পোশাকশিল্পে চাকরির অনিশ্চয়তা বাড়ছে নারী কর্মীদের
তৈরি পোশাক শিল্পে পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা একসঙ্গে কাজ করলেও উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কাজে পুরুষদেরই বেশি দেখা যায়। ফলে পোশাকশিল্পের স্বয়ংক্রিয়করণ ও ডিজিটাইজেশনের এই সময়ে বাড়ছে নারীদের চাকরির অনিশ্চয়তা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর কাজে নারীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল রবিবার বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) আয়োজিত ‘রিশেপিং দ্য ন্যারেটিভ : স্ট্রেংদেনিং কাভারেজ অব উইমেন আরএমজি ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক একটি অংশগ্রহণমূলক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
কর্মশালায় পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কিভাবে নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনি গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় সি-ক্যাব পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, ৭৪.৮ শতাংশ পোশাককর্মী বিশ্বাস করেন কর্মক্ষেত্রে পুরুষরা ভালো ব্যবস্থাপক।
৭৩.৫ শতাংশ কর্মী বিশ্বাস করেন নারীদের তুলনায় পুরুষরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ ভালো পারেন। অন্যদিকে ৫২ শতাংশ নারী কর্মী বিশ্বাস করেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে তাঁরাও নেতৃত্ব দানকারী ভূমিকায় কাজ করতে পারেন।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক এবং কর্মশালার মডারেটর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সামাজিক উপলব্ধি বা ধ্যান-ধারণা নিয়ে গবেষণা করেছি। গার্মেন্টসকর্মীদের ধ্যান-ধারণা ও সমাজের ধ্যান-ধারণা এবং শিল্পে যে স্বয়ংক্রিয়করণ (অটোমেশন) ও ডিজিটাইজেশন হচ্ছে—এ নিয়ে গার্মেন্টসকর্মীদের চিন্তা-ভাবনা আমরা তুলে এনেছি।
তবে কারখানাভিত্তিক কাজ করার সুযোগ রয়েছে ভবিষ্যতে।’
গণমাধ্যমে গার্মেন্টসকর্মীদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় ভুক্তভোগী (ভিকটিম) তৈরির মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে প্রযুক্তি ও পরিচালনায় নারী পোশাক শ্রমিকরাও যে সক্ষম, তা তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।