পাকিস্তান রেকো ডিক খনির ১৫ শতাংশ বিক্রি করছে সৌদি আরবকে
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ রেকো ডিক খনি প্রকল্পের ১৫ শতাংশ শেয়ার সৌদি আরবের কাছে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই শেয়ার বিক্রি করা হবে আন্তঃসরকার চুক্তির ভিত্তিতে, যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ডলার। সৌদি আরব দুটি ধাপে এ অর্থ বিনিয়োগ করবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে, শতকরা ১০ ভাগ শেয়ারের বিনিময়ে সৌদি আরব পরিশোধ করবে ৩৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয় ধাপে, বাকি ৫ শতাংশ শেয়ারের জন্য পরিশোধ করবে আরও ২১ কোটি ডলার।
রেকো ডিক খনিজ প্রকল্পে প্রচুর তামা ও স্বর্ণ মজুদ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সম্পদ উত্তোলন পাকিস্তানের অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ করবে।
বর্তমানে রেকো ডিক প্রকল্পের ৫০ শতাংশ মালিকানা যৌথভাবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও বেলুচিস্তান সরকারের হাতে। বাকি ৫০ শতাংশ বিদেশি সংস্থা ও কোম্পানির মালিকানায়।
পাকিস্তানের খনিজ শিল্প উন্নয়নে বেলুচিস্তানকে ১৫ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট। রেকো ডিক খনি বেলুচিস্তানের চ্যাগাই অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তামা ও স্বর্ণের খনি হিসেবে পরিচিত।
২০১১ সালে টেনিয়ান কপার কোম্পানির (টিসিসি) সঙ্গে চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পাকিস্তান সরকার তাদের খনিজ আহরণের লিজ বাতিল করে। টিসিসি, ব্যারিক গোল্ড এবং অ্যান্তোফাগাস্টা মিনারেলসের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, রেকো ডিকে বিপুল খনিজের উপস্থিতি অনুসন্ধান করে সেখানে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল।
তবে, চুক্তি বাতিলের অভিযোগে টিসিসি আন্তর্জাতিক সালিশে যায়। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটলেমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস (আইসিএসআইডি) টিসিসির পক্ষে রায় দেয় এবং পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়।
এই বিপুল জরিমানা এড়াতে পাকিস্তান ব্যারিক গোল্ডের সঙ্গে সমঝোতা চালিয়ে যায় এবং অবশেষে ২০২২ সালে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়।