পদ-পদবি-পদকের লোভে বুদ্ধিজীবীরা বিভক্ত হয়ে গেছেন

পদ, পদবী, পদকের লোভে বুদ্ধিজীবীরা বিভক্ত হয়ে গেছেন। এ মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)র প্রেসিডেন্ট,সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সম্প্রতি ‘এলসিবি অনলাইন টিভিকে’ দেয়া এক সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকারে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের কাছে জানতে চাওযা হয় তার ‘জাতীয় পরিবেশ পদক’ অর্জন সম্পর্কে। জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই আমার টক শো’তে এ আলোচনাগুলো করি। মানুষের মধ্যে একটি পদ,পদবি, পদকের একটি ব্যবসা চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে শত শত পদ,পদবি, পদক আবিষ্কার করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা এ পদ পদবির লোভে পড়ে বিভক্ত হয়ে গেছেন। সেই সত্তর দশকের, আশিরদশকে নব্বই দশকের বুদ্ধিজীবীদের আর দেখি না।
এখন বুদ্ধিজীবীরা একটা সত্য কথা বলতে অনেকেই সাহস পান না। কিছু আছে কিন্তু এখনো। মেজোরিটির কথা বলছি। কেন পারেন না ? তিনি মনে করেন যদি একটা ভাইস চ্যান্সেলর হয়ে গেলেন। একটা ভাইস চ্যান্সেলর দুই দুই শ’ নিয়োগ দিতে পারেন। পুরো চৌদ্দগোষ্ঠি নিয়োগ দিয়ে সবাইকে এস্টাবলিস্ট করে দিতে পারেন। এটি হলো এখনকার প্রাক্টিস। অনেক প্রফেসর মনে করেন. আমি অনেক কিছু বলে বলে সরকারের গুণগান করতে করতে যদি একটা ভাইস চ্যান্সেলর হয়ে যেতে পারি তাহলে আমার জীবনের গতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। অনেক আইনজীবী মনে করেন, আমি কথা বলতে বলতে যদি ল’ মিনিস্টার হয়ে যেতে পারি তাহলে জীবনের গতি পরিবর্তন হয়ে গেলো। একজন ডাক্তার মনে করেন আমি যদি বিএসএমএমইউ’র ভিসি হতে পারি, আমার জীবনের পরিবর্তন হয়ে গেলো। এই যে লোভ লালসার দিকে সমাজের দৃষ্টিটা, এবং বুদ্ধিজীবীদের দৃষ্টিটা চলে গেছে, এ কারণে এই পদ-পদবির দিকে মানুষের খুব একটা দৃষ্টি নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই যে স্বাধীনতা পুরষ্কার, একুশে পদক দিচ্ছে, তাদেও আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন, যারা পাচ্ছেন তারাই আবার সমালোচনা করছেন।
এটি কাকে কিভাবে দিলেন ! কেন ? কারণ এখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই। এখানে পুরষ্কারটা তার কর্মকাণ্ডের জন্য দেয়া হচ্ছে কি না এই বিশ্লেষণটা নেই। হ্যাঁ, একশ’টার মধ্যে ৭০টি হয়তো হচ্ছে। কিন্তু ৩০টি সেরকম হচ্ছে না। এ জন্য এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এখন। তারপরও আমি বলবো, হ্যা, অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে যখন পুরষ্কার আমাকে দেয়া হয়েছে, নিশ্চয়ই আমি কিন্তু সরকারের গুণকীর্তন গাইছি না। সরকার যেখানে অন্যায় করছে বেআইনি কাজ করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন আমি কিন্তু বলে যাচ্ছি। আমাকে পুরস্কার দিয়েছে তারপরও। তারপরও আমি বলবো, আমাকে কিন্তু সরকার পুরস্কৃত করেছে। সেদিক থেকে আমি বলবো আমাকে গুণকীর্তনের জন্য দেয়া হয়নি। আমাকে হয়তো কাজের মূল্যায়ণ করেই দিয়েছে।
আমি যে কাজগুলো করেছি, আপনি যদি বহু লোকের কাজ যোগ করেন, দেখবেন
আপনি এমন ইন্ডুভিজ্যুয়াল কোনো ব্যক্তি একজন ব্যক্তি এবকম পাবেন না। আমার কাজের যে মাত্রা, এরকম একক ব্যক্তি আর কাউকে পাবেন না। যত টুকু আমি পরিবেশ, মানবাধিকার, বায়ুদূষণ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা সেক্টরে যে কাজগুলো আমি করেছি, এরকম একক ব্যক্তি একজনকেও খুঁজে পাবেন না। অতএব, সেদিক থেকে হয়তো সরকার সেটি বিবেচনা করেছেন। এতে যে উৎসাহ আসে না তা নয়। উৎসাহ অবশ্যই থাকবে। প্রত্যেকটা কাজে উৎসাহ দিলে কাজটা আরো বাড়ে। তবে পদক পাওয়া ছাড়াও কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে স্পৃহা সেটি চলমান আছে। পদক সেই স্পৃহা থেকে কতটা কাজ করতে পারছি সেটি নিয়ে আমার কিছু হতাশা আছে। যেটুকু করা দরকার আমার, ততোটা করতে পারছি না।
hello there and thank you for your information – I’ve definitely picked up something
new from right here. I did however expertise several technical points using
this web site, as I experienced to reload the site lots of times previous to I
could get it to load properly. I had been wondering if your hosting is
OK? Not that I am complaining, but slow loading instances times will sometimes affect your placement in google and can damage
your high-quality score if ads and marketing with Adwords.
Anyway I’m adding this RSS to my email and could look out for much more of your
respective intriguing content. Make sure you update
this again soon.