পেঁয়াজের কেজি ফের ১১০ টাকা, শীতের আগাম সবজির দামে আগুন
সরবরাহ পর্যাপ্ত। তবুও সাত দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি শীতের আগাম সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল ও আলু বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম হালিপ্রতি দুই টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার, নয়াবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, সাত দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা, যা সাত দিন আগে ছিল ৮০ টাকা।
কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা সোনাই আলী বলেন, পূজার ছুটিতে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসেনি। তাই পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমবে।
এদিকে শীত আসার আগেই রাজধানীর খুচরা বাজারে শীতের আগাম সবজিতে ভরে গেছে। কিন্তু দামে আগুন। বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শিম ১৭০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া এক পিস ছোট আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি মুলা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাত দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার কেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে সরু চাল ৬৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়, যা সাত দিন আগে ৫৪ টাকা ছিল।
মালিবাগ কাঁচাবাচারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, চাল নিয়ে মিলাররা আবার কারসাজি করছেন। দাম বাড়িয়ে বিক্রি করায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। ফলে পাইকারি পর্যায় থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মসুর ডাল (মাঝারি দানা) বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ১১৫-১২৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকা ছিল। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, যা আগে ৫৩-৫৪ টাকা ছিল।
রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা রহমতউল্লাহ বলেন, বাজারে এলে চোখে পানি আসে। সব পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। বিক্রেতারা পেঁয়াজ একেক দিন একেক দামে বিক্রি করছে। তিনি ১১০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন। সবজি কেনার মতো উপায় নেই। দাম শুনে তাতে হাত দিতে ভয় হয়। চালের দামও বাড়ানো হয়েছে। সব মিলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা কষ্টের মধ্যে আছি।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৫৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিপ্রতি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।