পদার্থ গঠন করতে সক্ষম মৌলিক কণা ‘কোয়ার্ক’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
দ্রুতগামী ও অস্থির এক মৌলিক কণা কোয়ার্ক। আর এই কণা প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের অ্যাটলাস ডিটেক্টরে এই কোয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বিজ্ঞানীরা পদার্থ ও মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোয়ার্ক প্রাথমিক শ্রেণির কণা, যা পদার্থ গঠন করে। এসব কণা প্রোটন ও নিউট্রনের বিল্ডিং ব্লক, যা পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠন করে। ছয়টি ভিন্ন ধরনের কোয়ার্ক রয়েছে, আপ, ডাউন, চার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ ও বটম নামে এসব কণা পরিচিত। এসব কণা মৌলিক শক্তি দ্বারা একত্র হয়। শক্তিশালী পারমাণবিক বলের মাধ্যমে একত্র থাকে কোয়ার্ক কণা। বিজ্ঞানীরা টপ কোয়ার্ক নামের কণা তৈরি করেছেন। এটি সব কোয়ার্কের মধ্যে সবচেয়ে ভারী। যদিও প্রোটনের চেয়ে সামান্য বেশি বড়। অস্থির প্রকৃতির কারণে এ ধরনের কণা নিয়ে গবেষণা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। টপ কোয়ার্ক অত্যন্ত দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বলে বেশি তথ্য জানার সুযোগ পাওয়া যায় না।
জানা গেছে, ‘কোয়ার্ক’ কণা তৈরির জন্য সুইজারল্যান্ডে বিশ্বের বৃহত্তম কণা অ্যাক্সিলারেট এলএইচসিতে আলোর কাছাকাছি গতিতে কণার সংঘর্ষ ঘটানো হয়। কণার সংঘর্ষের সময় প্রারম্ভিক মহাবিশ্বের মতো তাপমাত্রা ও চাপ তৈরি হয়। এই সংঘর্ষ থেকে বিজ্ঞানীরা কোয়ার্ক-গ্লুওন প্লাজমার তথ্য সংগ্রহ করেন। প্লাজমা সাধারণভাবে কোয়ার্ক ও গ্লুনের সংমিশ্রণ। এখানেই প্রোটন ও নিউট্রন গঠনের মধ্যে আবদ্ধ না হলেও স্বাধীনভাবে ভেসে বেড়ায় কোয়ার্ক।