পাথর আনার চ্যালেঞ্জ
মহাকাশঅভিযানে বড় সাফল্য পেল চীন। শুক্রবার চাদেঁর উদ্দেশে নতুন মাহাকাশযান হাইনান প্রদেশথেকে লং মার্চ ৫ রকেটে চাং’ই-৬ এর উৎক্ষেপণ সফলহয়েছে। যেটি চাঁদের অপর প্রান্তে অতরণ করেছে বেজিংয়ের সময় অনুযায়ী রোববার সকালে। চীনেরন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ঘোষণা করেছে যে চাং’ই-৬ ল্যান্ডারটি দক্ষিণ মেরু-আইটকেনবেসিনে অবতরণ করেছে। এখান থেকে সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করবে।
২০২০ সালে চাঁদের বুকে অবতরণ করে চীনা মহাকাশযান চাং-৫। প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটি পৃথিবীতে নিয়ে আসে চীন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে প্রথমবার চাঁদ জয় করে চীন। ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর ঘোষণাও করেছে বেইজিং। চাঁদে পাকাপাকিভাবে বসতি স্থাপন করা যায় কিনা, সেই লক্ষ্যেই আগামিদিনে চন্দ্র অভিযান করবে চীন। চাং-৮ মিশনে চাঁদের আবহাওয়া এবং সেখানকার মাটিতে কী কী ধাতু রয়েছে, সেই সংক্রান্ত গবেষণা চালানো হবে। ওই মিশনেই থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি নামিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারীদের অবতরণের পরিকল্পণা করেছে। চীন তার দক্ষিণ মেরুতে একটি গবেষণা ভিত্তি তৈরি করতে চায়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ আকারে জল জমা হয় বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চাং’ই-৬ ল্যান্ডারটি দিয়ে সংগৃহীত নমুনাগুলি চাঁদ, পৃথিবী এবং সৌরজগতের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করতে পারে। এই তথ্য চীনের ভবিষ্যত মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাং’ই-৬ অ্যাপোলো বেসিন নামের একটি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারের ভিতরে প্রবেশ করেছে। এটি দক্ষিণ মেরু-আইটকেন বেসিনে অবস্থিত যার ব্যাস প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার। এটি চাঁদের চারপাশে ২০ দিন ঘুরছে। এটি চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং অকটি অ্যাসেন্ডার এবং একটি পুনঃপ্রবেশ মডিউল। চীনের এই মিশনটির লক্ষ্য হল ২ কেজি চাঁদের ধুলো এবং পাথর সেখান থেকে সংগ্রহ করে আনা। এখন অববাহিকা থেকে শিলা অপসারণের জন্য ল্যান্ডারটি একটি ড্রিল এবং যান্ত্রিক হাত ব্যবহার করবে। ল্যান্ডারটি চাঁদের দূরপাশে ২ দিন সময় কাটাবে। এইসব প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করতে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। বিজ্ঞানী ইউ ওয়ারেন জানিয়েছেন, মুন স্টেশন তৈরির পরিকল্পনাও আছে চীনের। আগামী দিনে চাঁদের মাটি দিয়েই মুন স্টেশন তৈরি করা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।