Bangladesh

ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের সম্ভাবনা, জুনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

► আসছে ছয় মাসের নির্বাচনি রোডম্যাপ ► আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক সংলাপ ► হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক ► জুলাই-আগস্টে দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করলেও দলগুলোর দাবির মুখে এ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। এ ছাড়া মধ্য ফেব্রুয়ারির পরে রোজা-বিভিন্ন পরীক্ষা থাকায় সে মাসের শুরুর দিকে সর্বশেষ ভোটের পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। ইসির দায়িত্বশীল পর্যায়ে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ দৃশ্যমান করতে আসছে ছয় মাসের নির্বাচনি রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা। ইতোমধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত করেছে ইসি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের এবং পরের কার্যক্রমের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকছে এই কর্মপরিকল্পনায়। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেই জুন-জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রেখে ৬০-৬৫ দিন হাতে রেখেই অক্টোবরে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে দলগুলোর দাবির মুখে এই তফসিল একাধিকবার পরিবর্তন হতে পারে। তাই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন ইসির কর্মকর্তারা। তবে আগেও ডিসেম্বরে ভোট করতে নভেম্বরের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে তফসিলের নজির রয়েছে। অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ; জুনের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা; জুলাই-আগস্টের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।  এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশনপ্ল্যান’ ঘোষণা করা হবে। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার আগেই সব কাজ শেষ করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৬০-৭০ দিন আগে অক্টোবরে তফসিলের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ; রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের মতামত নেওয়া। সেনাবাহিনী; অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়; মাঠপ্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। এই কাজটা অনেক ব্যাপক। তবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বৈঠক করতে হবে। তিনি বলেন, জুনের মধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ হবে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একাধিক সম্ভাব্য তারিখ রেখেই এবারে তফসিল দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা থেকে শুরু করে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত সব কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকবে রোডম্যাপে। সে অনুযায়ী নির্বাচনি প্রস্তুতি এগিয়ে নেবে ইসি সচিবালয়।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নানা ধরনের সামগ্রী মুদ্রণ করতে কী পরিমাণ পেপার লাগবে, বাজেট কত হতে পারে এবং কেনাকাটা থেকে মুদ্রণে কত সময় লাগবে তা নিয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছে ইসি। প্রয়োজনীয় কাগজ কেনাকাটা ও মুদ্রণ কাজ ভোটের আগে চার মাসের মধ্যে করার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ১ লাখ ৬১ হাজার রিম কাগজ কেনা হয়েছিল। সেবার ৩৩ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছিল। এবার অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ কেনার প্রয়োজন হতে পারে। শুধু কাগজ কেনায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না থাকে সেজন্যে কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে। মূলত পেপার প্রকিউরমেন্ট থেকে প্রিন্টিং পর্যন্ত সময়সীমা কতটুকু লাগে। উনারা বলেছেন যে, তিন মাস থেকে চার মাস সময় লাগে। নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের শিডিউল সম্পর্কে যে সিদ্ধান্তটা হবে; তখন যেন আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনটা থাকে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে অন্তত দুই ডজন বিষয় ভিত্তিক নির্বাচনি প্রস্তুতিমূলক কাজের খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের এবং পরের কার্যক্রমের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকছে এই কর্মপরিকল্পনায় (রোডম্যাপ)। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা থেকে শুরু করে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত সব কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনি প্রস্তুতি এগিয়ে নেবে ইসি সচিবালয়।

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে ‘কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ’ অনুষ্ঠান করে তৎকালীন ইসি। বর্তমান ইসি গেল বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দায়িত্ব নেয়। মে মাসে ছয় মাস পূর্ণ হবে এ কমিশনের। এরই মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজও শেষ হবে। আর নিজেদের মেয়াদের এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কাজ সারতে চায় এ কমিশন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d