পর্যাপ্ত খাবার কিনতে সক্ষম মানুষ আরো কমেছে জার্মানিতে
জার্মানির ১১.৪ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার কিনতে পারেন না
পরিসংখ্যান বলছে, মাছ, মাংস বা দামি সবজি কেনার সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেক জার্মান। আর্থিক অনটনের কারণে সিঙ্গেল প্যারেন্ট অর্থাৎ মা অথবা বাবা একা সন্তান লালন-পালন করেন, এমন পরিবারগুলোর পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য সবচেয়ে কম।
জার্মানির ১১ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রতি দুই দিনেও ভালো ও পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে পারে না। নতুন পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি দুই দিনেও জার্মানদের মধ্যে অনেকে মাছ, মাংস বা দামি সবজি কিনতে পারেন না।
২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে জার্মান বাণিজ্য বিষয়ক সংবাদ সংস্থা, রিডাকৎসিয়নসনেটসভেয়ার্ক ডয়েচল্যান্ড সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের বরাত দিয়ে তারা জানায়, এখন জার্মানির ১১.৪ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার কিনতে পারেন না। আগের বছরের চেয়ে এমন মানুষ অনেক বেড়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জার্মানির অন্তত ১৯.৩ শতাংশ সিঙ্গেল প্যারেন্টের প্রতি দিন পুষ্টিযুক্ত খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
২০২১ সালে এমন সিঙ্গেল প্যারেন্ট ২.৬ শতাংশ কম ছিল।
প্রতিক্রিয়া
এই তথ্য জানতে চাওয়ার আবেদন করেছিল জার্মানির বামপন্থী দল ডি লিংকে। দলের সংসদীয় নেতা ডিটমার বার্টশ ‘খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগামী দাম’ থামাতে বিফল হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
বার্টশ বলেন, ‘সুপারমার্কেটগুলো ঠকানোর বাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যত বেশি দাম, তত বেশি কেচাপ মাখানো পাস্তা।’
সরকারের কাছে তার অনুরোধ, সুপারমার্কেটগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাময়িকভাবে জরুরি খাদ্যপণ্যে বিক্রয় কর স্থগিত রাখা হোক।