Hot

পুলিশে দুদক আতঙ্ক, দুই শতাধিক কর্মকর্তার শর্টলিস্ট সরকার ও সুরক্ষাকারীদেরও দুর্নীতির দায় নিতে হবে : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি

পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আতঙ্ক। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের মতো ব্যক্তিকে সংস্থাটি আইনের জালে আটকে ফেলা হয়েছে। এর পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতিপ্রবণ এই সেক্টরটিতে। গত দেড় দশক ধরে মানুষ দেখে আসছে পুলিশের দোর্দণ্ড প্রতাপ। প্রান্তিক পর্যায়ের কনস্টেবল থেকে শুরু করে শীর্ষপদ পর্যন্ত মানুষ সহ্য করেছে পুলিশি দৌরাত্ম্য। বিনা অপরাধে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। মিথ্যা মামলায় আসামি করে অর্থ আদায় করেছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা। মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। গায়েবি মামলার আসামিও করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। ভুক্তভোগী মানুষের এসব সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।


গত দেড় দশকে দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও অর্থপাচার চরম আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন ছিল কার্যত নির্বিকার। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সংস্থাটিতে লক্ষ করা গেছে রহস্যজনক নীরবতা। নির্বাচনের পর হাইকোর্টের নির্দেশে একটু-আধটু করে অস্তিত্বের জানান দেয়া শুরু করে। এরই মধ্যে গত ১৪ মে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এর পরপরই যেন দেশে বইতে শুরু করে লু-হাওয়া। দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেই সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে রচনা করা হয় ‘দুর্নীতি’র প্রেক্ষাপট। একজন আইনজীবীর আবেদনের পর গত ২৪ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। আজিজ আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানও শুরুর কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ক’দিন আগেও যে দুদক আজিজ-বেনজীরদের দুর্নীতি খুঁজে পায়নি, সেই দুদক এখন তাদের দুর্নীতি খুঁজছে হন্যে হয়ে।

‘অতি বিশ্বস্ত’ এবং ‘সেবাগ্রহিতা’ সরকার এই দুই কর্মকর্তার কোনো দায়িত্বই এখন গ্রহণ করছে না। ব্যবহৃত টিস্যুর মতোই ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। যদিও কথা উঠেছে, যাদের বিষয়ে দুদক এখন খড়্গহস্ত, তাদের দুর্নীতির খবর দুদক এবং সরকার আগেও জানতো। তবু তাদের সপদে বহাল রেখে দুর্নীতি সংঘটিত হতে দেয়া হয়েছে। সংস্থাটির আকস্মিক সম্বিৎ ফিরে পাওয়াকে মানুুষ সাধুবাদ জানালেও একই সঙ্গে রয়েছে সংশয়, সন্দেহ এবং প্রশ্ন। সরকার কি তাহলে পরিকল্পিতভাবেই দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়েছে? সরকার কি আসলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে? নাকি সবই ‘আইওয়াশ’! দেড় দশক ধরে ক্রমাগত ব্যাংক লুট, রিজার্ভ চুরি, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার-প্রশ্নে সংস্থাটিকে তো কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি। হাস্যকর যত অনুসন্ধান-তদন্তের নামে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চরম আস্থাহীনতার দিকে।

সেই দুদক কি না ব্যবস্থা নেবে এক সময় সরকারের ক্ষমতার স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সংস্থার কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে? দুর্র্নীতিকে তামাশার বস্তুতে পরিণত করা দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। তাই কথা উঠেছে, সরকার নয়-সরকারের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট চাপ থেকেই আড়মোড়া ভেঙেছে দুদক। দেশটি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারে মানবাধিকার ও দুর্নীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব মোড়ল এই দেশটি। সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দুর্নীতির কারণে। সরকারদলীয় নেতারা বারংবার বলছেন, দুর্নীতিবাজ যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় দল এবং সরকার নেবে না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিলে সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। এসবই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুদকের প্রতি সরকারের গ্রিন সিগন্যাল।

সরকারের অভিপ্রায়েই পা ফেলছে সংস্থাটি। সরকার দুদকের এই ‘জেহাদী জোশ’ অব্যাহত থাকতে দিলে দুর্নীতি ও অর্থপাচার সংক্রান্ত আইনের অগ্নি-জিহ্বা স্পর্শ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের। প্রভাবশালী দুই ব্যক্তির হেন পরিণতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত প্রান্তিক, মধ্য এবং এমনকি শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শরীরে বইতে শুরু করেছে রক্তের শীতল প্রবাহ। স্বেচ্ছা-স্বাধীন দুদক নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঘৃণার স্তর ছাপিয়ে বইছে আতঙ্ক।
দুই শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা দুদকে : দুদকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলোর সন্তুষ্টি কুড়াতেই সরকারের আকস্মিক ‘দুর্নীতিবিরোধী’ এই অবস্থান। দুদককে ‘অ্যাকশন মুড’ সৃষ্টি করে দাতাদেশ ও সংস্থাগুলোকে এ বার্তাই দিতে চায় যে, বর্তমান সরকার যেভাবেই ক্ষমতাসীন হোক না, দুর্নীতির বিষয়ে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। আর এই বার্তা প্রদানের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে দুর্নীতিপ্রবণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অবসরে যাওয়া দুই বাহিনীর (পুলিশ ও সেনাবাহিনী) প্রধানকে দিয়ে এর শুরু। দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযান ক্রমবিস্তৃতি ঘটবে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যেও। ভুক্তভোগীদের দেয়া অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, দুদকের নিজস্ব উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে তালিকা।

এর মধ্যে কারো কারো বিষয়ে শুরু হবে নতুন অনুসন্ধান। কিছু রয়েছে অনুসন্ধানাধীন। কিছু রয়েছে তদন্তাধীন। উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দুদক এরই মধ্যে বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু, মামলা দায়ের এবং চার্জশিট দাখিল করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমি সারদায় কর্মরত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দিয়েছে গত ৭ মে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। দুদকে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন সুব্রত ঝুলিয়ে রেখেছিলেন অনুসন্ধান। মামলা হওয়ার পর ঝুলিয়ে রাখেন তদন্ত। শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি কোনো তদবিরে। পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মাদারীপুর থাকাকালে কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্য, জালিয়াতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে দুদক মামলা করলেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং নেন। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উপ-পরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম চার্জশিট দেন। তবে চার্জশিট দাখিলের পর এক মাস অতিক্রান্ত হলেও সুব্রতকে এখনো বরখাস্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ কনস্টেবল মো: নূরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর টাউন সাব-ইন্সপেক্টর গোলাম রহমান এবং একই জেলার পুলিশ হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা।


জয়পুরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম এবং তার সহোদর ডিএমপির সাব-ইন্সপেক্টর সারে আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয় হাইকোর্টের নির্দেশে। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ তার আদেশে ৩ মাসের মধ্যে দুই সহোদরের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বলেন। পুলিশ ভাতৃদ্বয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। তবে হাইকোর্টের বেঁধে দেয়া ৩ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি সংস্থাটি। জানা গেছে, মোটা অঙ্কের নজরানার বিনিময়ে সারে আলম-নূরে আলম দুদকে অনুসন্ধান দু’টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। তবে সংস্থার পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান-২)-এর পরিচালক মো: বেনজীর আহমেদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম এটি নিয়ে কাজ করছে।


পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে গত ১৩ মে। গোপালগঞ্জের এই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি রয়েছে বিশাল ডুপ্লেক্স ভবন, ভাইদের নামে এলাকায় করেছেন ‘কানাডা সুপার মার্কেট’, রাজধানীর ইন্দিরা রোডে বহুতল বাড়ি, গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের সাথে ৬ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটÑ যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা। রাজউক ঝিলমিল প্রকল্পে স্ত্রী ফারজানা রহমানের নামে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২টি প্লট। এ ছাড়া নামে-বেনামে কয়েক শ’ কোটি টাকার সম্পদ। দুদকের উপ-পরিচালক মো: নূরুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।


১৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিরোজপুর মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে গত বছর ১৫ জুন মামলা করে দুদক। দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক গোলাম মওলার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম মামলাটি তদন্ত করছে। চার্জশিট দাখিলের লক্ষ্যে দ্রুত মামলাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগের ডেস্কের দায়িত্বে থাকা পরিচালক।
সর্বশেষ গত ২৮ মে দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো: ইমরা খান বাদী হয়ে মামলা করেন ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফারজানা হোসেন রীমার বিরুদ্ধে। এজহারে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং জাল হলফনামা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়।


দুদক সূত্রগুলো আরো জানায়, চাকরিরত বেশ কয়েকজন ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ওসি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা, আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাসহ আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনীর অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তার একটি ‘শর্টলিস্ট’ ধরে এগোচ্ছে সংস্থাটি। বিভিন্ন জনের দায়েরকৃত অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে এ তালিকা। আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ ইফতেহার আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘উপর ম্যানেজ’ করে অনুসন্ধানটি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কমিশন থেকে।


এছাড়া ইতঃপূর্বে দুদক থেকে দায়মুক্তি প্রাপ্ত ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মো: গাজী মোজাম্মেল হক (ডেভলপমেন্ট)সহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পুন: অনুসন্ধানেরও সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের অভিযোগ ছিল। কিন্তু ইকবাল মাহমুদ নেতৃত্বাধীন কমিশন মোটা অঙ্কের অর্থ এবং উচ্চপর্যায়ের তদবিরের প্রেক্ষিতে তাদের দায়মুক্তি দেয়।


এদিকে দুদকের আকস্মিক ‘পুলিশবিরোধী’ অভিযান প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায় সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। এখানে সরকারের দায় আছে। কারণ, পুলিশ কর্মকর্তারা এককভাবে দুর্নীতি করেননি। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, অবৈধ সম্পদের মালিকানা, স্বর্ণপাচর হোক, পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে কিন্তু আরো অনেক অংশীজন ছিলেন। পরিচালনাকারী ছিলেন। সুরক্ষাকারী আরো অনেকে ছিলেন। তাদের দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d