Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি

সাগর কোলে জেগে উঠছে বিস্তীর্ণ ভূমি উজানের ঢল-বন্যায় ভারত থেকে হাজারো নদ-নদী দিয়ে ভাটিতে আসা কোটি কোটি টন পলিমাটি জমা হচ্ছে দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলজুড়ে ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে অন্তত ১০ হাজার বর্গ কি.মি. দ্বীপ ও চরভূমি : চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, খুলনা উপকূলে ভূমি জাগার হার ক্রমেই বাড়ছে


দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে এখানে-সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট ছোট চর ও দ্বীপাঞ্চল। উপকূলভাগে বাংলাদেশের ভূখ-ের প্রায় ১০ ভাগের এক ভাগ সমান জেগে উঠছে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সম্ভাবনাময় আরেক নতুন বাংলাদেশ। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ, ভোলা হয়ে খুলনার সুন্দরবন পর্যন্ত বিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের কাছে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। জেগে উঠছে দিগন্ত বিস্তৃত নতুন নতুন চর। খনিজসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব দীপাঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজসম্পদে ভরপুর। তারা বলছেন, দীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি।

জানতে চাইলে খনিজসম্পদ-বিষয়ক গবেষক প্রফেসর ড. ফোরকান আলী বলেন, বাংলাদেশ খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ। প্রয়োজনের তুলনায় এ দেশে খনিজসম্পদের আহরণের পরিমাণ খুবই কম। উপকূলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা চরগুলো প্রাকৃতিক খনিজসম্পদের ভা-ার। এগুলো থেকে প্রাকৃতিক খনিজসম্পদ আহরণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বদলে দেয়া সম্ভব।

দেশের অর্থনীতিবিদ ও খনিজসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলের প্রাকৃতিক খনিজসম্পদকে কাজে লাগাতে চাইলে প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন প্রকৌশলী ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, খনিজসম্পদ অনুসন্ধান, আহরণে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এসব করা হলে আমাদের মাটি, পাহাড় ও পানির নিচে লুকিয়ে থাকা বিপুল খণিজসম্পদ বিশেষ করে তেল, গ্যাস, মিথেন, কয়লাসহ অন্য খনিজসম্পদ আহরণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে দ্বীপ জেলা ভোলা, পাহাড়ি অঞ্চল সিলেট, নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস প্রাপ্তি এবং তা উত্তোলন করা হচ্ছে।
দেশের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও দ্বীপাঞ্চলে অনুসন্ধান চালানো গেলে অদূর ভবিষ্যতে বিপুল পরিমাণ খনিজসম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য খনিজসম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে আরো উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশ খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ, তবে এর অনেক সম্ভাবনা এখনো অনাবিষ্কৃত আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুসন্ধান এবং উত্তোলনে আরো উদ্যোগ নিলে এই সম্পদ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে। একই সঙ্গে, চলমান জ্বালানি সঙ্কট নিরসন এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (জিএসবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাকৃতিক খনিজসম্পদের মজুদের মূল্য ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪১.৯৭ ট্রিলিয়ন টাকা।

খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, উপকূলীয় এবং নদী অঞ্চলে, যেমনÑ কক্সবাজার, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে খনিজ বালু পাওয়া গেছে। বড় নদীগুলোতেও মূল্যবান খনিজ বালু রয়েছে, তবে সেগুলো উত্তোলনের উদ্যোগ এখনো সীমিত। সাগর উপকূলে যে সমস্ত চর জাগছে সেগুলোতেও খনিজসম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেগুলোতে অনুসন্ধান চালাতে হবে।

উপকূলে ইতোমধ্যে দেশের ১০ ভাগের এক ভাগ সমান চর জেগে উঠেছে। যা পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশের মানচিত্র। বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীতিকেও। ‘২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ১০ ভাগ ভূখ- সমুদ্রে তলিয়ে যাবে’Ñমর্মে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের থিউরি ও এনজিওদের এই বয়ান অসাড় প্রমাণিত হতে চলেছে। কেননা, সামুদ্রিক জোয়ারের আঘাতে উপকূল ও দ্বীপাঞ্চলে যতটা ভূমি ভাঙছে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ছোট ছোট চরে পলল ভূমি জেগে উঠছে। বাড়ছে দেশের আয়তন। এটি প্রমাণ ও উপলব্ধি করার জন্য ‘বিশেষজ্ঞ ব্রেইনে’র দরকার হয় না। বৃহত্তর নোয়াখালী উপকূলে গেল দুই থেকে চার দশকের মধ্যে জেগে ওঠা নিঝুম দ্বীপ, স্বর্ণদ্বীপ, ভাসানচর, ঢালচরসহ অনেকগুলো চরাঞ্চল এখন দৃশ্যমান। চরে চরে উর্বর পলিমাটি। আদিগন্ত সবুজের সমারোহ, ফল-ফসল, ক্ষেত-খামার, পাখির কলতান, হাঁসের ঝাঁক, শত শত মহিষের পাল, গরু-ছাগলের বাথান, হাঁসের খামার, শুঁটকি পাড়া, এমনকি চপল হরিণের দলে দলে বিচরণ, সর্বোপরি মানুষের কর্মচাঞ্চল্য নিত্যদিনের প্রাণবন্ত ছবি এবং জ্বলজ্যান্ত বাস্তবতা।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতির আপন নিয়মেই উজানের ঢলে বন্যাকবলিত হয়ে ভাসে গোটা বাংলাদেশ। তবে এই ঢল-বন্যা আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায় যখন উজানে বিশেষ করে হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হওয়া এবং ভারত হয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ, গঙ্গা-পদ্মা নদী ও মেঘনা নদীর অববাহিকাসহ ৫৪টি অভিন্ন বড় বড় নদ-নদী এবং এছাড়াও দেশের এক হাজারেরও বেশি নদ-নদীর সহ¯্র ¯্রােতধারা ভাটির দিকে বয়ে নিয়ে আসে কোটি কোটি টন পলিমাটি, পাথুরে মাটি ও বালু। যা বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বা কোলে প্রতিনিয়তই জমা হচ্ছে। এই পলিমাটির পরিমাণ বার্ষিক অন্তত ১০ কোটি মেট্রিক টন।

বিপুল পরিমাণ এই পলিমাটি ক্রমাগত জমা হচ্ছে দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলে। এই প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে গত ২৫ থেকে ৫০ বছরে জেগে উঠেছে অন্তত ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপ ও চরাঞ্চল। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, খুলনা উপকূলে ভূমি জেগে ওঠার হার ক্রমেই বাড়ছে। সেখানে মানুষ চাষবাস ছাড়াও নতুন নতুন বসতি স্থাপন করছে। সত্তরের দশকে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশের দাবির বিপরীতে ভারতের পাল্টা দাবির এক পর্যায়ে সেটি ভারত কব্জা করে নেয়। তালপট্টি দ্বীপে মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ তেল-গ্যাসসহ খনিজসম্পদ থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্র ¯্রােতের পরিবর্তনের প্রভাবে প্রায় ২৫শ’ বর্গকি.মি. আয়তনের তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ক্রমাগত উজানের নদীসমূহ দিয়ে আসা পলিমাটি জমে ওঠে এবং মাইলের পর মাইল চর ও দ্বীপভূমি জেগে ওঠে। নতুন নতুন এসব চর জোয়ার-ভাটায়ও বিলীন হয়নি; বরং টেকসই হয়ে যাচ্ছে। সেখানে চাষবাস, বসতি গড়ছে মানুষ।

গবেষকদের ধারণা, দেশের চর ও দ্বীপাঞ্চলে উত্থিত নতুন পললভূমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মূল ভূখ-ের ১০ ভাগের এক ভাগ সমান আয়তনকে ছাড়িয়ে গেছে। পুরোপুরি জেগে উঠার অপেক্ষায় আছে আরো কয়েকগুণ বেশি। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ফেনী এবং ভোলা জেলায় সৃজিত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বগকি.মি. চরের নয়া জমি। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার আয়তন প্রায় ৫০ হাজার বর্গকি.মি.। ১৯টি জেলার ৪৮টি উপজেলা এর অন্তর্ভুক্ত। উপকূলীয় এলাকা দেশের আয়তনের ৩০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার ২৮ ভাগ লোক এ অঞ্চলে বসবাস করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যাপক অংশই যখন সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখনই বঙ্গোপসাগরের কোলে ক্রমাগত জেগে উঠছে ছোট ছোট দ্বীপ ও চরভূমি। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে যেন জেগে উঠছে অন্য এক নতুন বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বঙ্গোপসাগরের কোলে এবং এর সংলগ্ন উপকূলীয় অনেক নদী-খাল-খাঁড়িতে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি নতুন ভূমি জেগে উঠছে।

স্বর্ণদ্বীপের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভাসানচর। ভাসানচরের আয়তন প্রায় ২৫০ বর্গকিলোমিটার। ভাসানচরের দেড় কি.মি. দক্ষিণে প্রায় একশ’ কিলোমিটার আয়তনের গাঙ্গুরিয়া চরের অবস্থান। এ ছাড়া হাতিয়ার দক্ষিণে আরো বেশ কয়েকটি চর জেগে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ পশ্চিমে ঢাল চর, চর মোহাম্মদ আলী, সাহেব আলীর চর, চর ইউনুস, চর আউয়াল, মৌলভীর চর, তমরদ্দির চর, উত্তরে নলের চর, জাগলার চর, কেয়ারিং চর, জাহাইজ্জার চর ইত্যাদি। অনেক চর বা দ্বীপ ভূমি অনেক আগে থেকেই বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে মোহনায় জেগে উঠেছে। তাছাড়া ৩০ থেকে ৪০টি ডুবোচর ভাটার সময় জেগে উঠে, জোয়ারের সময় ডুবে যায়। সেসব চর ও দ্বীপ ভূমি জেগে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে। হাতিয়ার উর্বর চর বা দ্বীপ ভূমিতে চাষাবাদ শুরু হওয়ার সাথে জনবসতি গড়ে উঠেছে এবং তা ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।

খুলনা অঞ্চলে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর আশপাশেও ছোট ছোট চর জেগে উঠেছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের প্রায় ১৫০ বর্গকিলোমিটার দ্বীপ ঘিরে চারপাশে নতুন ভূমি গড়ে উঠেছে সন্দ্বীপের আয়তনের চেয়েও দেড় থেকে দ্বিগুণ। এ ছাড়া মেঘনা নদীর পাড় ঘিরে বিভিন্ন সময় সৃষ্টি হওয়া আরো ৬০টির বেশি চর ও দ্বীপ ভূমি জেগে উঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আগামী দুই দশকে বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক সমান নতুন চর ও দ্বীপ ভূমি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

গবেষণা তথ্য মতে, ১৯১৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত একশ’ বছরে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে নোয়াখালী উপকূল ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অর্থাৎ সমুদ্রমুখী হয়ে প্রসারিত হয়েছে। মেঘনার ভাঙন থেকে নোয়াখালীকে রক্ষা করতে ১৯৫৭ এবং ১৯৬৪ সালে দুটি ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়। এর ফলে উজানের ঢল-বান হয়ে আসা পলিমাটি জমে নোয়াখালী অঞ্চল উঁচু হয়ে যায়। আশপাশে জাগতে শুরু হয় নতুন নতুন চর।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অতীতে পাহাড়ি খর¯্রােতা শংখ (সাঙ্গু) ও মাতামুহুরী এই দুই নদীর তীব্র স্রোতের ধাক্কায় দ্বীপের ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বেশ কয়েক বছর যাবত নদীর খরস্রোত আর নেই; বরং উভয় নদীর ¯্রােতধারার সাথে অবিরত আসছে লাখ লাখ টন পলিমাটি ও পাথুরে মাটি। এর ফলে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা এ দ্বীপের পূর্ব পাশে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের চকরিয়া-মহেশখালী বরাবর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জমছে পলিমাটি। তাছাড়া দ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে এবং বাঁশখালী-চকরিয়া-পেকুয়ার কাছেও পলিমাটি জমছে। এখানে সেখানে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার সময় ডুবোচরগুলো জাগছে এবং দৃশ্যমান হচ্ছে। আবার জোয়ার হলে ডুবে যায়। গত কয়েক বছরব্যাপী এসব ডুবোচর বিলীন কিংবা হ্রাস হতে দেখা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে আজিমপুর এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. অংশে জেগেছে নতুন চরভূমি। উত্তর-পশ্চিম পাশে উড়িরচরের দক্ষিণে জেগে উঠেছে প্রায় ১০ কি.মি. দীর্ঘ লক্ষ্মীচর ও ভবের চর। নতুন চরভূমি জাগছে সন্দ্বীপের পূর্বাংশে। দ্বীপের উত্তরে জেগে উঠেছে কয়েক হাজার হেক্টর নতুন চরভূমি। নতুন চরভূমির একাংশকে দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন হিসেবে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এভাবে সন্দ্বীপের আশপাশে জেগে ওঠা নতুন চরভূমিতে চলছে কৃষিকাজ। চরের ঘাসে হাজার হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ লালন-পালন করছে নি¤œআয়ের মানুষ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacantoto4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d toto
slot toto
bacan4d
bacan4d
togel online
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
bacansport
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot maxwin
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot toto