প্লাস্টিক উৎপাদন রোধে জাতিসংঘের প্রত্যাশা ক্ষীণ
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক দূষণ রোধে জাতিসংঘের আন্তঃসরকার সমঝোতা কমিটির পঞ্চম ও শেষ বৈঠক রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নির্ধারিত আলোচনার শেষ দিনে এসেও প্লাস্টিক দূষণ রোধে একটি বৈশ্বিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েই গেছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া ১০০টিরও বেশি দেশ প্লাস্টিক উৎপাদন সীমাবদ্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিলেও, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো মনোনিবেশ করতে চাচ্ছে কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যের দিকে। আলোচনার টেবিলে আসা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে পানামার প্রস্তাবনায় প্লাস্টিক উৎপাদন সীমাবদ্ধ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, যা সমর্থন করেছে ১০০টিরও বেশি দেশ। কিন্তু তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো সমর্থিত বিকল্প প্রস্তাবগুলোতে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর তুলনায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০৫০ সালের মধ্যে তিন গুণ হওয়ার পথে হাঁটছে প্লাস্টিকের বৈশ্বিক উৎপাদন, যা বিশ্বের প্রাণ-প্রকৃতির জন্য ডেকে আনতে পারে রীতিমতো বিপর্যয়।
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির পর পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু-উষ্ণায়ন নির্গমন সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারে এখনও আলোচনার টেবিলে থাকা এই চুক্তি। কিন্তু প্লাস্টিক উৎপাদন সীমাবদ্ধ করা, প্লাস্টিক পণ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য অর্থায়নের মতো বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর অনৈক্যের কারণে ক্ষীণ হচ্ছে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর লড়াইয়ে জাতিসংঘের চুক্তির আশা। এরই মধ্যে আলোচনা পর্যবেক্ষণকারী কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন চলমান বৈঠক নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন।