Hot

প্রত্যাবর্তনের পথে আওয়ামী লীগ! বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-অন্তর্বর্তী সরকার কি দায় এড়াতে পারবে?

‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতায় শূন্য থাক/দূরের বাদ্য কাজ কী শুনে মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক’ (ওমর খৈয়াম)। এক হাজার বছর আগে ইরানি কবির এই দর্শনশাস্ত্র চর্চায় মেতে উঠেছেন ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া রাজনৈতিক শক্তিগুলো। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ন্যূনতম ঐক্য না থাকায় ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের সহযোগিতায় খুব শিগগিরই দেশের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিকে বিচ্ছিন্ন কিছু ঝটিকা মিছিল দিয়ে শুরু করলেও দিন যত যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলে উপস্থিতি তত বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে গণধিকৃত আওয়ামী লীগের এই প্রত্যাবর্তনের চেষ্টার জন্য দায়ী কে? ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা এবং দলটির কয়েকশ’ নেতা, মন্ত্রী-এমপি পালানোর পর মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া দলটি ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে আসার দায় কী অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এড়াতে পারবে? ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এই ইস্পাতকঠিন ঐক্যের শক্তিগুলো ক্ষুদ্র স্বার্থে আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিচ্ছে, যা অনেকটা কলকাতার লেখক নিরোধ সি. চৌধুরীর লেখা ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ বইয়ের বিষয়বস্তুর মতোই। সত্যিই বাঙালিরা আত্মঘাতী! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ দেশের মানুষের মতিগতি জোয়ার-ভাটার মতো। দেশে মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর অপকা- বেশিদিন মনে রাখে না। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক শক্তিগুলো যেভাবে নিজেদের দলীয় স্বার্থে ‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও’ চেতনা ধারণ করছে তাতে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়ে এমন ধাক্কা দেবে, তখন সব শক্তি পিষ্ট হয়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ কোনো ছোট শক্তি নয়। দলটির অর্থ, জনসমর্থন এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতির পর পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির নেতারা। পরিচিত মুখ নেতাদের মধ্যে যারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি তারা রয়েছেন আত্মগোপনে। তবে দলটির দ্বিতীয় সারির উপনেতা-পাতিনেতা ও কর্মীরা যারা সাংগঠনিকভাবে ততটা পরিচিত নন তারা বিএনপি-জামায়াতের শেল্টার নিয়েছেন। তারা এখন এনসিপি থেকেও শেল্টার পাচ্ছেন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ‘বগলে ইট, মুখে শেখ ফরিদ’ প্রবাদের মতো ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখালেও প্রশাসন থেকে হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের সরাতে পারেন। উল্টো এখন হাসিনার একান্ত অনুগত ব্যক্তিদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রেন্টাল, কুইক রেন্টালে হাসিনার অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের বিল দ্রুত পরিশোধ করায় সে টাকার একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগের মিছিলের পেছনে ব্যয় হচ্ছে।

অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল ঐক্যবদ্ধ শক্তি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নিজেদের দলীয় স্বার্থে যে যেখানে যেভাবে পারছে সনাতন ধর্মের প্রবাদ ‘নগদ নারায়ণ’ বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে একই চিত্র। বর্তমানে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি নেতারা কেউ ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন’ কেউ ‘রমজানের আগে নির্বাচন’ কেউ ‘মৌলিক পরিবর্তন ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়’ দাবিনামা নিয়ে বিতর্ক করছেন; রাজনৈতিক দলগুলোর এসব দাবির সঙ্গে দেশপ্রেম, গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার এবং দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কিছুই নেই। দল তিনটি কার্যত ‘নিজেদের সুবিধা’র জন্য এসব দাবি নিয়ে বিতর্কে মেতে উঠেছে।

জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, অভ্যুত্থানের পর মাঠে দেখা গেলেও পরবর্তীতে ছাত্ররা মাঠ দখলে না রেখে নতুন দল গঠন করে প্রশাসনে কর্তৃত্বসহ নানা স্বার্থ নিয়ে বাহাসে মেতে উঠেছে। বিএনপি মাঠে বাধা দেবে না আওয়ামী লীগ নেতারা এটা বুঝতে পেরেছে। আর জামায়াত কখন কোন দিকে ‘বল ছোড়ে’ বোঝা কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের প্রধান এই তিন শক্তির প্রশাসনের পদ দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যে অভ্যুত্থানের ঐক্যে বিভক্তি ঘটিয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ এখন মাঠে নামার সাহস দেখাচ্ছে। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী কমন স্বার্থে’ ঐকবদ্ধ থাকতে না পারলে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকানো যাবে না। কারণ তাদের পেছনে ভারত যেমন রয়েছে তেমনি লুটের অর্থও রয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রচারণার পাশাপাশি জুডিশিয়াল ক্যু, ১৫ আগস্ট গ্যাদারিয়ের নামে ঢাকা দখল, আনসার দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা, পাহাড়ে অশান্তি, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ফেইক ইস্যুতে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিরোধে কোনোটিতেই সফল হতে পারেনি। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও গুলিস্তানের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জরো হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতার প্যাদানি খেয়েছে। অতঃপর গভীর রাতে গ্রামের মেঠোপথে, উপজেলা পর্যায়ে কয়েকজন আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিল করে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে সুবিধা করতে পারেনি। পুলিশ কিছু মিছিলকারীকে গ্রেফতার করেছে এবং ছাত্র সমন্বয়ক, বিএনপি, জামায়াত প্রতিহত করেছে। গোপালগঞ্জে কয়েক দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি; সেনাবাহিনী দমন করেছে। হাসিনা ভারতে থেকে একের পর এক অডিও বার্তা ভাইরাল করে নেতাকর্মীদের মাঠে নামা এবং মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেন এবং নিজেও দেশে ফিরে আসার ঘোষণা দেন। কিন্তু ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র মতোই আসি আসি করে ফাঁকি দিচ্ছেন। হাসিনাসহ নেতারা বিদেশে পালিয়ে থেকে বিলাসী জীবনযাপন করায় দেশে পালিয়ে থাকা বিপন্ন নেতাকর্মীরা পাল্টা হাসিনাকে গালমন্দ করেন। কিন্তু হঠাৎ রহস্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নমনীয় হয়ে ওঠে। আগে থেকেই ভারত একের পর এক ষড়যন্ত্রের ছক এঁকে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করাচ্ছে। দিল্লির অনুগত গণমাধ্যমগুলো কৌশলে তাদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। যার কারণে ডেভিল হান্টের ঘোষণা দিয়েও ‘আওয়ামী লীগ থাকতে না পারলে ঢাকা শহরে কেউ রাতে ঘুমাতে পারবে না’ হুমকি দেয়া গাজীপুরের জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা হয়নি। ফলে দেশে দিল্লির অনুগত গণমাধ্যমগুলোর পুরনো অবস্থায় থেকে নতুনভাবে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর লক্ষ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের জন্য উৎসাহী করছে। আবার গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি তাদের নিজেদের দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন শুরু করে। বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ঢাকা জেলা ও মহানগর, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, মাদারীপুরসহ কয়েকটি জেলার স্থানীয় নেতার টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। এ নিয়ে জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। বাধ্য হয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে দলে অন্তর্ভু্িক্তর বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা দেয়। এখন পতিত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে আশ্রয় না দিলেও ‘লেনদেন’ করে আওয়ামী লীগকে নিজেদের দলের ব্যানারে মিছিল করার সুযোগ করে দেয়। এনসিপির নেতারা মুখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, শেখ হাসিনার বিচার ও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও পর্দার আড়ালে তৃণমূলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে দলভুক্ত করেছে। এমনকি দলের উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের মতো ছাত্রলীগ থেকে এনসিপিতে পুনর্বাসিত হয়েছে তৃণমূলের বহু নেতা। আবার জামায়াত কখনো দিল্লিকে খুশি করতে কখনো বিএনপিকে খুশি করতে কখনো এনসিপিকে খুশি করতে একেক সময় একেক কৌশল নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভোট টানতে দলটির আমীর সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের মতোই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ কথাবার্তা বলছেন। তিনি কখনো বলছেন, ‘দিল্লির বিরুদ্ধে জামায়াত নয়’, কখনো বলছেন, ‘একটি দল নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে’, কখনো বলছেন, ‘রমজানের আগে নির্বাচন দিতে হবে’, কখনো বলছেন ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়’, কখনো বলছেন ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা যেমন খুশি পোশাক পরতে পারবে’ আবার নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিরোধিতা করছেন। এসব কিছুই দলীয় স্বার্থেই করা হচ্ছে। দেশের রাজনীতির এই তিন শক্তি দলীয় স্বার্থে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কমন শত্রু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্য থেকে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতোই ছাইভষ্ম থেকে ক্রমান্বয়ে রাজপথে জেগে উঠছে।

অপ্রিয় হলেও সত্য হাসিনা পালানোয় আওয়ামী লীগের মেরুদ- ভেঙে গেলেও দলটির লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক দেশে রয়ে গেছে। ১৫ বছর শেখ হাসিনা ওই সব নেতা-কর্র্মীকে নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। ‘আওয়ামী লীগ না থাকলে এক রাতে ১০ লাখ লোককে হত্যা করা হবে’ ওবায়দুল কাদেরের এমন ফালতু বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার তেমন কিছু হতে দেয়নি। বিদেশে টাকা পাচার, হত্যা-গুমসহ নানা অপরাধের কারণে পতিত দলটির কয়েকশ’ নেতা বিদেশে পালিয়েছেন; শতাধিক নেতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে নীরবে যারা রয়ে গেছেন তারা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। এখন পুলিশ প্রশাসনে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার নয়’ এমন নির্দেশনা দেয়া এবং বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ‘নগদ বাণিজ্য’ আওয়ামী লীগের নেতাদের মিছিলে উৎসাহী করে তুলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ঝটিকা মিছিল করেছে। রাজধানীর মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়া ও রূপনগর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শাহবাগে এসব ঝটিকা মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা। কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও খুলনাসহ আরো কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করে দলটি। এসব মিছিলে সরকারবিরোধী সেøাগানসহ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সেøাগানও দেওয়া হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ৫ আগস্টের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সামনে আওয়ামী লীগের ভয়াবহভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকায় ও খুলনায় আওয়ামী লীগ বিশাল মিছিল করেছে। দিন যত যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলের সারি তত বড় হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব, ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও বিদেশিদের সহযোগিতায় খুব শিগগিরই রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ন্যূনতম বোঝাপড়া ছাড়া আওয়ামী লীগের ফেরানো কেউ থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কোনো ছোট শক্তি নয়। যদি আওয়ামী লীগকে ছোট ভেবে ধাক্কা দেবেন মনে করেন, তাহলে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়ে এমন ধাক্কা দেবে, তখন সব পিষ্ট হয়ে যাবেন।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d