বাইডেনের প্রার্থীতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ন্যাটো মিত্ররা
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিক ও বিশ্ব নেতারা।
উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সামরিক সংস্থাটির সদস্যরা।
তারা মনে করেন, আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে হলে বাইডেনকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত এবং শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকোর মতে, ন্যাটো মিত্ররা বাইডেনকে তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখতে চান। তবে তারা আসন্ন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রিপাবলিকান প্রার্থীর বিপক্ষে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ৮১ বছর বয়সি বাইডেন বিপর্যয়কর পারফরম্যান্স উপহার দেন। এর পরে কিছু ইউরোপীয় কর্মকর্তা বাইডেনের স্ট্যামিনা এবং নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বাইডেনের বিষয়ে ন্যাটোর একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের যথেষ্ট বয়স হয়েছে, যেটা বুঝতে আপনাকে জিনিয়াস হতে হবে না। আমরা নিশ্চিত নই যে, ভোটে জয়ী হলেও তিনি আরও চার বছর বেঁচে থাকবেন কিনা।
ন্যাটোর আরেক ইইউ কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, আমরা সবাই চাই যে বাইডেন আবারও ট্রাম্পকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসুক। তবে এটি সত্যিই আশ্বস্তকর বিষয় নয়।
তা সত্ত্বেও ন্যাটো মিত্ররা উদ্বিগ্ন যে বাইডেন কতক্ষণ ইউরোপীয় প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখতে পারবেন। যেহেতু ট্রাম্প অন্যান্য দেশের জন্য সমর্থন বাড়ানোর বিষয়ে সন্দিহান।
প্রথম বিতর্কের পর ন্যাটোভুক্ত দেশের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কে আরও আলাপ আলোচনা করছি, কারণ দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্প আবার ফিরে আসছেন!
এত সব উদ্বেগ সত্ত্বেও, যদিও অনেক মিত্র ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনকেই পছন্দ করেন, তবে বয়সের কারণে বাইডেনের দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা সম্পর্কেও আবার অনিশ্চিত তারা।
ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউও বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।