পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক চূড়ান্ত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে। এ তথ্য নিজেই জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেননি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিয়েছেন পুতিন। ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে বক্তৃতাকালে এ তথ্য দিয়েছেন তিনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের অনুরোধ করেনি ওয়াশিংটন। এ বছরের ২০শে জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠক করতে চেয়েছেন। যুদ্ধের ইতি টানতে হবে বলে পুতিন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান ট্রাম্প। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগকে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। গত বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পপন্থি মার্কিন থিংক ট্যাংক আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা তুলে ধরেন কেলগ। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার অংশগ্রহণে ইউক্রেন রাজি থাকলেই কেবল কিয়েভকে সহায়তা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ওই গবেষণাপত্রে কেলগ উল্লেখ করেন, তবে মস্কো যদি আলোচনায় না আসে তাহলে কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহায়তা দেয়া উচিত। নভেম্বরে ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন- যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে আসলে ‘দ্রুতই’ যুদ্ধের অবসান হবে। সেসময় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে ফোনকলও করেছিলেন জেলেনস্কি। ট্রাম্প তাকে যুদ্ধের ইতি টানতে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।