Bangladesh

নিষেধাজ্ঞা দেবে, নিরাপত্তাও চাইবে, বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে ‘সন্দেহ হয় রে’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারো সঙ্গে কথা হয়নি, আমার মনে পড়ে না বিএনপি বিরোধী দল নয়, ওরা রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করুক ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে সবাই সাবধানে থাকেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা

যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার মতো সমস্যা আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন মানুষ খুন হয় গুলি করে নাগরিককে হত্যার ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশের প্রবাসীরাও যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে মারা গেছে, নিরাপাত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফরের সার্বিক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের র‌্যাবসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাস দমন করেছে, জঙ্গীবাদ দমন করেছে। তাদের (র‌্যাব) ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের কাছে নিরাপত্তা চাইবে এটা কেমন কথা?

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা বলছি সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। তবে যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারো সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়? জেইক সুলিভানের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন এবং ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডকে কার্যকর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি। জেইক সুলিভান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির কঠোর সমারোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো। ইলেকশনের পরে, যদি আসতে পারি আবার করবো। তারপর দেখি কে সাহস পায় নিতৃত্ব দিয়ে ক্ষমতায় আসতে। সব গুছিয়ে দেওয়ার পরে এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির কথা। পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। আমি তো শুনতে রাজি না। আজ না, ৭৭ বছর বয়স। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে মিছিল করি। তাহলে আমার রাজনীতির বয়স কত? স্কুল জীবন থেকে মিছিল করা শুরু করেছি। এই পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ শতভাগ দেই। কমিয়ে ২৮ ভাগে নিয়ে আসবো? সবাই একটু টের পাক যে (বিএনপি সরকারের সময় বিদ্যুতের অবস্থা) কী ছিল। আমরা তো ভুলে যাই। বিদ্যুৎমন্ত্রীকে বলেছিলাম, প্রতিদিন যেন কিছুটা লোডশেডিং দেওয়া হয়। তাহলে মানুষের মনে থাকবে যে, লোডশেডিং আছে। পয়সা দিয়ে তেল কিনে জেনারেটর চালাতে হবে। তখন আক্কেলটা ঠিক হবে যে, এই অবস্থা তো ছিল। এখন তো আমরা করে দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি। কেন আমি ভর্তুকি দেবো? সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও ভর্তুকির সুযোগটা অর্থশালী-বড়লোকরা নিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে একটা সøট ঠিক করবো। এখন থেকে কত পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে, তাদের জন্য এক দাম। আর তার থেকে যারা বেশি ব্যবহার করবে তাদের জন্য আলাদা দাম। ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি, ওইভাবে কয়েকটা সøট করে দেবো। যে বেশি ব্যবহার করবে, তাকে বেশি দামে কিনতে হবে। সেইভাবে একটা ব্যবস্থা করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। এটার ওপর কাজ চলছে, এভাবে আমরা করে দেবো।

বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ যেভাবে কথা বলছে সেটা কি প্রকৃতপক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই তারা করছেন, নাকি বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়েই মূলত তাদের মাথাব্যথা, এ প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলে তখন বলতে হয়, ‘সন্দেহ হয় রে’। যারা ভোট পাবে না, যাদের জনসমর্থন নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এটা আওয়ামী লীগই করেছে। আমাকে শেখাতে হবে না। একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই তো ভোট চোর। এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন হয়েছে। দারিদ্রসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না। সন্দেহ হয় সেজন্যই। যারা ভোটচোর তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা শুনতে হয়। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য আগুনসন্ত্রাস করেছিল। এখন আমেরিকারসহ অন্যান্য দেশ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে। যখন সেনাশাসন ছিল তখন তো আমরা আন্দোলন করেছি, তখন তো তারা কিছু বলেনি। তখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো, এটা আমরা বলছি, এ নিয়ে আমাদের শেখাতে হবে না। প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, যারা ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের মানুষকে কী দিয়েছে? তারা তখন বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় এনে মানুষকে দিয়েছে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, আসলে কি সুস্ঠু নির্বাচন? একটা দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে, এটা তাদের মাথাব্যথার কারণ হলো কিনা। নির্বাচনকে বানচাল করাই তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের শেখাতে হয় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে তো অনেকে ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষকে কী দিয়েছে? মানুষ একবেলাও ঠিকমতো খেতে পারতো না। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে। এখন নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন? তারা কি আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া চায় না? সন্দেহ হয়!

বিএনপি প্রকৃত বিরোধী দল নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তায় আন্দোলন করলেই বিরোধী দল হয় না। সংসদের বাইরের কোনও দলকে বিদেশে বিরোধী দল হিসেবে মনে করা হয় না। যাদের নির্বাচন করার মতো সাহস নেই, যারা নির্বাচন করে সংসদে আসতে পারে না, তারা আবার বিরোধী দল কিসের? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদ সদস্য হিসেবে বিরোধী দলে যাদের আসন তারাই বিরোধী দল। আর রাস্তায় কে ঘেউ ঘেউ করে বেড়ালো, সেটাতে কিন্তু বিদেশে কখনও বিরোধী দল হিসেবে ধরে না। এটা সবার মনে রাখা উচিত। বিএনপির তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দেবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলন লোকসমাগম করছে। খুব ভালো কথা। এতকাল চুরি করে যা টাকা বানিয়ে ছিল আর যে টাকা মানি লন্ডারিং করে ছিল, সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত মানুষের প্যাকেটে কিছু টাকা তো যাচ্ছে।

বিএনপিকে আন্দোলনের সুযোগ দেওয়ার প্রতি ইঙ্গিত তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো ওদের খুলে দিয়েছি, তোমাদের যা খুশি করো। কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় অর্জন করে আসো। এতগুলো টেলিভিশন খুলে দিয়েছি। টকশোতে যে যা পারছেন, টক কথা মিষ্টি কথা বলে যাচ্ছেন। খুব বলেন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সারা দিন কথা বলার পর যদি বলেন আমাদের কথা বলতে দেয় না, আর বিএনপির তো মাইক একটা লাগানো থাকে। আর বলেন আমাদের মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হয় না। যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমাদের সঙ্গে কী আচরণ করতো? আমরা যদি তার একটা কনাও করতাম তাহলে তো ওদের অস্তিত্বই থাকতো না, থাকবে অস্তিত্ব? থাকবে না।

বিভিন্ন দেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত খাদ্যমন্দা। এটা কেউ বলবে কেউ বলবে না। আমি নিজেই তো কয়েকটা দেশ দেখলাম। সেখানে যে কী অবস্থা আমরা জানি। ওয়াশিংটনে তো বাজার-টাজার করে আমরা রান্না করে খেয়ে আসছি। এক পিস মাছ কিনতে বা দুই টুকরো মুরগি কিনতে কত শত টাকা খরচ হয় সেটা তো আমরা নিজে দেখে আসছি। কিন্তু আমরা মানুষের পাশে আছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। পাঙ্গাস মাছ খাওয়া নিয়ে কোনও একজনের বক্তব্যের উদ্বৃতি টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন বলে দিলেন পাঙ্গাস মাছ খেতে পারেন না। আমি যদি জিজ্ঞাসা করি ২০০৯ বা ১৯৯৬ সালের আগে কে কত পাঙ্গাস মাছ খেয়েছেন। মানুষ যেখানে আগে নুনভাত খেতে পারতো না, এখন অন্তত পাঙ্গাস মাছের কথা চিন্তা করে। এই মাছ আগে বরিশাল আর যমুনা নদীতে পাওয়া যেত। সারা দেশে পাওয়া যেত না। গবেষণার মাধ্যমে এটি চাষ হয় এবং সারা দেশে পাওয়া যায়। যেখানে মানুষ নুনভাতের জন্য হাহাকার করতো। ফ্যান চাইতো, নুনভাত চাইতো সেখানে মানুষ মাছ মাংস ডিম খাওয়ার জন্য চিন্তা করতে পারে। এইটুকু মানুষের জন্য করতে পারছি, আমি ওইভাবে দেখি। আমাদের যতটুকু সাধ্য ছিলো সেটা করে দিয়েছি। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ায় যুদ্ধ, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। পরিবহন খরচ বেড়ে গেল। আমরা তো তাও খেয়ে-পরে আছি। যান না, আমেরিকায় যান, ইংল্যান্ডে যান। বিভিন্ন দেশে যান সেখানকার মানুষের কী অবস্থা! ওই একটা টমেটো কয়শ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। একটা রুটি কত দিয়ে কিনতে হয়। সেখানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। বেশি জিনিস কিনতে পারবে না। আগে বিদেশে বাংলাদেশ শুনলে সবাই নাক শিটকাতো। এখন আর শিটকায়? বাংলাদেশের নাম শুনলে এখন আলাদা মর্যাদা নিয়ে তাকায়। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে। এটা বাসাতে হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দেশের উন্নতি করি।

ডেঙ্গুতে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে সবাই সাবধানে থাকেন এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা। বারবার তো টেলিভিশনে সবখানে বলা হচ্ছে। সারাক্ষণ কিন্তু আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখানে কিন্তু প্রত্যেকের নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, কোথায় মশাটা জন্মাচ্ছে সেই জিনিসটা দেখা। শুধু নিজের ঘরে না, নিজের ঘরের বাইরেও রাস্তায় বা আশেপাশে পাড়া-প্রতিবেশি মিলেই কিন্তু মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলি যেন তৈরি হতে না পারে এ ব্যাপারে সবার কিন্তু দায়িত্ব থাকতে হবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রচেষ্টা আছে, প্রচেষ্টা চলছে। গবেষণাও চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button