Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Bangladesh

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো

নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে নির্বাচনমুখী করবে বলে বিশ্বাস মির্জা ফখরুলের।

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ও অন্যতম প্রধান দল বিএনপি, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পক্ষই ছাড় দিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হয়েছে।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত বৈঠক থেকে এমন বার্তা এসেছে।

তবে রোজা শুরুর আগে এই সময়ে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতির দুটো শর্ত রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

যদিও এ ধরনের সমঝোতা নিয়ে আপত্তি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি দল।

প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন কি ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে, রাজনীতিতে কি অস্বস্তি, অনিশ্চয়তা কেটে যাবে?

নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছিল। একইসাথে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন লন্ডন বৈঠকের বার্তা সে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।

বিএনপি অবশ্য মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। লন্ডন বৈঠকের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী সরকারকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচন প্রশ্নে অবস্থানের পরিবর্তনকে বিএনপি তাদের বিজয় হিসেবেই দেখছে।

যদিও বিএনপিকেও ডিসেম্বরেই নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরতে হয়েছে।

তবে, সরকার প্রধানের সাথে কোনো একটি দলের নেতার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যৌথ ঘোষণা দেয়ার নজির বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেই বলে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।

শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকটি চলেছে দেড় ঘণ্টা সময় ধরে। এর সিংহভাগ সময়ই একান্তে কথা বলেছেন অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমান।

বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তবে একান্ত বৈঠকে ঠিক কী কথা বা আলাপ হয়েছে বা কোন ধরনের সমঝোতা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপি নেতার বৈঠকের যৌথ ঘোষণা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি।

দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে একটি দল বা এক ব্যক্তির সাথে সমঝোতা করা হয়েছে। এটিকে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সাথে প্রতারণার শামিল বলেও বর্ণনা করছেন তারা।

এনসিপির এই আপত্তিকে বিএনপি ও এর মিত্র দলগুলো আমলে নিচ্ছে না বলা যায়।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে দু’জন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন।

এছাড়াও সরকারের ওপর এনসিপির একটা প্রভাব ছিল। কিন্তু নতুন এই দলটি মানুষের মাঝে সেভাবে অবস্থান তৈরি করতে পারেনি।

ফলে এনসিপির অবস্থান ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারবে বলে মনে করেন না বিএনপি নেতারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম আরেক অংশীজন জামায়াতে ইসলামী অবশ্য রোজার আগে বা পরে নির্বাচন করার দুটি প্রস্তাবের কথাই বলে আসছিল।

তবে বিএনপির সাথে সরকার প্রধানের বৈঠক ও যৌথ ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপির অবস্থানের সাথে জামায়াতের অবস্থানের মিল রয়েছে।

বিদেশের মাটিতে একটি দলের সাথে সরকার প্রধানের বৈঠক থেকে দেশের নির্বাচন নিয়ে যৌথ ঘোষণা দেয়ায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জামায়াত।

এছাড়া ইসলামপন্থী ও বামপন্থী অন্য দলগুলোর ভিন্নমত থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে বিএনপি মনে করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অনেক দলের ভিন্নমত থাকলেও ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে দেশ নির্বাচনী সড়কে উঠেছে, এখন সাধারণ মানুষের মধ্যেও সেই ধারণা তৈরি হবে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে রাজি কেন সরকার?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে আসছিলেন।

সেখান থেকে কিছুটা সরে এসে এপ্রিলে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। সে ঘোষণা এসেছিল ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া তার ভাষণে।

জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো সে ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল। এনসিপিও আপত্তি করেনি। তবে আপত্তি তুলেছিল বিএনপি ও এর মিত্ররা।

নির্বাচনের এই সময় নিয়ে বিএনপির সাথে সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছিল।

ফলে সরকারের সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তির অসহযোগিতার প্রশ্ন সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছিল। সেই চাপের মুখে নির্বাচন প্রলম্বিত করার পথে হাঁটা সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

এখন এপ্রিল থেকে সরে আসার পেছনে ওই পরিস্থিতি সরকার অনুধাবন করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন।

লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকার প্রধান বিএনপির সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর করতে চেয়েছেন। সে কারণে আগের অবস্থান থেকে অনেক ছাড় দিয়ে এখন তাদের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলতে হয়েছে।

বিবেচনায় ছিল সরকারের ‘এক্সিটের’ প্রশ্ন?

অন্তর্বর্তী সরকারের দশ মাসে মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নানা অভিযোগ বিভিন্ন সময় যেমন উঠেছে, একইসাথে অর্থনীতি সামাল দেয়াসহ দেশ পরিচালনায় দুর্বলতা এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোম্পানিকে দেয়ার চিন্তা এবং মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের জন্য মানবিক করিডরের প্রশ্নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তি সরকারকে অস্থিরতায় ফেলেছিল বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টারা বর্তমান সংবিধানের আলোকে শপথ নিয়েছেন।

রাজনীতিকেরা বলছেন, আগের নিয়মে শপথ নিয়ে এ সরকার গঠিত হলেও তাদের বৈধতা দেয়ার প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচিত সংসদে সরকার ও তাদের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে হবে।

কিন্তু সরকার যদি রাজনৈতিক শক্তিসহ বিভিন্ন অংশীজনের সাথে তিক্ততায় যায় এবং একটা অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাহলে সেই সরকারের ‘এক্সিট’ নিয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

একাধিক রাজনৈতিক নেতা বিবিসিকে বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও সে ধরনের আলোচনা তৈরি হচ্ছিল।

এ সরকারের এক্সিট বা তাদের বিদায়টা স্বাভাবিকভাবে হবে না- কি খারাপ কোনো পরিস্থিতি হতে পারে -এমন আলোচনা ছিল। বিষয়টি দেরিতে হলেও সরকার হয়তো অনুধাবন করেছে।

সেক্ষেত্রে সরকারের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া এবং পরে নিরাপত্তার প্রশ্নে বন্দোবস্ত কী হবে, সেটিই বিএনপির সাথে সমঝোতার ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনার বড় বিষয় হতে পারে বলে ওই রাজনীতিকেরা মনে করেন।

কারণ নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যেও ওই ধারণা তৈরি হয়েছে।

ফলে নির্বাচিত সংসদে সরকারকে বৈধতা দেয়ার বিষয়টি বিএনপির ওপরই নির্ভর করবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

তবে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদষ্টোর লন্ডন বৈঠকে সরকারের এক্সিট প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, সে ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকেই কিছু বলা হয়নি।

বিএনপির মিত্র দলগুলোর মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ সরকার দেরিতে অনেক বিষয় অনুধাবণ করছে। ফলে সরকারকে তাদের অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে অনেক নমনীয় হতে হয়েছে।

তবে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচারের অগ্রগতির যে দুটি শর্ত দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, সে ব্যাপারে লন্ডন বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

বিএনপিও ছাড় দিয়েছে, কিন্তু কেন?

দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর আগে বলেছিলেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছিল, নির্বাচনের সময় নিয়ে বিএনপি একা হয়ে পড়ছে কি না?

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, লন্ডন বৈঠকের ব্যাপারে সরকার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং বিএনপিরও আগ্রহ ছিল।

শেষপর্যন্ত সেই বৈঠকে তারেক রহমান রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা একমত হন।

যদিও দলটির নেতারা এটিকে তাদের বিজয় বা রাজনীতির টার্নিংপয়েন্ট হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ডিসেম্বরেই নির্বাচনের প্রশ্নে তাদের ছাড় দিতে হয়েছে।

বিএনপি যে তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে আসছে, তাদের একজন খলিলুর রহমান, লন্ডন বৈঠকের পর তাকেই বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করতে দেখা গেছে।

ফলে দলটি তাদের অন্য দাবিগুলোর ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে, এমন আলোচনাও রয়েছে রাজনীতিতে।

বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, নির্বাচনে তাদের ক্ষমতায় আসার বিষয়ে একটা বিশ্বাস কাজ করছে দলটিতে। সেই সম্ভবনা দলটি হারাতে চায় না।

ফলে দলটি মনে করছে, নির্বাচনে বিলম্ব হলে ভিন্ন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্ট হয় কি না, এই চিন্তা তাদের মধ্যে ছিল। সেজন্য নির্বাচনের সময় নিয়ে তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠার নামার চিন্তাও রেখেছিল।

তবে, বিএনপি এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে চায়। কারণ এ সরকার সরে গেলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বড় সঙ্কট তৈরি করতে পারে, সেটি দলটির বড় বিবেচনার বিষয় ছিল।

সেজন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে নির্বাচন আদায় করার কৌশল নিয়েছিল দলটি। আর চাপ বাড়ানোর কৌশল থেকে তারা বিভিন্ন দাবি তুলেছিল।

দলটির একাধিক নেতা বলেছেন, এখন কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায়ে তারা সফল হয়েছেন।

সমঝোতার প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জামায়াত ও এনসিপির

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি নেই জামায়াতের।

কিন্তু বিদেশের মাটিতে একটি দলের নেতার সাথে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করার এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জামায়াত।

দলটির আমির ডা: শফিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিষয়টি যেভাবে ঘটেছে, তাতে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি গতকালই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতার সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের যৌথ ঘোষণা ও এর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিুল ইসলাম আদীব বলেন, একটি দল বা ব্যক্তির সাথে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করার চেষ্টা করা অন্য সব দল ও শহীদ পরিবারের প্রতি অবমূল্যায়ন।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সব অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করা প্রয়োজন।

এনসিপির প্রতিক্রিয়া জানানোর পরদিন শনিবার জামায়াতের পক্ষ থেকেও একই সুরে বক্তব্য তুলে ধরা হলো।

যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।

এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে নির্বাচনমুখী করবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কিছু দলের মধ্যে যে অস্তুষ্টি রয়েছে, তাতে অস্বস্তি রয়ে যাবে। সরকার অন্য দলগুলোকে বিভাবে আশ্বস্ত করবে, তার ওপরও পরিস্থিতির মেরুকরণ নির্ভর করছে।

তবে, সরকারের একাধিক উপদষ্টো বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সব দল সরকারকে সহযোগিতা করবে, সে লক্ষ্যে তাদের চেষ্টা থাকবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
slot demo
bacan4d
bacan4d
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot toto