Bangladesh

বন্যায় সড়কে ক্ষতি ২৩ হাজার কোটি টাকা, ঠিকাদার সংকটে কাজ বন্ধ

সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ২৩১টি প্রধান সড়কের ১২৪০ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় সাড়ে তিনশ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো নতুন করে তৈরি অথবা মেরামত করতে সদ্য বিদায়ি সরকারের শেষ সময়ে দরপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই কাজ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ১০টি জোন। বিপুল অঙ্কের এই টাকার সংস্থান থাকলেও কাজ শুরু করতে পারছে না সওজ। কারণ অন্তর্ভুক্ত ১০৫টি প্রকল্পের মধ্যে বেশিরভাগ দরপত্রে ঠিকাদারদের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।

এ অবস্থায় পুনঃটেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে জুনের আগে এই কাজ আর আলোর মুখ দেখবে না। এতে ভাঙাচোরা এসব সড়ক আরও বেহাল হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকৌশলীদের।

সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা সওজে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়েও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সওজের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বিষয়টি সব সময়ই এড়িয়ে গেছেন। কারণ, কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন দুর্নীতিবাজ কয়েকজন কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কালো তালিকাভুক্ত ২৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় দরপত্র প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগের অংশীদার হিসাবে অযোগ্য হয়। এই ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। ১৫ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সওজ আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়।

সওজের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী যুগান্তরকে বলেন, দরপত্র প্রতিযোগিতায় কাজ বাগিয়ে নিতে জাল-জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আরও অনেকেই সম্পৃক্ত হবেন। বাস্তবতা হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে সব ঠিকাদারকে শাস্তির আওতায় এনে সওজকে ঠিকাদার শূন্য করার কাজটি অপরিপক্বতা ছিল।

দরপত্র প্রতিযোগিতায় যে বিধিবিধান অতীত সরকারের সময়ে করে রাখা হয়েছিল তা ছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। সিপিটিইউর এই বিধিবিধান সংশোধন না করে সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। এখন সওজের কাজ করবে কে? কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভাঙতে নতুন ঠিকাদাররা সম্পৃক্ত হয়েছেন, অথচ এখন মন্ত্রণালয় বলছে দরপত্র প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতামূলক হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিজ্ঞতার সনদসহ যেসব সনদ ঠিকাদাররা জালিয়াতি করেছেন, তাদের বড় ধরনের আর্থিক দণ্ড দেওয়া যেত। আর সন্তুষ্ট না হলে কারাদণ্ড দিয়ে সতর্ক করা যেত। এতে প্রতিষ্ঠানের মালিক শাস্তি পেত আবার নতুন কাজে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ থাকত। অথবা বিধিবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে নতুন ঠিকাদারদের কাজে সম্পৃক্ত করা যেত।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে-এখন কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররাই হয়ে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে এই প্রকৌশলী বলেন, যে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তারাই তো নিয়ন্ত্রণ করছে সওজের সব কাজ। কালো তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে। পছন্দের ঠিকাদারদের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়নি। পক্ষপাতিত্ব করে একজনকে ৬ মাস আরেকজনকে ২ বছরের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দরপত্র প্রতিযোগিতায় প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সওজ এ পর্যন্ত যে ৪৫ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদের হাতেই অন্তত ৩২ হাজার কোটি টাকার কাজ। সওজের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান দায়িত্বে আসার পর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কে অংশগ্রহণকারী সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাসহ ব্যক্তিগত নথিপত্র তদন্তের আওতায় নেন।

এ বিষয়ে বুয়েটের বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গোপনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। এরপরই ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসে। এভাবেই একে একে ৪৫ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তির আওতায় আনা হলে সংকটে পড়ে সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়নে কাজ করা বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কালো তালিকাভুক্ত রেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। শাস্তির আওতায় আসা এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শুধু সওজেই নয়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

দেখা গেছে, একই অপরাধে অভিযুক্ত করা হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১২৭ অনুযায়ী দরপত্র প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ কারণে শাস্তির আওতায় থাকা এই ঠিকাদারগুলো চলমান অর্থবছরে অন্তর্ভুক্ত ১০৫ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

এ কারণে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তুলনামূলক ছোট ছোট ঠিকাদার চলমান এসব প্রকল্পের দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের দরপত্রে অংশগ্রহণ কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক হলেও অনেকের অংশগ্রহণ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যে কারণে আর্থিক সংস্থান থাকা সত্ত্বেও ত্রুটিপূর্ণ বিবেচনায় মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না।

আবার পুনঃদরপত্র আহ্বান করে কাঙ্ক্ষিত প্রকল্পে কাজ শুরু করার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা হাতে নেই। কারণ এখন পুনঃদরপত্রের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে অন্তত ৫ মাস। কিন্তু রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে চলাচলের সংকট আরও বাড়বে। নতুন যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখন দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে তাদের কাজের সেই সক্ষমতা আছে কিনা তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে।

উল্লিখিত বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, যেসব দরপত্রে ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতামূলক হয়নি, সেগুলো পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হবে। কালো তালিকায় স্থান পাওয়া ঠিকাদার বাদ দিয়ে নতুনদের কাজের আসার জন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন কাজ দেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নাও হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক : সড়ক ও মহাসড়কের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণে অক্টোবরের বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করেন এই প্রতিবেদক। এ সময় দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ বৃহত্তর সিলেটের সবকটি সড়ক পথ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়ক, নেত্রকোনা- কেন্দুয়া, আটপাড়া সড়ক, এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, নেত্রকোনা, ফেনী, নোয়াখালীর অবস্থা নাজুক। সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীতে দুই দফা বন্যায় ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই খুলনা থেকে যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প পথ খুঁজতে দেখা গেছে অনেককে।

একই সঙ্গে ঢাকার বনশ্রী হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার সংযোগ সড়কে বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। বেশিরভাগ রাস্তা খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সর্বোপরি দেশের সড়ক ও মহাসড়কের অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দু-একটা সড়ক ছাড়া কোনো সড়কই চলাচলের উপযোগী নেই।

ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট : সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও সেবা ক্রয়ে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ পেলে অনেক সময় দেখা যায় কাজ যথাসময়ে শেষ করতে পারছে না। এ কারণে একই প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে দুটি কাজের বেশি না দেওয়ার বিষয়ে দিকনির্দেশনা ছিল।

এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রয় কাজে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) সব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি ১০ ভাগ কম মূল্যে সমদর দাখিল করে তবে ব্যবস্থাটাই এমন যে, একজন দরদাতা প্রতিটি দরপত্রে বিজয়ী হতে পারেন। কারণ অতীত কাজের অভিজ্ঞতাকে এমনভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে বিধিবিধান তৈরি রেখেছে সিপিটিইউ।’

তিনি বলেন, সওজে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি থাকলে কিছু সংখ্যক ঠিকাদারের কাজের সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ সীমিত হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, কাজ বাগিয়ে নিতেই ঠিকাদাররা অভিজ্ঞতার জাল সনদ তৈরির প্রবণতা শুরু করেন সওজে। এর সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত থাকলেও তাদের কাউকেই শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। অথচ সড়ক সংস্কারে ভূমিকা রাখা ৪৫ প্রভাবশালী ঠিকাদারকে ঠিকই শাস্তির আওতায় আনা হয়।

বিধিবিধান : নথিপত্রে দেখা গেছে, ‘সড়ক ও জনপথে তিন পদ্ধতিতে কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এগুলো হচ্ছে-দৈনন্দিন রক্ষণাক্ষেণ, পর্যায়ক্রমে রক্ষণাবেক্ষন ও উন্নয়নমূলক কাজ। পর্যায়ক্রমে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের মধ্যে ছোট ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় (পিএমপি) বড় কাজ রয়েছে। সারা দেশে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের মতো ছোট কাজ নেওয়া হয়।

এর মধ্যে ১০ থেকে ৯০ ভাগ টেন্ডার ঠিকাদার অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত হয়।’ পরিসংখ্যানের তথ্য উল্লেখ করে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, ‘পিএমপি বড় খাতে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬০টি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ১০২টি কাজ ২ জন ঠিকাদারের নামে অ্যাওয়ার্ড হয়েছে। একই অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্পে ১২৪টি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ৩৩টি কাজ তিনজন ঠিকাদারের নামে অ্যাওয়ার্ড হয়েছে। চলমান ওটিএম পদ্ধতিতে নতুন নতুন ঠিকাদার সৃষ্টি হতে পারছে না।’ তিনি সারা দেশে ঝরে পড়া ঠিকাদারদের কর্মমুখী করতেও পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট কাজগুলো পিপিআর অনুসরণ করে এলটিএম (লিমিটেড টেন্ডারিং মেথড) পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। এ ক্ষেত্রে সওজের তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টেন্ডার ইজিপি সিস্টেমে লটারির মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়। এভাবে দরপত্র আহ্বান করা হলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ঠিকাদার তৈরির পাশাপাশি নির্মাণ শিল্পেও উত্তরণ ঘটবে।

যত প্রকল্প : চলতি অর্থবছরে সওজের অনুমোদিত পিএমপি (মেজর-সড়ক) কর্মসূচি নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আলোচনা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক সভাপতিত্ব করেন।

এসময় সওজ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিকরুল হাসান জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ২৩১টি সড়কে ১২৪০ কিলোমিটার সড়কাংশ এবং প্রায় সাড়ে তিনশ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপক ক্ষতি পিএমপি (প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল) খাতের বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার বা মেরামত সম্ভব নয়। অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সভায় জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর হতে ১০টি সড়ক জোনে পিএমপির (সড়ক-মেজর) আওতায় সড়ক সংস্কারের লক্ষ্যে মোট ১৬১টি কর্মসূচির প্রস্তাব করা হলে জুলাই অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে ১৬১টি কর্মসূচি অনুমোদন করা হয়।

পরবর্তী সময়ে দেশে সংঘটিত চলমান বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সওজ অধিদপ্তর হতে নতুন কিছু কর্মসূচির তালিকা পাঠায়। যার সংখ্যা ১৯২টি। সাম্প্রতিক বন্যার কারণে তিনটি সড়ক জোনে এ বিভাগের ৮ জন কর্মকর্তা সরেজমিন সড়কগুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button