Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

পণ্যের দরের উত্তাপে পুষ্টি ঘাটতির শঙ্কা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্য আমদানি-রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম লোহিত সাগরে উত্তেজনা এবং ইসরায়েল, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধের ডামাডোলে তামাম বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটাই প্রতিরুদ্ধ। ফলে দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্য ও উৎপাদন উপকরণের। পাশাপাশি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগও। গেল আগস্টে দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়। কমে সবজি উৎপাদন। তছনছ হয়ে যায় মাছ-মুরগির খামার। এর মধ্যে আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় একই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। ফলে পুষ্টিজনিত ঘাটতি তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট ভাঙা, অপচয়রোধ, খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যদিও নানা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি শিগগিরই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরকার-সংশ্লিষ্টরা। 

সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর আগে থেকেই চালের বাজার অস্থির। মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থার তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে চালের দর বেড়েছে ৭ থেকে ৯ শতাংশ। গত এক মাসে আটা-ময়দার দরও বেড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশ। ভোজ্যতেল, চিনি, ডালসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দরও কমার নাম নেই। কিছুদিন স্বস্তি দিয়ে টানা এক মাস উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজি বাজার। দু-তিনটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দর শতক ছাড়িয়েছে। 
স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যসঙ্গী আমিষ জাতীয় খাদ্য ডিম এখন অনেকটা ‘বিলাসী পণ্য’। প্রতি ডজনের দর ১৮০ টাকার মাইলফলক স্পর্শ করার পর দু’দিন ধরে বাজার থেকে ডিম এক রকম উধাও। মুরগির বাজারও নাগালে নেই। 

এই পটভূমিতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবার খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’। তবে উন্নত জীবন দূরে থাক, দেশে খাদ্যের অধিকার কতটুকু নিশ্চিত হয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 
দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

পিছিয়ে যাচ্ছে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায়
বাংলাদেশ নিয়ে বৈশ্বিক বার্তায় আছে দুঃসংবাদ। ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) বা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানও তুলে ধরা হয়। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানিভিত্তিক ভেল্ট হাঙ্গার হিলফে প্রতিবছর যৌথভাবে এ সূচক প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের এবারের স্কোর ১৯ দশমিক ৪। এই নম্বর নিয়ে ১২৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪। গত বছর বাংলাদেশের নম্বর ছিল ১৯। ওই বছর ১২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ৮১তম স্থানে। তাতে দেখা গেছে, বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। এই সূচক অনুসারে, বর্তমানে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ।

জিএইচআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সার্বিকভাবে ক্ষুধা এখনও রয়েছে গুরুতর অবস্থায়। নিম্নমানের খাদ্য, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে এ অঞ্চলে অপুষ্টি বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুর অপুষ্টির সমস্যা এখনও উঁচু স্তরে।
এদিকে গত এপ্রিলে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে জাতিসংঘসহ ১৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার ‘ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন)’ প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ দেখা গেছে, বাংলাদেশে গত বছর (২০২৩) নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ (গবেষণার আওতায় আসা ব্যক্তির ৩১ শতাংশ) তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ মাত্রার সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে। তাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ৬৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীও রয়েছে।

বন্যায় কমতে পারে উৎপাদন
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, আগস্টের বন্যায় ২৩ জেলায় ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, ১২ জেলায় শুধু মৎস্য খাতের ক্ষতি ১ হাজার ৫৯০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) দাবি, ৪ হাজার পোলট্রি খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে ৫৬৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক তথ্য বলছে, দেশে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে। 

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হুমকিতে
দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ)। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম। হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা করেনি বিএফএসএ। নেওয়া হয়নি নতুন কোনো গবেষণার উদ্যোগ। তাতে স্ট্রিট ফুড, হোটেল-রেস্তোরাঁয় কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মান যাচাইয়ের বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে। অনিরাপদ খাদ্যের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। 

দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে
লাগাম টানা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতির। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের ‘ফুড সিকিউরিটি আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গত আগস্টে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল বাংলাদেশে। আগস্টে সার্বিকভাবে এই হার ছিল ১১ দশমিক ৪। এর মধ্যে গত এপ্রিল থেকে টানা ছয় মাস খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশ ভারতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩, পাকিস্তানে ২ দশমিক ৫, শ্রীলঙ্কায় শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের জুলাইয়ের মূল্যস্ফীতি দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ১ ও ২ দশমিক ৩। এ ছাড়া জুলাইয়ে আফগানিস্তানে মূল্য সংকোচন হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। 
অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য সুবিধা ভয়াবহভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাদের খাদ্যপণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য বলছে, চাল, গম ও ডাল উৎপাদন থেকে মানুষের খাবারের পাতে পৌঁছানোর আগেই প্রায় ১৮ শতাংশ অপচয় হয়। ফল ও সবজির ক্ষেত্রে অপচয় হয় ১৭ থেকে ৩২ শতাংশ। এ অপচয় বন্ধ করা গেলে খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে মেটানো সম্ভব। 

এ ব্যাপারে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, উন্নত কিংবা সমৃদ্ধ জীবন নয়, খাদ্য অধিকারই এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। পণ্যমূল্যের উচ্চ দরে কম আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস। আইনের সংস্কার করে সরকারকে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। সেজন্য ভর্তুকি মূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করতে হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক মো. সাইদুল আরেফিন বলেন, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ছে। ফলে বর্তমানে ৪০ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার চাহিদামতো পণ্য কিনতে পারছে না। যাদের বড় একটা অংশ অপুষ্টির শিকার। বিশেষ করে, এই ঝুঁকিতে বেশি রয়েছে শিশুরা। পুষ্টির অভাবে নানা রোগ হতে পারে। বিশেষ করে, কম আয়ের মানুষ যা আয় করে, তার সিংহভাগ অর্থ চলে যায় পণ্য কেনায়। ফলে চিকিৎসার পেছনে টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকে না তাদের। 
এর থেকে উত্তরণে কিছু পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। ভবিষ্যৎ বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো, বাজার ব্যবস্থাপনা ও পুষ্টির বিষয়ে নজর রাখা আবশ্যক।

সরকারের পদক্ষেপে উল্টো ফল
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার তদারকি করে যাচ্ছে। অভিযানে আর্থিক জরিমানাসহ নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। চিনি, ডিম ও চালে শুল্ক ছাড়, আমদানির অনুমতিসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। নতুন করে গতকাল ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ এসেছে। উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। কোনো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো ফল। অভিযানের জেরে ডিম ব্যবসায়ীরা আড়ত বন্ধ রেখেছেন। তাতে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

খাদ্য মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সরকারি কোষাগারে বর্তমানে ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৪৩৪ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪২ টন এবং গম ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৫ টন। বাকি ১৭ হাজার ৯৫৮ টন ধান। 
বর্তমানে চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এই শুল্ককর ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। আমদানির অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তবে এই অর্থবছরে কোনো ধরনের চাল আমদানি হয়নি। এ কারণে চালের দামেও লাগাম টানা যায়নি। 

সরকার আরও হার্ডলাইনে
পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কী করছে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এমন সব এলাকায় বন্যা হয়েছে, যেখানে গত ৩৫ বছরে এ দুর্যোগ আসেনি। দুর্যোগ কি সরকারের ব্যর্থতা হতে পারে? এটি আপনার আমার ব্যর্থতা নয়, আল্লাহ দিয়েছেন। তবে শিগগিরই বাজারদর লাগামের মধ্যে ফিরবে। সরকারি উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীতে খাদ্য ভবনের সামনে ওএমএস কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, চাঁদাবাজির কারণে দাম বাড়ছে বলছেন। আপনারা (সাংবাদিক) অনুসন্ধান করে জানান, আমরা চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেব।
গতকাল সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার হার্ডলাইনে যাবে। সরকারের কাছে তথ্য আছে, অনেক করপোরেট প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকার তাদের ধরবে।

১৬ বছরের ভেঙে পড়া বাজার ব্যবস্থাপনা ছয় মাসে তোলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবু চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। তবে মধ্যস্বত্বভোগীর বাইরে অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যারা সরাসরি কৃষক থেকে পণ্য কিনে সরাসরি ঢাকায় বিক্রি করবেন, সরকার তাদের উৎসাহিত করবে।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, বন্যা-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উৎপাদন বাড়াতে কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। দক্ষ ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। একই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা, উৎপাদক, ভোক্তা, নাগরিক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacantoto4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d toto
slot toto
bacan4d
bacan4d
togel online
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
bacansport
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot maxwin
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot toto