বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা

সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে মিলাররা লাভবান হচ্ছেন :: মিলারদের কারসাজিতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম হুমকির শঙ্কায় খাদ্য নিরাপত্তা :: গত এক সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজি প্রতি চার থেকে ৯ টাকা বেড়েছে, আর মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা
সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে সারা দেশে চলছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করে ওই দলের নেতারা সরকারি গুদামে ধান-চাল সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর এবার খাদ্য অধিদফতরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গুদামে ধান-চাল সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ী ও মিলাররা। বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ী ও মিলাররা কৃষকদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও মিলাররা। আর তাদের কারসাজিতে চালের দামও হু হু করে বাড়ছে। বর্তমানে বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসছে। তার পরও লাগামহীনভাবে বাড়ছে চালের দাম। কারণ, চালের বাজার এখন আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। মিল-মালিকরা এখন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।
চলতি বছর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই কৃষকরা তাদের বোরো ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান সে জন্য চলতি মৌসুমে সরকার এক হাজার ৪৪০ টাকা মণ দরে ধান সংগ্রহের ঘোষণা দেয়। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায়ে মিলারদের সুবিধা দিতে ধান সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অর্ধেক নির্ধারণ করে। এ বিষয়ে দেশের ৪৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, চালকল মালিকদের সুবিধা দিতেই ধান সংগ্রহের পরিমাণ কমিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় এবারের বোরো মৌসুমে সাড়ে তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা গত বছর ছিল ছয় লাখ টন। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ববৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলছেন, কৃষককে বঞ্চিত করে মিলারদের সুবিধা দিতে সরকার ধান সংগ্রহের পরিমাণ কমিয়েছে। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশে শুধু ধান ও চাল ছাড়া অন্য কোনো শস্য সরকারিভাবে কেনা হয় না। আবার কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহের সময় দাম নির্ধারণে অস্বচ্ছ ও অদক্ষ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ফলে কৃষক বছরের পর বছর প্রতারণার শিকার হন। এ প্রবণতার কারণে প্রতি বছর চালকল মালিকদের (মিলার) একচ্ছত্রভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।
খাদ্য অধিদফতরের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশে চাল আমদানি হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এর ফলে ধান কিনে সেটি ভাঙানো ও মজুদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে খাদ্য অধিদফতরের। সে জন্য চাইলেও এ মুহূর্তে বেশি ধান সরকার সংগ্রহ করতে পারছে না।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি চার টাকা বেশিতে ধান কেনা হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন। তবে এর মধ্যে কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমাদের বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন রাজু জানান, এ জেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান হতাশাজনক। খোলাবাজারের দরের সাথে সরকারি দরের ফারাকই এর মূল কারণ বলে জানা গেছে। বগুড়া খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে বগুড়ায় ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। জুনের শেষার্ধে এসে দেখা গেছে, সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। বগুড়া সদরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, আগামী আগস্ট পর্যন্ত অভিযান চলবে। শেষ পর্যন্ত অভিযান সফল না বিফল হবে, এখনই বলা যাবে না। তবে বগুড়ার মিল মালিকরা জানান, এখন ধানের দর বেড়ে যে পর্যায়ে উঠেছে তাতে সরকারি দরের মধ্যে ধান বা চাল সরবরাহ করা কঠিন। ফলে সরকারি সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে কোনো ধান কেনা হয়নি। উলিপুর উপজেলার ওসি এলএসডিস মো. আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কৃষকের নামে অ্যাকাউন্ট করে তাদেরকে নামেমাত্র কিছু টাকা দিয়ে নিজেই ধান সরবরাহ করছেন। উলিপুরের বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমাদের এখানে সরকার কারো কাছ থেকে ধান কেনেনি। খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক করে তাদের কাছ থেকে ধান কিনছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা মো. হায়দার আলী জানান, এ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ প্রতারণার সিন্ডিকেট। সাধারণ কৃষক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই চক্রের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। মাত্র ৫০০ টাকার লোভ দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে লাখ লাখ টাকার লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের নাম। পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা সুকৌশলে প্রতি বছর ধান, চাল সংগ্রহ মৌসুমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। যা তদন্ত করলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেবিয়ে আসবে। সেই কূটকৌশলকে ছাড়িয়ে প্রতারণার কৌশল করে এবার রিশিকুল ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের ধান-চাল ব্যবসায়ী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ ও দরিদ্র কৃষকদের দিয়ে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নিচ্ছেন। আদিবাসী অনুকুল সরদার জানান, আতাউর তাকে কাকুতি-মিনতি করে অ্যাকাউন্ট খোলতে বলেন এবং ৫০০ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে কাকনহাট কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখায় গিয়ে তিনি অ্যাকাউন্ট খোলেন। কিন্তু এরপরই বুঝতে পারেন, এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আতাউর চাল সরবরাহের নামে বড় ধরনের আর্থিক কারসাজি চালাচ্ছেন। অনুকুল সরদারের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমাদের এলাকার প্রায় ৩০-৪০ জনকে একইভাবে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে নিয়েছে আতাউর। এমনকি চেক বইয়ের পাতা পাতা আগেই স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতাউর রহমান ‘সাথী চালকল’ নামক মিলের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে উপজেলা খাদ্য গুদামে ৪৬ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছেন। অথচ তার চালকল মিলের উৎপাদন সক্ষমতা এই পরিমাণ চাল উৎপাদনের মতো নয়। এ থেকেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে ধান ও চাল কিনে মিথ্যা তথ্য দেখিয়ে তিনি সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করছেন।
বিষয়টি আতাউর রহমান স্বীকার করে বলেন, আদিবাসীসহ স্থানীয় অনেককে দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছেন। তাদের নামে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ দেখিয়ে তিনি নিজেই টাকা উত্তোলন করেন এবং বিনিময়ে ওই ব্যক্তিদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার যে নিয়ম, এই নিয়মকে কাজে লাগিয়ে আমি ধান সরবরাহ করি। সরকারি দামে ধান বিক্রি করে লাভ কম, তাই আমি বাইরের এলাকা থেকে কমদামে ধান কিনে গুদামে দিই। মাঝে মধ্যে নি¤œমানের চালও সরবরাহ করি। তিনি আরো দাবি করেন, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণক শফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) নাজমুল আলমÑ তারা সব জানেন এবং দেখেও কিছু বলেন না। গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (সাবেক) শফিকুল ইসলাম, গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল আলমসহ কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীও চুপ থাকেন। তবে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, এ ধরনের প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধান-চাল সংগ্রহে সরকারের যে নিয়ম তা সাধারণ কৃষকের জন্য জটিল। আর এই জটিলতার সুযোগটাকে কাজে লাগাছে ব্যবসায়ী ও মিলাররা। সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে হলে কৃষকদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এরপর সরকারের কাছ ধান বিক্রি করলে অন্তত ছয় থেকে সাত দিন পর সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা যায়। অনেক সময় অ্যাকাউন্টে টাকা যেতে ১০ থেকে ১০ দিনও লেগে যায়। এসব ঝামেলার কারণে কৃষক সরাসরি সরকারের কাছ ধান বিক্রি করতে চায় না। তারা বাড়িতে বা স্থানীয় বাজারে ফড়িয়া বা ব্যাপারীদের কাছে কম দামে বিক্রি করে দেয়। সরকারের কাছে বিক্রি করলে মণপ্রতি এক হাজার ৪৪০ টাকা পেত। আর বাজারে তা এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা মণ বিক্রি করতে হয়। তবে কৃষকদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকটা প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাবসায়ীরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এতে খাদ্যা অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ রয়েছে। অনেক এলাকায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে না পরায় লক্ষমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর তখন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে ধান কিনে লক্ষমাত্রা পূরণের চেষ্টা করছে। চলতি অর্থবছরে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।
সরকারের ধান সংগ্রহ কম হওয়ায় কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে মিল-মালিকরা মজুদ করেছে। আর এর ফলে এখন মিল-মালিকরাই চালের মূল্য ইচ্ছেমতো বৃদ্ধি করছে। বোরো মৌসুমের ধান বাজারে উঠতে শুরু করায় ঈদের আগে স্বস্তি ফিরেছিল চালের বাজারে। তবে ঈদের পর হঠাৎ করেই অস্থির হতে শুরু করেছে চালের বাজার। গত এক সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজি প্রতি চার থেকে ৯ টাকা বেড়েছে। আর মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮৬ টাকা ও আটাইশ ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে বেড়ে গেছে চালের দাম। দেশে ধান-চালের অন্যতম উৎপাদনস্থল নওগাঁ জেলা। এই জেলার চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল ধানের দাম মণপ্রতি ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা ও কাটারি ধানের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে নওগাঁয় পাইকারিতে চালে কেজিপ্রতি এক থেকে তিন টাকা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, মূলত ধান-চালের বাজারে স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে বাজারÑ সবখানেই নজরদারিতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। আর এতেই বারবার অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। বোরোতে ভালো ফলন হয়েছে। এ সময় সরু চালের দাম ৬২ থেকে ৬৪ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। মাঝারি ও মোটা চালের দামও অনেক চড়া। ৫৫-৫৬ টাকা দিয়ে মোটা চাল কিনে খেতে নি¤œ আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতির তুলনায় মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি। ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। তাই চালের মতো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে দাম যাতে অযৌক্তিকভাবে না বাড়ে সেদিকে নজর রাখা জরুরি। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে কোনো সফলতা দেখাতে পারছে না।