প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি করছে ইরান-রাশিয়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শুক্রবার মস্কো সফর শুরু করেছেন। তাঁর এ সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া দুই নেতা ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ চুক্তি সই করবেন। তাঁদের এ চুক্তির মধ্যে থাকছে আরও ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি। রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
গত জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পর পেজেশকিয়ানের এটাই প্রথম ক্রেমলিন সফর। তাঁর এ সফরে চুক্তি সইয়ের আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা মস্কো ও তেহরানের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহন, লজিস্টিকস, মানবিক ক্ষেত্র এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় বর্তমান ইস্যুতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক ও রাজনৈতিক অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকে ইরানের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। ইরান ইউক্রেনের অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহৃত শাহেদ ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইরান আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, যার সঙ্গে আমরা বহুমুখী সহযোগিতা গড়ে তুলছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক আছে, এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে রাশিয়া। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়াও রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ার পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করেছে রাশিয়া।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও রাশিয়া বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার পর পেজেশকিয়ান মস্কো সফর করছেন। সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা ইরান ও রুশ–সমর্থিত বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এর আগে গাজায় ইরান–সমর্থিত হামাস ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার শিকার হয়েছে।