‘প্রতিশোধ’ নিতে ইরানে হামলায় যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউস ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলায় যোগ দেবে না। বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
শনিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত ইরান ইসরায়েলে তিনশ’র বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলা গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইরান। তবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এই কাজে অংশ নেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ যৌথ বাহিনী।
এদিকে, এই হামলার পর কি জবাব দেবে ইসরায়েল তা সাবধানে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কীভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে সাবধানে ও কৌশলী হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনার বিনিময়ে ইসরায়েল সবচেয়ে সেরা জবাবটিই পেয়েছে বলে মনে করে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া ৯৯ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি করে নামিয়ে আনা ও প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের তুলনায় তার সামরিক শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখতে পেরেছে বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। টেলিফোন আলোচনায় দুই নেতা কীভাবে সব কিছু শ্লথ করা যায় ও একটির পর আরেকটি বিষয় নিয়ে এগোনো যায় তা নিয়ে কথা বলেন। তবে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ইসরায়েলের পক্ষে উল্লেখযোগ্যভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া দেওয়ার বিষয়ে কোনোকিছু জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে শুধু এটাই বলেন যে, বিষয়টির হিসাব ইসরায়েলকেই করতে হবে।
তবে টেলিভিশনের প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বারবার এই কথা বলেন যে, তার দেশ যে আরও বড় আকারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে না এই বিষয়টি এখন পরিষ্কার।
জন কিরবি ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষায় কাজ করে যাবে তবে এক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ‘জবাব’ দিতে তারা দেশটির সঙ্গে যোগ দেবে না।