International

প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে কিন্তু…

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় তিনি শপথ নেন। ওই শপথের মধ্যদিয়ে জওহারলাল নেহরুকে ছুঁলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। নেহরু পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মোদিও তাই হলেন। তবে মোদির নেতৃত্বে বিজেপি এবার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বলা হয় মোদি ম্যাজিক সেভাবে কাজ করেনি! 
এনডিএ-র শরিক দলগুলো মিলিয়ে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই এবার শরিকদের গুরুত্ব দিয়ে ভিন্ন এক সরকার গঠন করতে হয়েছে মোদিকে। বিজেপি’র ভাষ্য মতে, টিডিপি, জেডিইউ, জেডিএস, এলজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনার মতো শরিক দলকে যথাসম্ভব মূল্যায়ন করা হয়েছে। ফলে সরকার টিকিয়ে রাখতে বিজেপিকে বরাবরই চাপে থাকতে হবে।

নতুন সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে পা ফেলতে হবে। এমনটাই আভাস দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। তাদের ক’দিনের লেখাজোখাতে মোদি সরকারের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্ট। 
আগের দুই টার্মের তুলনায় এবার ভিন্ন ফর্মে নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠন করলেও বড় প্রত্যাশা রয়েছে বাংলাদেশের। কারণ হাসিনা-মোদি আমলেই স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ, ছিটমহল বিনিময় এবং বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নবাদীদের আনাগোনা বন্ধ করে দেশটির নিরাপত্তাকে নিñিদ্র করাসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। যদিও তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হওয়াসহ অনেক ইস্যু এখনো অমীমাংসিত। বিদ্যমান বাস্তবতায় পেশাদাররা মনে করেন নব গঠিত মোদি সরকারের কাছে বাংলাদেশের এবারের চাওয়া খুবই সামান্য। তা হলোÑ শীর্ষ মহল থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছে তার যথাসম্ভব বাস্তবায়ন। ঢাকায় প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে উঠেছে শপথ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের উপস্থিতি। ভারতের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাবেনÑ এমন আলোচনা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সেই আলোচনা পিছনে ঠেলে তিনি শপথ অনুষ্ঠানেই গেছেন! 
প্রশ্ন উঠেছে সরকার প্রধানের এই সফর কি বিশেষ কোনো বার্তা বহন করে? সেগুনবাগিচা বলছে, হ্যাঁ, এটি একদিকে যেমন আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রত্যাশার জাস্টিফিকেশন। সরকার প্রধানের এই সফরে হয়তো সে রকম আউটকাম হবে না। কিন্তু এটি পরবর্তী আলোচনার জন্য অনেক সহায়ক হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন ছিল কংগ্রেস সরকারের, এটা ওপেন সিক্রেট। সমালোচকদের অনেকে মনে করেছিলেন দিল্লির মসনদে পরিবর্তন এলে অর্থাৎ কংগ্রেসের পরাজয় ঘটলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে। কিন্তু না, তাদের প্রেডিকশন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সব সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করে ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার প্রতিই সমর্থন রেখেছে বিজেপি তথা মোদি সরকার। আর এ জন্যই হয়তো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের প্রতি সম্মান জানাতে শত ব্যস্ততার মধ্যেও দিল্লি ছুটে গেছেন শেখ হাসিনা। 
অবশ্য মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র এবং সরকারও গেছেন। ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর এটাই টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দিল্লিযাত্রা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন দু’দিন আগে ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, সোমবার শেখ হাসিনা-মোদির বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন গুরুত্ব পাবে। চলতি মাসেই শেখ হাসিনা আবার ভারত সফরে যাবেন। এটা আগেই ঠিক করা। তারপর জুলাইতে তার চীন সফরের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব জানান, ওই সফরের ব্যাপারে আমরা আলাদাভাবে কাজ করছি। 
ব্যাক টু ব্যাক দুই দ্বিপক্ষীয় সফরের আগে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার অংশ নেয়া এবং মোদির সঙ্গে আলাদা বৈঠকের বাড়তি গুরুত্ব আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের কথায়, এটা আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে মোদি সরকারে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেরই ইঙ্গিত। সেটা বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেও দেখা গেছে। সামনেও দেখা যাবে। তবে তারা মনে করেন, এর ফলে বাংলাদেশ কতোটা লাভবান হবে বা বিভিন্ন অমীমাংসিত ইস্যু সমধানে কতোটা কাজে আসবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। 
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন ভারতে সরকার পরিবর্তন হলে সাধারণত তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে তেমন পরিবর্তন হয় না। তাছাড়া ভারতে তো ওই অর্থে সরকারও পরিবর্তন হয়নি। মোদিই ফের ক্ষমতায়। পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারে ভারতে একটা সাধারণ কনসেনসাস আছে। আর বাংলাদেশের ব্যাপারে সেটা আরও নির্ধারিত। দলের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন আসে না। মানুষের প্রত্যাশা বা চাহিদার ভিত্তিতে হয়তো কোনো জিনিস হাইলাইটেড হতে পারে। 
তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মোদির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জোরদার হয়েছে। ফলে তিস্তা ইস্যুটা হয়তো আরও জটিল হবে। কারণ মমতার সম্মতি ছাড়া তিস্তা হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে কোনো দলের প্রতি মোদি সরকারের বিশেষ আগ্রহ আছে কি না? জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এখন যে সরকার বাংলাদেশে আছে তারা তো ভারতের বিভিন্ন কনসার্ন অ্যাড্রেস করেছে। সেটা কংগ্রেস বলেন আর বিজেপি বলেনÑ সবারই বাংলাদেশের এখনকার যে সরকার তাদের প্রতি ঝোঁক আছে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে জোট সরকার হলেও মোদির ক্ষমতার হেরফের হবে বলে মনে হয় না। এর আগেও তো এনডিএ জোট ছিল। হয়তো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোনো কোনো ব্যাপারে মতানৈক্য হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আগের অবস্থানই বহাল থাকবে। 
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেনও মনে করেন দুই দেশেই যেহেতু সরকারের ধারাবাহিকতা আছে, ফলে সম্পর্ক যেমন আছে তেমনই থাকবে। তার কথায়, ভারতের রাজনীতি দিল্লির স্বার্থ দেখে। মোদি না মনমোহন সিং এটা বিবেচ্য নয়। ডয়চে ভেলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তার পানি, সীমান্ত হত্যাসহ আরও অনেক ইস্যু নিয়ে আমরা কথা বলছি। কিন্তু কোনো সমাধান কি হয়েছে? সামনে কতোটা হবে আমি সন্দিহান। কারণ এটা আমাদের বার্গেইনিং ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে। আমরা কি সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাতে পারবো? 
স্মরণ করা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বহু আগেই বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার এবং ভারতে তার সরকার থাকা অবস্থাতেই তিস্তা চুক্তি সই হবে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি ক্যাটাগরিক্যালি তাঁর সরকারের সেই মেয়াদকালেই তিস্তা চুক্তি সইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। মোদির এটা তৃতীয় টার্ম। বিজেপি নীতিগতভাবে ৭৫ বছর পর কারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে থাকাকে নিরুৎসাহিত করে। বিজেপি’র গঠনতন্ত্রে অবশ্য এমন ধারা এখনো সংযোজিত হয়নি। যদিও ২০১৪ সালে মোদি নিজেই উপলব্ধি করেছিলেন ৭৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া উচিত। সে সময় লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলীমনোহর যোশী, সুমিত্রা মহাজনেরা অবসর  নেন। আগামী বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫ বছরে পা দেবেন। মোদির বয়স নিয়ে ভোটের মাঠে বিতর্ক হয়েছে। কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছিলেনÑ বয়সের কারণে মোদি অবসর নিলে বিজেপি’র পরবর্তী নেতা কে? আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী জনসভায় তিনি স্পষ্ট জানান, আগামীতে মোদিই দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। 
বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকুক বা না থাকুক, বিজেপি’র রাজনীতি বিবেচনায় মোদির সম্ভবত এটাই শেষ টার্ম। ঢাকা আশা করে শেখ হাসিনা এবং মোদির আমলেই অর্থাৎ এবারে যত দ্রুত অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পন্ন হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যান ড. হাছান মাহমুদ। ভারত সফর শেষে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত তাদের নির্বাচনের পর আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচনের পর গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়েও ঢাকা-দিল্লি কাজ করবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন বলেন, তিস্তা চুক্তি এবং গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো আপত্তি নেই, সমস্যাটা রাজ্য সরকারের। ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, নির্বাচনের পর এটি এগিয়ে নিয়ে যাবো। গঙ্গা চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে তাদের দ্বিমত নেই। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা কমাতে নন-লিথাল অস্ত্র (প্রাণঘাতী নয় এমন) ব্যবহারের বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ। এদিকে ভারতের ভিসা পেতে বাংলাদেশির বিভিন্ন সময়ে যেসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, সে বিষয়টি দিল্লি সফরে তুলে ধরেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসা প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করার অনুরোধ করেছি। ভারত থেকে নিত্যপণ্য আমদানি বাধাপ্রাপ্ত হবে না বলেও তখন জানান তিনি। বাংলাদেশ অনেক কিছুর (ভোগ্যপণ্য) জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। তাই এসব ভোগ্যপণ্যে যেন বিশেষ কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরে সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটি হলে তাদের কাছ থেকে এসব পণ্য সঠিক মূল্যে এবং নিজেদের প্রয়োজনে আমদানি করা যাবে।

সীমান্ত হত্যায় উদ্বিগ্ন মমতা, এটি পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় ঢাকা: মোদি সরকারের কাছে ঢাকার প্রত্যাশা অনেক। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা। সীমান্তে হত্যা নিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয়, প্রকাশ্যেই কথা বলছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিজেপি ঝামেলা করছে, বিএসএফ গুলি চালাচ্ছে। আর গুলি চালানোর পরই তারা বলছে, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল, সেই জন্য গুলি ছুড়েছে। মমতা প্রশ্ন রেখে বলেন, রাজ্য পুলিশ আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীকে কেন গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় না? কেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে বিএসএফকে গুলি চালানোর অনুমতি কে দিয়েছে? তারা কেন অনুপ্রবেশকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় না? পুলিশ তদন্ত করে দেখতো কি হয়েছে? প্রসঙ্গত, বিএসএফ নিয়ে মমতা প্রায়শই কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। সীমান্তে প্রায়শই হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের আগে দিন শুক্রবারও সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটেছে! 

স্মরণ করা যায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক থাকলেও কিছু বিষয় নিয়ে বেশ উদ্বেগ রয়েছে। যার মধ্যে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি নেতাদের অত্যুক্তি অন্যতম। সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা এসব তিক্ততা দূর করার। ভারতে নাগরিকত্ব আইন এবং মুসলিমদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার বা বিজেপি’র রাজনীতি অনেক সময় বাংলাদেশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। এসব বন্ধ না হলে বাংলাদেশের ভারত বিরোধীতা উস্কে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটে বাণিজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখাও ভারতের কাছে বাংলাদেশের বড় প্রত্যাশা। সংকটে প্রতিবেশী দেশের নতুন সরকার অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা বাংলাদেশের সরকার সংশ্লিষ্টদের।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button