পরমাণু ইস্যুতে সংলাপকে একমাত্র বিকল্প হিসেবে দেখছে চীন, রাশিয়া ও ইরান

বৈঠকের পর যৌথ এক বিবৃতিতে দেশ তিনটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের বেআইনি ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে শুক্রবার বেইজিংয়ে চীন, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যোগাযোগ জোরদার ও পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা পুনরায় শুরু করার পথ প্রশস্ত করার প্রস্তাব এসেছে।
বেইজিংয়ের বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু সভাপতিত্ব করেন। এতে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াবকভ সের্গেই আলেক্সিভিচ ও ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি অংশ নেন।
বৈঠকের পর যৌথ এক বিবৃতিতে দেশ তিনটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের বেআইনি ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা নীতির ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং সংলাপই একমাত্র কার্যকর ও বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।
বৈঠকে ইরান পুনর্ব্যক্ত করেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি কেবল শান্তির উদ্দেশ্যে, পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের জন্য নয়। ইরানের এই বক্তব্যকে চীন ও রাশিয়া স্বাগত জানিয়েছে।
চীন ও রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) ও ব্যাপক সুরক্ষা চুক্তির অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে ইরানের প্রতিশ্রুতিকেও স্বাগত জানায়। তারা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ইরানের নীতিকে সমর্থন করেছে এবং এনপিটির রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে ইরানের পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকারকে সম্পূর্ণরূপে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রাশিয়া ও ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ওয়াং নতুন ঐকমত্যের ভিত্তি হিসেবে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশনের (জেসিপিওএ) কাঠামোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রস্তাব দেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমস্যার নিষ্পত্তি এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বেইজিং বৈঠক চীন, রাশিয়া ও ইরানের একটি কার্যকর প্রচেষ্টা ছিল।
তিনি আরো বলেন, ইরানের পরমাণু সমস্যার ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে এবং আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে চীন অন্যান্য পক্ষের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।