা করতে হলে সংসদ প্রয়োজন। তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যেতে পারে। তার জন্য তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। আমরা জানি না, কেন তিনি (ড. ইউনূস) এমন অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। আমরা আশা করি, তিনি পরিষ্কারভাবে জানাবেন যে নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে।

রোববার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা অনেক কিছু শুনছি। কেউ বলছে নির্বাচন হবে, কেউ বলছে হবে না। আমরা কিছু বিশ্বাস করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, ড. ইউনূস তার কথায় অটল থাকবেন। আমরা আশা করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন দেখতে পাব।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনই জরুরি। তাই নির্বাচন নিয়ে একেক সময় একেক কথা না বলে সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এতে সকলে নির্বাচনমুখী হবে, দেশে স্থিতিশীলতা আসবে এবং সব ধরনের সন্দেহ-সংশয় কেটে যাবে।

তিনি বলেন, সরকারে যারা আছেন তারা সকলে দায়িত্বশীল এবং সম্মানিত মানুষ। তাদের খেয়াল রাখা উচিত নির্বাচন নির্বাচন খেলার কারণে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না পায় এবং পতিত ফ্যাসিবাদীরা আবার যাতে মাথা চাড়া দেয়ার সুযোগ যাতে না পায়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমাদের দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নির্বাচনের দাবিতে এপ্রিল থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহলের বক্তব্য ও উদ্যোগে আমাদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করছে। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের রাজপথে নামার বিকল্প থাকবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা আর কতবার ড. ইউনূসকে নির্বাচনের কথা বলব? দল হবে, কিংস পার্টি হবে, আরো নতুন দল হবে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনি (ড. ইউনূস) বিশ্ব দরবারে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আপনি কারো কথায় কান না দিয়ে স্পষ্টভাবে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সব সমস্যার সমাধান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে সুফল পেয়েছি, সেটি ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নির্বাচন। এত টালবাহানা করার তো কোনো দরকার নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমরা লড়াই করছি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল গণতন্ত্র ফিরে পাবে। আর গণতন্ত্রের পরিপূর্ণতা দিতে পারে নির্বাচনে ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে। আর এটি যদি না হয় তাহলে স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মাঝামাঝি আমরা পড়ে থাকবো। তাই সরকারকে ঠিক করতে হবে তারা কি চায়?

তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়, সরকার জটিলতায় থাকতে পছন্দ করছে। এটি তাদের জন্য একসময় বুমেরাং হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের বাইরে কোনো কিছু চিন্তা করে না। তার উদাহরণ শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা। কেউ এর বাইরে চিন্তা করে রেহাই পায়নি।

কর্মসূচির বিষয়ে দুদু বলেন, একটা সময় পর্যন্ত মানুষ অপেক্ষা করবে, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা না পেলে মানুষ তখন আর এই সরকারকে মানবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই কর্মসূচির প্রশ্ন আসবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button