‘পাকিস্তান যুদ্ধে জড়াবে না, ভারত করলে কঠোর জবাব’

পেহেলগাম ঘটনার পর ভারত ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘আক্রমণাত্মক’ মনোভাব নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইসাক দার।
পাকিস্তানে উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাক দার বলেছেন, ‘উত্তেজনা বাড়াতে পাকিস্তান কোনো পদক্ষেপ নেবে না। কিন্তু আমরা এটা পরিষ্কার করতে চাই যে- ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।’
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে ইসাক দার, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিচালক আহমেদ শরীফ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান উপস্থিত ছিলেন।
ইসাক দার বলেন, ‘পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে এবং ভারতের পেহেলগাম হামলায় মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি এবং আবারো বলছি যে- পেহেলগাম ঘটনার সাথে পাকিস্তানের কোনো সংযোগ নেই এবং পাকিস্তান এ ঘটনার নিন্দা করে। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছি।’
উপ-প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারতের আমাদের বলা উচিত কেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সফরের সময়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ভারত তাৎক্ষণিকভাবে পেহেলগাম ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে।’
পেহেলগাম ঘটনার পর ভারত ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘আক্রমণাত্মক’ মনোভাব নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইসাক দার।
তিনি বলেন, ‘ভারতের উচিত অন্যের দিকে আঙুল তোলার পরিবর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দিকে মনোযোগ দেয়া।’
‘ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ করছে এবং পাকিস্তান বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সতর্ক আছে এবং ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে কঠোর জবাব দেয়া হবে,’ বলেন দার।
ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না এবং পানি বন্ধ করার যেকোনো পদক্ষেপ যুদ্ধের শামিল হবে বলে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করছি, তাই আমাদের চেয়ে এই যন্ত্রণা ভালো আর কেউ বুঝতে পারবে না।’
ইসাক দার বলেন, ‘পাকিস্তানে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর পরিকল্পনা ভারতে হয়েছিল এবং ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশে বেছে বেছে মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার সাথেও জড়িত। এখন বিশ্বের দেশগুলোর তাদের নাগরিকদের হত্যার জন্য ভারতকে জবাবদিহির আওতায় আনার সময় এসেছে।’