Hot

নৃশংস হত্যায় তোলপাড় ক্ষোভ বিক্ষোভ সারা দেশে, দোষীদের শাস্তি চায় সবাই

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে গতকাল উত্তাল ছিল সারা দেশ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল, সভা-সমাবেশ হয়েছে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে দেশের ক্যাম্পাসগুলোতেও। বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে- রাজনৈতিক শেল্টার ছাড়া খুন-হামলা হচ্ছে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বের করা হয় মশাল মিছিল।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। এতে বক্তব্যকালে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষ নিশ্চিত হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে আর কাউকে জীবন দিতে হবে না, কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। কিন্তু দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মতোই আরেক দল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি শুরু করেছে।

তেজগাঁও সাতরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জমায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর। উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতের উত্তরা পশ্চিম জোন। বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির। গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয় এ বিক্ষোভ মিছিল। সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, একটি দল প্রকাশ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। প্রকাশ্যে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ গণধর্ষণ করে যাচ্ছে। মিটফোর্ডের সামনে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, রাজনৈতিক শেল্টার ছাড়া এসব ঘটনা ঘটছে না। এ রাজনৈতিক শক্তিগুলোই হায়েনা-দানব তৈরি করছে। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গণফোরাম বিকালে পল্টন মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ করে প্রতিবাদ সভা করেছে। প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সোহাগ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সব খুনিকে দ্রুত সময়ের মধ্য গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

রাজধানীর চকবাজার ও খুলনার দৌলতপুরে খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রদল। শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’-এর ব্যানারে তারা এ মিছিল করেন। এতে জাবি ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় তারা ঢাকায় নৃশংস ‘সোহাগ হত্যাকা ’, খুলনায় গুলি করে ও রগ কেটে যুবদল নেতাকে খুন এবং চাঁদপুরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মসজিদের খতিবের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : পাথর নিক্ষেপ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ দেশে মানুষকে হত্যা করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। আমরা কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষে নেই।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : সারা দেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘটনার বিচার ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে’ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে এনএসইউর ১ নম্বর গেট এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থীরাও। এ ছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, মানারাত ইউনিভার্সিটি, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। আশুলিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এবং কোতোয়ালি এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা।

রাজশাহী : নগরীর দুটি স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। একদল শিক্ষার্থী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ছাড়া দুপুর ১টায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল বের করা হয়। এ ছাড়া গৌরহাঙ্গা রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

রংপুর : জিলা স্কুল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় একই সময়ে কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মাগুরা : সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মাগুরায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ব্যানারে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের ভায়না মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সর্বস্তরের ছাত্ররা।

পিরোজপুর : সারা দেশে ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে পিরোজপুরে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।

টঙ্গী : গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় যুব শক্তি গাজীপুর মহানগরীর নেতা-কর্মীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে কলেজগেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ : সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানার সামাজিক সংগঠন। ‘মাতৃভূমি’ সামাজিক সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হাজী মো. ইব্রাহিম এবং ডেমরা-যাত্রাবাড়ী জুলাই আন্দোলন সফলকারীরাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা এ বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। যাত্রাবাড়ী জুলাই চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জুলাই চত্বরে এসে শেষ হয়।

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসিফ নজরুল লিখেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন-২০০২ এর ধারা-১০ এর অধীনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

জড়িতদের ছাড় নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স ও ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অপরাধী কোন দলের নেতা সেটি বিবেচ্য নয় : অপরাধী কোন দলের কোন মাপের নেতা, সেটি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের কাছে অপরাধীর পরিচয় শুধুই অপরাধী। আমাদের কাছে অপরাধী যে দলেরই হোক, প্রভাবশালীই হোক, কোনো ছাড় নেই। আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে র‌্যাব ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গণসংহতি আন্দোলন : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জনসম্মুখে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা অন্তর্বর্তী সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতার বহিঃপ্রকাশ। চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কাঠামোকে অবিকল বহাল রেখে এ কাঠামোকে কেন্দ্র করে চলা সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি : বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ বলেছেন, পুরান ঢাকার এই হত্যাকা জাহিলিয়াতের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক বলেছেন, দেশজুড়ে খুন-রাহাজানি, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মিটফোর্ডে দিবালোকে ব্যবসায়ীকে হত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ময়নার নির্মম হত্যাকা , চাঁদপুরে খতিবের ওপর নৃশংস হামলাসহ অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমনসব ভয়ংকর ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে।

জাতীয় সংস্কার জোট : ৩৫টি দল ও সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্কার জোটের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম বলেছেন, পুরান ঢাকায় সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশের মানুষ স্তব্ধ, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীতে একজন নিরীহ নাগরিককে জনসম্মুখে এভাবে জীবন দিতে হবে এটা কল্পনাতীত। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একটি দল এখনো ক্ষমতায় যায়নি অথচ ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পরিণতি এই দলটি ভুলে গেছে। জাতি আর কোনো ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বসাবে না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto