Hot

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় মহাদুর্নীতিবাজরা মহাআতঙ্কে: সর্বত্রই ‘দুর্নীতি’ভীতি

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, কর্পোরেশন, বিভিন্ন মহাপ্রকল্প, এনবিআর, এলজিআরডি, পুলিশ প্রশাসনের অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ‘টক অব দ্য অফিস’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কতদূর যাবে। অফিস সময়ে অনেকেই কাজের ফাঁকে তারা নিজেদের মধ্যেই দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। কোন সেক্টরে দুর্নীতি বেশি হয়, কে কত সম্পদের মালিক হয়েছেন, সহকর্মীদের কে কেমন অর্থবিত্ত কামিয়েছেন, কার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করে, দুদকের নজরদারীতে কারা আছে এ নিয়ে প্রতিদিনই আলোচনা হচ্ছে। এমনকি চাকরি জীবনে দুর্নীতি করে বেশি ও কম অর্থ কামাই করা নিয়েও তাদের কথাবার্তায় একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ, ঈর্ষা-আফসোস প্রকাশ পাচ্ছে। দুর্নীতি নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কি বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কি বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তালিকায় কাদের নাম রয়েছে, কার কার সম্পদের তদন্ত করা হচ্ছে এসব বিষয়ও আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।

এমনকি অফিসের ‘বেশি ঘুষ খাওয়া অফিসারদের রক্ষা নেই’ এমন মন্তব্য একে অপরের সামনে করছেন। শুধু তাই নয় সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ, এনবিআরের মতিউর রহমান, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিনা সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে প্রতিদিন যে সব সাংবাদিক পেশাগত কাজে যাতায়াত করেন তারা এমন চিত্রই জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় আতঙ্কিত কর্মকর্তারা পরিচিত সাংবাদিক পেলেই আড়ালে নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম কতদূর পর্যন্ত চলবে। খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুম হারাম হয়ে গেছে এমন তথ্য দিচ্ছেন। তবে এমনো কর্মকর্তা রয়েছেন যারা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে দারুণ খুশি। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের বলছেন, মুষ্টিমেয় কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে সরকারি সব কর্মকর্তাকে ‘দুর্নীতিবাজ’ তকমা দেয়া হচ্ছে। সরকারি অফিসে নিয়মিত যাতায়াত এমন একাধিক সাংবাদিক জানান, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক রং লাগিয়ে যারা প্রভাব খাটিয়ে প্রমোশন নিয়েছেন, অর্থবিত্ত কামিয়েছেন এবং নিজেদের আওয়ামী লীগার হিসেবে চিহ্নিত করে তুলেছেন তাদের মধ্যেই বেশি উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।

কারণ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের তালিকা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নেটিজেনদের অনেকেই পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আমলা-পুুুুুুলিশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনায় সরকারই আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন আমলাদের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে তাদের অবৈধ সম্পদ নিলামে বিক্রি করার প্রস্তাব করেন। বেনজির-আজিজ-মতিউরদের দুর্নীতিতে ‘ক্ষমতাসীন সরকার লেপ্টে যাওয়ায়’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজিজ-বেনজির-মতিউর আওয়ামী লীগের কেউ নয়। দুর্নীতিবাজ যতই প্রভাবশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ বাধা দেবে না।’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের পর দুর্নীতিবাজ আমলা ও দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি জেলা উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলোতে কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ মে ঢাকা সফর করেন। ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার ঢাকা সফর নিয়ে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর দুর্নীতি এবং পদপদবির অপব্যবহারের অভিযোগে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারী করে। অতঃপর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয় ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে ব্যবসা করেন এমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আটকে থাকা ডলার নেয়া এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারীর কয়েক দিনের মাতায় বেনজির আহমেদের অবৈধ সাম্রাজের চিত্র উঠে আসে। অতঃপর আসাদুজ্জামান মিয়া, মতিউরসহ একে একে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সম্পদের চিত্র উঠে আসতে থাকে। সরকারি কর্মকর্তাদের এতো সম্পদের পাহাড় দেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা অবাক হয়ে যান এবং বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।

প্রশাসনে কর্মরতদের রাঘব বোয়ালদের সম্পদের ভয়াবহ চিত্র উঠে আসার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেছেন, সরকার দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি ভারতের কাছে রেল করিডোর দেয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাংবাদিক প্রবেশে বিধি-নিষেধ দেয়ার নেপথ্যের রহস্য চাপা দেয়া এবং ডলার সংকটের ভয়াবহ চিত্র থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই দুর্নীতি বিরোধী কার্যকম সামনে এনেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে অথচ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বরং অভিযুক্তদের কাউকে কাউকে বিদেশ পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান শুরু করেছে জানিয়ে ২৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা অভিযান শুরু করেছি। সে যে-ই হোক, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ বেশকয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির নানা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্য দেন। শুধু তাই নয়, পহেলা জুলাই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখাচ্ছে না, ভবিষ্যতেও দেখানো হবে না’। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে অবস্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে। দুর্নীতির কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে কোনো রকম সহানুভূতি দেখানো হবে না। সরকারের সব যন্ত্র, প্রশাসন যন্ত্র দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে কেউ কখনও কোনো রকমের বাধা কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করেনি। সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব সময়ই সহযোগিতা করছে।’

দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বেনজির আহমেদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের আগে কোটি কোটি টাকা তুলে নির্বিঘ্নে বিদেশ চলে যাওয়া, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতি তথ্য দেয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা, এনবিআরের মতিউর রহমানকে গ্রেফতার না করা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। এর মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা রাজস্ব বিভাগের প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাহমুদ ফয়সালের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। এনবিআরের প্রথম সচিবের দুর্নীতির বিচার না করে বদলী করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

গত সোমবার সংস্থাটি পক্ষ থেকে এক বিবৃবিতে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বদলি, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসরসহ যেকোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা, ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতিকে উৎসাহ প্রদান করে। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দায় শেষ করা সংবিধানের লংঘন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের শাস্তি শুধু বদলি, বরখাস্ত ও অবসর প্রদানে সীমাবদ্ধ রাখার মাধ্যমে অন্য সব শ্রেণি-পেশার জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের পরিচায়ক ও সরকারি খাতের পাশাপাশি অন্য খাতেও জোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতি বিকাশের অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে।’

এমবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোন নেই। এমনকি তার ও স্ত্রী সন্তানদের বিদেশ যাওয়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা চ্যালেজ করে এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয়, লায়লা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়াম্যান হিসেবে উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বলেন, বড় বড় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই এখানে এসেছি।

এদিকে চাকরিরত বেশকয়েকজন ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ওসি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা, আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তার একটি ‘শর্টলিস্ট’ ধরে এগোচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিভিন্ন জনের দায়েরকৃত অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে এ তালিকা। আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) সৈয়দ ইফতেহার আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া ইতোপূর্বে দুদক থেকে দায়মুক্তি প্রাপ্ত ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মো: গাজী মোজাম্মেল হকসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পুনঃঅনুসন্ধানেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ১৩ মে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের যে সম্পদের চিত্র দুদক পেয়েছে তুলে ধরা হয়েছে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ২০২৩ সালের ২১ জুন ১৪ বছরের সাজা দেয় আদালত।
গতকাল রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘ব্যক্তির দুর্নীতির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। যে প্রক্রিয়ায় এর তদন্ত হচ্ছে সেভাবেই এটি শেষ হবে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোনো বিষয়কেই আমরা খাটো করে দেখি না।’

কিছুদিন আগে দুদকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের মতো দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল করা দরকার। এ ছাড়া সর্ষের ভেতর থেকে ভূত তাড়াতে দুদককে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতি নিয়ে এক সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন একাকার হয়ে গেছে। এদের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকার বড় অসহায়। দুদককে শক্তিশালী করতে আলাদা ক্যাডার থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শুধু ডেপুটেশন বা প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের দিয়ে কাজ করালে ধারাবাহিকভাবে ভালো কাজ করা সম্ভব নয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot