পৃথিবীর মতো ‘বাসযোগ্য’ নতুন গ্রহ আবিষ্কার
তাত্ত্বিকভাবে বসবাসযোগ্য নতুন একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি আকারে পৃথিবীর চেয়ে ছোট কিন্তু শুক্রের চেয়ে বড়। প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে একটি ছোট তারাকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি। খবর সিএনএনের।
বিজ্ঞানীদের দুটি দল একসঙ্গে এই গ্রহটি আবিষ্কার করে এর নাম দিয়েছো গ্লিস ১২বি। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস এবং রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এক্সপ্ল্যানেট (আমাদের সৌর জগতের বাইরের যে কোনো গ্রহ) সম্পর্কে চমকপ্রদ নানা তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্লিস ১২বি মীন রাশিতে অবস্থিত একটি শীতল লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, যা আমাদের সূর্যের আকারের প্রায় ২৭ শতাংশ এবং তাপমাত্রার ৬০ শতাংশ।
যেহেতু এর নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট, তাই গ্লিস ১২বি এখনো বাসযোগ্য অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। গ্রহটি প্রতি ১২ দশমিক ৮ দিনে তার কক্ষপথ ভ্রমণ সম্পন্ন করছে। নতুন গ্রহে বায়ুমণ্ডল নেই ধরে বিজ্ঞানীরা এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) গণনা করেছেন।
টোকিওর অ্যাস্ট্রোবায়োলজি সেন্টারের প্রকল্প সহকারী অধ্যাপক এবং গবেষণা দলের সহ-নেতা মাসায়ুকি কুজুহারা বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কাছের, নাতিশীতোষ্ণ ও পৃথিবীর আকারের গ্রহ খুঁজে পেয়েছি।’
পৃথিবীর আকারের নাতিশীতোষ্ণ কোনো গ্রহ চিহ্নিত হলে তাদের বায়ুমণ্ডলে কোন কোন উপাদান থাকতে পারে, বিশেষ করে পানি রয়েছে কি না, তা নির্ধারণে বিশ্লেষণ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন গ্রহ সম্পর্কে গবেষণা করা আরেকটি দলের সহ-নেতা ল্যারিসা প্যালেথর্প। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এই ডক্টরাল শিক্ষার্থী জানান, আমরা কেবল মুষ্টিমেয় কিছু এক্সপ্ল্যানেট খুঁজে পেয়েছি, যেগুলো ভালো প্রার্থী। সেগুলোর মধ্যে গ্লিস ১২বি হলো নিকটতম। তাই এটি একটি বড় আবিষ্কার।