ফ্যাসিবাদী হাসিনা-অলিগার্কের সেই পাঁয়তারার নেপথ্যে ছিল ‘বিগ ডিল’

বাংলাদেশের টাকায় ‘রেডি’ বন্দর চালাবে ডিপি ওয়ার্ল্ড
চট্টগ্রাম বন্দরের ‘হৃৎপিন্ড’ নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড নামক বিদেশি কোম্পানিকে এনসিটি’র অপারেটর নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। এর আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা, লাভ-ক্ষতি কী? এ নিয়ে সচেতন নাগরিক মহল, পোর্ট-শিপিং সার্কেলে এপিঠ-ওপিঠ আলোচনা-সমালোচনা জোরালো হয়েছে। এদিকে খবর পাওয়া গেছে, গত এক মাসের মধ্যে ডিপি ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাধিকবার চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে যান্ত্রিক বিভাগ ও বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে গেছেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিলেন কোম্পানিটির ভারতীয় নাগরিক। যদিও ডিপি ওয়ার্ল্ডকে এনসিটি হস্তান্তরের কোনো চুক্তি এখনো হয়নি। এ নিয়ে বন্দর-ডক শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে আছে ক্ষোভ-অসন্তোষ।
গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনা ছেড়ে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়া রাখঢাক করে অগ্রসর হচ্ছিল। ফ্যাসিবাদী হাসিনা ও অলিগার্কের সেই পাঁয়তারার নেপথ্যে ছিল ‘বিগ ডিল’। যা তখন ছিল ওপেন সিক্রেট। তবে হাসিনার পতনের পর তা সেখানেই থেমে যায়। বিগত ২৪ মার্চ ২০২৩ ‘দ্য ডেইলি স্টারে’ প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর: এনসিটি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। গতকাল (২৩ মার্চ ’২৩ইং) ঢাকায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বন্দরের এ বিষয়ে প্রকল্প প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে”। “অবশ্য এনসিটি পরিচালনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক বন্দর পরিচালনাকারী কোম্পানি ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’ আলোচনা চালিয়ে আসছে বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে”। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ডিপি ওয়ার্ল্ড এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা দেয়, যাতে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। ডিপি ওয়ার্ল্ডের উপমহাদেশীয় ও সাব-সাহারা আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও অ্যান্ড এমডি) রিজওয়ান সুমারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গত বছর (২০১৯ সালের আগস্ট) নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে চট্টগ্রাম বন্দর ও এর প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন। গত সপ্তাহে (মার্চ, ২০২৩ইং) সুমার আবারো বাংলাদেশে আসেন এবং গত ১৯ মার্চ ’২৩ইং নৌ-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সভা করেন”।
এই প্রেক্ষাপটে খুবই স্পষ্ট যে, এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেয়ার ডিজাইন বা এজেন্ডা ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার। তাহলে বর্তমান স্বল্পমেয়াদি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে কেনইবা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে চলেছে? এই প্রশ্ন-কৌতূহল-গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক ও নাগরিকমহল, ডক-বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনসমূহ, বন্দর-শিপিং সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
যেভাবে গড়ে উঠেছে এনসিটি
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের হৃৎপিন্ড। অর্থনীতির লাইফ লাইন। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ৯০ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। এই বন্দর যদি অর্থনীতির ‘হৃৎপিন্ড’ হয়; তাহলে বন্দরের হৃদপিন্ড হচ্ছে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয় এনসিটি। ২০০৫ থেকে আংশিক এবং ২০১৫ সালে এনসিটি পুরোদমে অপারেশনে যায়। বিদেশি অপারেটরকে লিজ দেয়ার সাথে প্রশ্ন আসে বর্তমানে এনসিটি কী তাহলে ব্যর্থ? রুগ্ন?
এনসিটির প্রধান দু’টি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: এক. এনসিটি নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায়। তাছাড়া এনসিটিতে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভারী যান্ত্রিক সরঞ্জাম (ইকুইপমেন্টস) বিদেশ থেকে ক্রয় করা হয়েছে বন্দরের টাকায়। এতে এ যাবত ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে এক কানাকাড়ি সরকারি রাজস্ব তহবিল থেকে দিতে হয়নি। দুই. এনসিটি টানা ১৭ বছর আয় বৃদ্ধির রেকর্ড, কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, জাহাজ অপারেশনে দ্রুততাসহ দক্ষতা ও সক্ষমতার সব সূচকে অগ্রগামী রয়েছে। এর ফলে এনসিটি বন্দরের সবচেয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লাভজনক ও সক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনা। বন্দরের নিজস্ব টাকায় পর্যাপ্ত আধুনিক প্রযুক্তির ভারী যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম সংগ্রহের ফলে কী গ্যানট্রি ক্রেন, রীচ স্টেকার, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ারের মতো ইকুইপমেন্টস প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। যে পরিমান যান্ত্রিক সরঞ্জাম আছে তা দিয়ে আগামী ১৫ বছর অনায়াসেই এনসিটি পরিচালনা সম্ভব। এর ফলে এনসিটিতে নতুন কোনো দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনই নেই।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালটি (এনসিটি) সুপার স্ট্রাকচার সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনাল। এটি প্রকৃত সক্ষমতার চেয়ে বেশি সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে গেল বছরেও। আবার এনসিটি সম্প্রসারণেরও কোনো সুযোগ নেই, যেহেতু এনসিটি’র লাগোয়া নেভির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে এনসিটিতে আর নতুন করে বিনিয়োগের কোনো সুযোগই নেই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারিত প্রকল্প বে-টার্মিনাল, লালদিয়ার চর টার্মিনালের কাজ বিদেশি অপারেটরকে দেয়া নিয়ে কেউ আপত্তি কেউ করেনি। সেখানে জেটি-বার্থ নির্মাণসহ বিদেশি বিনিয়োগ এবং সুপার স্ট্রাকচার আনার অনেক সুযোগ রয়েছে।
আরো ১৫টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন আরো ১৫টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার এসেছে গত ৫ জুন। চীন থেকে ক্রয় করা অত্যাধুনিক এসব সরঞ্জাম ‘চে ইয়াং’ জাহাজে বন্দরে আসে। সিসিটি-এনসিটি বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তর করে পরিচালনার যে প্রক্রিয়া চলছে, সেই টার্মিনালের ইয়ার্ডে এসব স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার সংযোজন হবে। বন্দরের মুনাফায় ১৫টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার চীন থেকে ক্রয় করা হয়েছে। যার মূল্য ১২৬ কোটি ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বন্দরে এর আগে ৪৫টি স্ট্যাডেল ক্যারিয়ার ছিল। ১৫টি যুক্ত হওয়ায় সংখ্যা বেড়ে হলো ৬০। এই ৬০টি স্ট্যাডেল ক্যারিয়ার বন্দরের নিজস্ব টাকায় কেনা। অন্যদিকে ডিপি ওয়ার্ল্ড কিংবা বিদেশি অপারেটর যারাই আসবে চট্টগ্রাম বন্দরের টাকায় কেনা এসব ভারী ও দামি সরঞ্জাম ব্যবহার করার মহাসুযোগটি রেডিমেইড পেয়ে যাবে। এতে কোনো বিনিয়োগ করতে হবে না। যার মানে দাঁড়ায় বন্দরের টাকায় তৈরি সুপরিসর কন্টেইনার স্থাপনা (এনসিটি ও এর ইয়ার্ড) এবং বন্দরের টাকায় ক্রয় করা যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি দিয়ে ‘রেডিমেইড’ বন্দর চালাবে ডিপি ওয়ার্ল্ড।
এনসিটি’র সফলতার বয়ান
এনসিটি ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের সুখ্যাতি ও সফলতার কাহিনি কল্পনাও করা যায় না। দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সমগ্র পারফরমেন্স এবং আর্থিক লাভ ও অন্যান্য অবদানের সিংহভাগই এনসিটি’র। আধুনিক কন্টেইনার স্থাপনা এনসিটি’র আছে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ টার্মিনাল। এনসিটি বার্থে একত্রে চারটি সমুদ্রগামী কন্টেইনার জাহাজ এবং একটি ছোট জাহাজ ভিড়ানো যায়। গতবছর ২০২৪ সালে বন্দরের মোট কন্টেইনারের ৪৪ শতাংশ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে এনসিটিতে। এতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার স্বাভাবিক ক্ষমতা বার্ষিক ১০ লাখ (টিইইউএস, প্রতিটি ২০ ফুট ইউনিট হিসাবে)। এর বিপরীতে গত বছর এনসিটিতে আমদানি-রফতানির ১২ লাখ ৮১ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ লাখের কাছাকাছি বেশি। জাহাজ থেকে ইয়ার্ডে কিংবা ইয়ার্ড থেকে জাহাজে কন্টেইনার ওঠা-নামার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, অত্যাধুনিক, দামি সরঞ্জাম গ্যানট্রি ক্রেন এনসিটিতে চাহিদা বর্তমানে ১২টির। সেখানে এই ইকুইপমেন্ট রয়েছে ১৪টি। একইভাবে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম এনসিটিতে রয়েছে চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত, কোনটি অতিরিক্ত। সবকিছুই বিদেশ থেকে কেনা হয়েছে বন্দরের মুনাফার টাকায়।
বন্দরের হিসাব মতে, এনসিটিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয় ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এ সময়ে টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কন্টেইনারপ্রতি বিল পেয়েছে ৬৯৪ টাকা বা প্রায় সাড়ে ৬ ডলার। সব খরচ মিটিয়ে বন্দরের নিট আয় হয়েছে ৫৭৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে কন্টইনার প্রতি বন্দরের প্রকৃত আয় প্রায় ৪৭ ডলার। চট্টগ্রাম বন্দরের মূল আয়ের ৬০ শতাংশই আসে এনসিটি থেকে। সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা, সক্ষমতা, গতিশীলতা ও রাজস্ব আয়ে তথা নিরবচ্ছিন্ন মুনাফায় সফলতার পেছনে প্রধানত অবদান স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিক কন্টেইনার স্থাপনা এনসিটির।
এনসিটি বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডেকে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ‘সুজন’ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সম্পাদক অ্যাড. আখতার কবির চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে সব তৈরি জিনিসগুলো বিদেশিদেরকে তুলে দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। চট্টগ্রাম বন্দর হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর। এটি বন্দর-সম্পদ। এখানে ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, গলদ, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট গোষ্ঠির লুটপাট থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে দেশীয় লুটেরাদের জায়গায় বিদেশিরা লুুটের সুযোগ নেবে সেটা কোনো সমাধান নয়। বাংলাদেশের সন্তানরা বিদেশে অনেক কঠিন কাজে সফলতার প্রমাণ রাখছে। তাহলে বন্দর হ্যান্ডেল করতে পারবে না কেন? তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকারের যে সীমিত সময় তাতে আসল কাজ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এরপর হাসিমুখে সসম্মানে বিদায় নেয়া। এমন তো নয় যে বন্দর ও করিডোর দিয়ে না দিলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়?
এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তর প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার এবং চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে লাভজনক, স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ স্থাপনা হচ্ছে এনসিটি। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এনসিটি ও ইয়ার্ড এবং বন্দরের টাকায় কেনা যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত এনসিটি। ডিপি ওয়ার্ল্ডকে এনসিটি পরিচালনায় দেয়া অযৌক্তিক। এটা বন্দর তথা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। বিদেশি কোম্পানি কিংবা বেসরকারিকরণ কোনোটাই নয়, বরং আমাদের দাবি এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দর (চবক) সরাসরি পরিচালনা করুক।
এদিকে এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে লিজের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বন্দর-ডকসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারী জোট ও সংগঠন আগামী ১৭ জুন আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান। তাছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে ‘বন্দর রক্ষায় রোড মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।