প্রতিযোগিতায় জিতল পশম না থাকা কুকুরটি, পুরস্কার ৫ হাজার ডলার

বিশ্বের ‘কুৎসিততম কুকুর প্রতিযোগিতা’। প্রায় ৫০ বছর ধরে চলছে। এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর নির্বাচিত হয়েছে পেটুনিয়া নামের একটি মিশ্র জাতের বুলডগ। এই কুকুরের পুরো শরীরে একটিও পশম নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের ইউজিন শহরের শ্যানন নাইম্যানের পোষা কুকুরটি সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা কাউন্টি মেলায় অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৫ হাজার ডলার।
পেটুনিয়া প্রতিযোগিতায় ১০ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাস ভেগাসের একটি অবৈধ প্রজনন এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে কুকুরটিকে উদ্ধার করা হয়। অনৈতিক প্রজননপ্রক্রিয়ার কারণে তার শরীরে কোনো পশম নেই।
কুকুরটির মালিক শ্যানন নাইম্যান বলেন, ‘সে দারুণ অনুভব করছে, প্রচুর আদর পাচ্ছে। মানুষ তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এসব সে উপভোগ করছে।’
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার সুবাদে পেটুনিয়ার ছবি মুদ্রিত হবে মাগ রুট বিয়ার কোম্পানির বিশেষ সংস্করণের ক্যানের গায়ে। আয়োজকেরা কুকুরটিকে একটি কোমল হৃদয়ের প্রাণী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি অন্য কুকুর, বিড়াল এবং মানুষকে ভালোবাসে।
গত বছর এই প্রতিযোগিতায় জিতেছিল বৃদ্ধ পেকিনিজ জাতের কুকুর ওয়াইল্ড থ্যাং। এ বছর রানারআপ হয়েছে ১৪ বছরের এক পাগ কুকুর রোম। তৃতীয় স্থান পেয়েছে ১৪ বছরের সাদা পশমের মিশ্র জাতের কুকুর ডেইজি মে। এটিকে দুই বছর বয়সে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সে তার দাঁত, পশম এবং দৃষ্টি—সবই হারিয়েছে।
১৯৭১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পেটালুমার বাসিন্দা রস স্মিথ স্থানীয় সমাজসেবার তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রথম এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে সোনোমা-ম্যারিন মেলা কর্তৃপক্ষ এটি আয়োজন করে আসছে।
প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ আয়োজনের লক্ষ্য হলো প্রতিটি কুকুরের অসম্পূর্ণতাকে উদ্যাপন করা এবং সব প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও দত্তক নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা। অনেক প্রতিযোগী আশ্রয়কেন্দ্র বা অবৈধ কুকুর প্রজননকেন্দ্র থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাণী। এ প্রতিযোগিতা তাদের জন্য একপ্রকার পুনর্বাসন উৎসবও বটে।