International

পিটিআই সমর্থকদের মৃত্যুর তথ্য লুকাচ্ছে পাকিস্তান সরকার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, জনগণের ম্যান্ডেট ফিরিয়ে দেওয়া এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে রওনা দেন তাঁর রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকরা।

২৪ নভেম্বর যাত্রা শুরুর পর ২৬ নভেম্বর ইসলামাবাদে পৌঁছান তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ডি-চকে অবস্থান নেওয়া। তবে সেদিন রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে আকস্মিকভাবে কর্মসূচি বাতিল করে পিটিআই। 

এর পর দলটি জানায়, নতুন এ আন্দোলনে তাদের অন্তত ডজনখানেক  কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পিটিআইয়ের কেউ প্রাণ হারাননি। এমনকি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি। 

তবে আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যা পাকিস্তান সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে। আনিস শেহজাদ, মোবিন আওরঙ্গজেব, মালিক সদর আলি, মোহাম্মদ ইলিয়াস নামে চারজনের মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধান করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে দেখা গেছে, আনিস, মোবিন, মালিক গুলি লেগে; অন্যদিকে মোহাম্মদ ইলিয়াস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মারদানের বাসিন্দা মালিক সরদারের ভাই আবদুল ওয়ালি জানিয়েছেন, তাঁর ভাই পিটিআইয়ের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি দুবাই থেকে প্রায়ই এসে দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। গত ২৬ নভেম্বর তাঁর মাথায় গুলি লাগে। এতে প্রাণ হারান তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে প্রাণ হারানো পিটিআইয়ের এসব কর্মীর মরদেহ দিতে চায়নি পুলিশ। তাদের যেসব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেগুলো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে আটকে রাখা হয়েছিল। ওয়ালি জানিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে জোর করে প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টা করা হয়, তিনি ভাইয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে কোনো মামলা করবেন না। কিন্তু তিনি এতে রাজি হননি। অন্যদের সঙ্গেও একই আচরণ করেছে পুলিশ। 

পিটিআই প্রথমে জানিয়েছিল, এবারের আন্দোলনে তাদের কয়েকশ কর্মী নিহত হয়েছেন। কিন্তু দলটির চেয়ারম্যান গওহর আলি খান পরবর্তী সময় জানান, তাদের ১২ কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

এ বিষয়টি নিয়েও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার উপহাস করেন। এক্সে তিনি লেখেন, এই মরদেহগুলো শুধু টিকটক, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাবে। তারা জাতির সঙ্গে উপহাস আর মিথ্যার রাজনীতি করছে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button