USA

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন ট্রাম্প

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, পানামা খাল দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মার্কিন জাহাজগুলোকে অতিরিক্ত শুল্ক ও মাশুল দিতে হচ্ছে। তিনি এসব অন্যায্য ফিসের তীব্র সমালোচনা করে খালটির নিয়ন্ত্রণভার ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

শনিবার তিনি এই খালকে ঘিরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে মালামাল পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই কিংবদন্তী খাল।

ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর সঙ্গে খুবই অন্যায্য ও অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। পানামা যে ধরনের ফিস নিচ্ছে তা হাস্যকর।’

‘আমাদের দেশকে ঠকানোর এই প্রক্রিয়া শিগগির বন্ধ হবে’, যোগ করেন ট্রাম্প।

১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নির্মাণকাজ শেষ করে।

১৯৭৭ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শাসনামলে এই খালের নিয়ন্ত্রণভার পানামার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে মধ্য আমেরিকার দেশটি।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই খালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শতভাগ পানামার। চীন বা অন্য কারও নয়। আমরা কখনোই এর নিয়ন্ত্রণ ভুল মানুষের হাতে যেতে দেব না।’

তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, পানামা খালের ‘নিরাপদ, উপযোগী ও নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম’ অব্যাহত থাকবে।

অক্টোবরে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ অর্থবছরে এই খাল থেকে দেশটি প্রায় ৫০০ কোটি ডলার উপার্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অক্টোবরে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ অর্থবছরে এই খাল থেকে দেশটি প্রায় ৫০০ কোটি ডলার উপার্জন করেছে।

অন্যথায় বিনা বাক্যব্যয়ে এই খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ওয়াশিংটনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ট্রুথ সোশালের ওই পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, নির্বোধের মতো জিমি কার্টার এই খালের নিয়ন্ত্রণ পানামাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। 

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর তাৎক্ষণিকভাবে পানামা কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।

এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ না করলেও ট্রাম্প বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শেষ দিনগুলোতে তার নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন।

ট্রাম্প রাজনীতিতে আসার আগে মার্কিন আবাসন খাতের প্রথম সারিতে ছিলেন।

তিনি দাবি করেন, এ কারণে মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর মতো অভিজ্ঞতা তার আছে।

বৈশ্বিক নৌপরিবহনের পাঁচ শতাংশই পানামা খাল দিয়ে হয়।

এই খালের মাধ্যমে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয়। যার ফলে এই দুই মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে যাওয়ার দীর্ঘ পথ এড়াতে সক্ষম হয় জাহাজগুলো।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই খালের মূল ব্যবহারকারী।

অক্টোবরে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ অর্থবছরে এই খাল থেকে দেশটি প্রায় ৫০০ কোটি ডলার উপার্জন করেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button