Uncategorized

পানিতে ডুবেছে ঢাকা “রাজধানীতে দফায় দফায় বৃষ্টি”

বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে চলছে বৃষ্টি। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ। হাওয়াও বইছে, সঙ্গে বৃষ্টি। তবে এ বাতাসে বৃষ্টির সুবাস হয়তো কিছুটা আছে। রাজধানীর পানিবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু পানিবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে এখনও নগরবাসীকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি। সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলির রাস্তা।
পানিবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলোও সুপরিকল্পিতভাবে হয়নি। বিশেষ করে যথাযথভাবে হয়নি ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। আর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনে সিটি কর্পোরেশন এবং সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে ছিল না তেমন কোনো সমন্বয়ও। ফলে পানিবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছর পার করছে সংস্থাগুলো। তবে সুযোগ পেলেই মোটা অঙ্কের একাধিক প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী সংশ্লিষ্টরা। সমস্যার সমাধান হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর নেই তাদের। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর তাগিদ দিয়ে প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা অংক বাড়ালেই পানিবদ্ধতা নিরসন হবে না। খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করার পর তা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সিটি করপোরেশন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়।
গতকাল শনিবার সকাল থেকেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি চলছে। দিনভর ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা বলা হয়,গতকাল রাজধানীতেও সারা দিন থেমে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
জুনের শুরুটা প্রচ- গরম ছিল দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যায় তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রথম সপ্তাহ শেষে তাপ কমতে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বইলেও সিলেটে কিন্তু ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমন তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে ও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঈদের দিন কিছুটা বৃষ্টি হলেও এর পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি অংশ বৃষ্টিহীন। সেখানে ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।
রাজধানী ঢাকার পানিবদ্ধতার চিত্র পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করা যায়, ঘণ্টায় মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা তলিয়ে যায়। দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিরা বলেছেন, রাজধানীর পানিবদ্ধতা সম্পূর্ণ নিরসন করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সমস্যা চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে সমাধান অবশ্যই সম্ভব। ঈদের দিন থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও বিকেলের পর রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি নেমেছিল। গতকাল শনিবার সকালে বৃষ্টির মাত্রা ছিল কম। তবে আকাশে ছিল মেঘ। দুপুরের পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি। যা প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কও। তবে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যানজট দেখা দেয়নি।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আসাদ গেট, জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, কলাবাগন রোর্ড, পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট- তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশে।
সিএনজি অটোরিকশার চালক রাসেল হোসেন বলেন, বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ধানমন্ডি, শুকরাবাদের কিছু সড়কে পানি জমে যায়। এর মধ্যে গাড়িতে যাত্রী নিয়ে আসার সময় ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। পরে যাত্রী নামিয়ে কিছুদূর গাড়ি ঠেলে নিয়ে আসতে হয়েছে। পরে গাড়ি স্টার্ট নিয়েছে। হাতিরঝিল হয়ে গুলশানের দিকে আসার সময়ও অনেক স্থানে পানিবদ্ধতা দেখেছি। অন্যদিকে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোডের পনিবদ্ধতার বর্ণনা দিয়ে আরেক উবার চালক রাকিব হাসান বলেন, একটা ট্রিপ নিয়ে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে পুরো সড়ক অলিগলিতে পানিবদ্ধতা দেখেছি। কোথাও কোথাও আবার হাঁটু পানিও জমেছে। এদিকে হাতিরঝিলের রাস্তায় বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফাঁকা সড়কে দুরন্ত কিশোররা জলকেলিতে মেতেছে। তাদের মধ্যে এক কিশোর জনি মিয়া বলে, ফাঁকা রাস্তা তেমন গাড়ি চলছে না। এদিকে পানি জমে নদীর মতো হয়েছে তাই আমারা ফুটবল খেলছি। মাঝে মাঝে দুই একটা গাড়ি গেলে ঢেউয়ের মধ্যে লাফ দিচ্ছি আমরা।
পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে লেকপাড় দিয়ে শাহজাদপুর যাচ্ছিলেন আবু সাইদ বলেন, হাতিরঝিলসহ গুলশান লেকপাড়ের রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমেছে। রিকশায় যাত্রী টানার সময় অন্য গাড়ি পাশ দিয়ে গেলে যাত্রীসহ আমি পুরোটাই ভিজে যাচ্ছি ঢেউয়ে। এদিকে গত পাঁচদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে টানা বৃষ্টি। এ সময়ে প্রতিদিনই সকালে যেন নিয়ম করে শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে বৃষ্টির প্রবণতা। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় মুষলধারে।
আবহাওয়ার অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহীনুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে গরম। সামান্য বৃষ্টি হলে মহানগরের বেশির ভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে। তবে ঢাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন ১৩৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৪ টি পয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ডিএসসিসির কর্মকর্তারা। আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে। এছাড়া খালগুলো সংস্কার করে পানি প্রবাহ সৃষ্টি হলে ঢাকার পানিবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা। রাজধানীতে ঢাকা ওয়াসা রক্ষণাবেক্ষণ করে ৩৮৫ কিলোমিটার গভীর ড্রেন ও ৪টি পাম্প স্টেশন এবং ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট। পানি উন্নয়ন বোর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করে ৫২টি স্লুইসগেট এবং ১টি পাম্প স্টেশন, রাজউক রক্ষণাবেক্ষণ করে ২৫ কিলোমিটার লেক এবং ৩০০ কিলোমিটার নালা। ডিএনসিসির ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন রয়েছে এবং ডিএসসিসির রয়েছে ৯৬১ কিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন। এছাড়া বর্তমানে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় দেওয়া হয়েছে ২৬টি খাল। তবে সব খাল ও ড্রেনেজ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভরাট হয়ে যায়। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
রাজধানীর গ্রিন রোড এলাকায় একই অবস্থা। পান্থপথ থেকে গ্রিন রোড পর্যন্ত রাস্তা পুরোটাই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। গ্রিন রোড এলাকায় বাসিন্দা সমর বলেন, পান্থপথ থেকে আশপাশের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। ফার্মগেটের দিকে, শুক্রাবাদ ও রাজাবাজার এলাকার অলিগলিতেও পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মেইন রোডেই তো হাঁটু পানি। অলিগলিগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ।
আহসান রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই এই সড়কে পানি জমে। কয়েকদিন আগেও রাস্তাঘাট নদী হয়ে গেছে। পাঠাও নেই, রিক্সাভাড়াও বেশি। এ শহরে বৃষ্টি হলেও যন্ত্রণা পানিবদ্ধতা। রাজাবাজার এলাকা রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবদ্ধতা নিরসনে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কিন্তু বেশির ভাগ সড়কে ময়লা পড়ে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তাই ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নি¤œাঞ্চলের মানুষদের সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে জানান তারা। ফারুক নামের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা দোকানদার রাজা মিয়া বলেন,এই মাসটি মোটামুটি ভালো। বৃষ্টির পরিমাণ কম। কিন্তু গত মাসে দুইদিন ভারি বৃষ্টির কারণে এই গলিতে হাঁটুপানি ছিল। ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সমস্যা হলেই পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনের ময়লা পানি মিলে একাকার অবস্থা।
রাজধানীতে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
গত মঙ্গলবার থেকে চলছে টানা বৃষ্টি। প্রতিদিনই সকাল শুরু হয় বৃষ্টি। বিকেল গড়াতেই বাড়তে থাকে বৃষ্টির পরিমাণ। টানা বৃষ্টির কারণে ঈদের ছুটি কাটছে ঘরবন্দি অবস্থায়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল সকাল থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকেল ৩টার পর সেই বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে বিকেলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কও। তবে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যানজট দেখা দেয়নি।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশে। আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টি আগামী সোমবার থেকে কমবে। একটানা বৃষ্টি হয়ে দিনের এক বা দুই বেলা সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির কমার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাপসা গরম পড়বে। তিনি জানান, বর্ষাকালে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি এবং বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কম। ঢাকায় বাতাসের বেগ প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। এ কারণে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম লাগছে এবং স্যাঁতসেঁতে অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করবে। এদিকে গত ৫ দিন ধরে সমুদ্র বন্দরে চলা ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে চলা এক নম্বর সতর্ক সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবে।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button